• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ০৪:২১ অপরাহ্ন

সুনামগঞ্জে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে জেলা ইজতেমার প্রস্তুতি কাজ


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১৬, ২০১৭, ২:৪৪ PM / ৬০
সুনামগঞ্জে দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলছে জেলা ইজতেমার প্রস্তুতি কাজ

 

জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ : সুনামগঞ্জে ৩দিন ব্যাপী ইজতেমা সফল করার জন্য ব্যাপক প্রস্তুতি চলছে। জেলার সদরের মল্লিকপুরে সুরমা নদীর উপর নির্মিত আব্দুল জহুর সেতুর তাহিরপুর-সুনামগঞ্জ সড়কে পাশেই ১৬লক্ষ স্কায়ারফিটের অধিক বিশাল আয়তনের জায়গায় ইজতেমার প্রস্তুতি চলছে দ্রুতগতিতে। দেশের অন্যান্য জেলায় ইজতেমা অনুষ্টিত হলেও সুনামগঞ্জ জেলায় এবারেই প্রথম বারের মত ইজতেমা অনুষ্টিত হওয়ায় জেলার ১১টি উপজেলার ধর্মপ্রান মুসলমানদের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দিপনা বিরাজ করছে। ইজতেমা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মাওলানা আনোয়ার হোসাইন জানান,ইজতেমা ৯,১০,১১ই র্ফেরুয়ারী পর্যন্ত ৩দিন অনুষ্ঠিত হবে। পরে ১১ই র্ফেরুয়ারী শনিবার সকাল ১১টা থেকে ১২টায় আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। ইজতেমায় আগত মুসিল্লীদের জন্য ইজতেমার সীমানার মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থার স্বার্থে মেইন গেইট সুনামগঞ্জ-জামালগঞ্জ সড়ক টোল পয়েন্ট ও বৈটাখালি খেয়াঘাট,তাহিরপুর-বিশ্বম্ভরপুর সড়ক,সুরমা নদীর পাড়ে সহ ৪টি মূল সড়ক রাখা হচ্ছে। ইজতেমায় বিশাল এলাকা জুড়ে আগতদের অবস্থান করার জন্য ময়দানের চারদিকে সীমানা নির্ধারন করে প্যান্ডেল নির্মান করা হচ্ছে। এতে ব্যবহার করা হচ্ছে বাঁশ,আকাশী পোলিষ্টা কাপড় ও তৃপাল। বাঁেশর খুটিঁর উপর টাংঙ্গানো হবে আকাশি কালারের পোলিষ্টার কাপর ও তৃপাল। নিচে বিছানো হবে আগত মুসল্লীদের সাথে যার যার আনা বিছানা পত্র। মুসল্লিদের বিদ্যুাতের সমস্যা না হওয়ায় জন্য ইজতেমা ময়দানে ৫টি ট্রান্সফামার বসানো হবে,অজু করার জন্য অস্থায়ী ১হাজার অজু খানা,অস্থায়ী ১হাজার শৌচাগার ও ১হাজার টয়লেট,বিশুদ্ধ পানির জন্য ৫টি ডিডটিউবয়েল ও গোসলের জন্য সুরমা নদীতে বিশেষ ব্যবস্থায় নির্মান করা হচ্ছে। বিদেশী মেহমানদের জন্য ময়দানের পাশেই তৈরী করা হবে আলাদা জায়গা সহ সব প্রয়োজনীয় কাজ খুব দ্রুত গতিতে চলছে। এখানে সবাই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় স্থানীয় এলাকাবাসী সহ আগত বিশিষ্ট আলেমগনের গুরুত্বপূর্ন বয়ান মনযোগ দিয়ে শুনবে ও ধর্মপ্রান মুসল্লীরা ইবাদতে মশগুল থাকবেন। এই তাবলীগ জামায়াতে সালাত,জিকির করা সহ শীর্ষ আলেমদের মুখে ইমান,তাওহীদ,রিসালাত,আমল সহ গুরুত্বপূর্ন বিষয়ে আলোচনা হবে। ইজতেমা শেষে ইসলামের দাওয়াতি কাজ বিশ্ববাসীর কাছে পৌছে দেওয়ার জন্য জামাতবদ্ধ হয়ে বেরিয়ে যাবেন। এবার জেলায় অনুষ্টিত ইজতেমায় প্রায় ২০লক্ষাধিকের অধিক সিলেট বিভাগ সহ দেশ-বিদেশের ধর্মপ্রান মুসলমানগন উপস্থিত হবে আশা করি। তিনি আরো জানান,এই ইজতেমায় ১১টি উপজেলার ধর্মপ্রান মুসলমানগন নিজ নিজ উদ্যোগে এখানে এসে প্যান্ডেল বানানোর জন্য বাঁশ,অজুখানা,টয়লেট,শৌচাগার নির্মান সহ সব ধরনের কাজ করছেন। আমরা আশা করি মহান আল্লাহর রহমত ও সন্তুষ্টির আশায় ইজতেমা সফল ও স্বার্থক হবে। আরো জানাযায়,ইজতেমা ময়দানে আগতদের জন্য জেলা প্রশাসন,জেলা পরিষদ,পুলিশ প্রশাসন,র‌্যাব,বিজিবি,জেলা সিভিল সার্জন,ফায়ার সাভির্স,জেলা বিদ্যুৎ বিভাগ,সুনামগঞ্জ পৌর সভা,বাস পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংঘটনের পক্ষ থেকেও নেওয়া হচ্ছে বাড়তি সব ধরনের কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তাহিরপুর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামরুল জানান,এবার ইজতেমা সুনামগঞ্জে হওয়ায় তাহিরপুর উপজেলাবাসী অনেক খুশি আমার পক্ষ থেকে ইজতেমায় আগতদের সর্বতœক সহযোগীতা করা হবে। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবার সহযোগীতায় ইজতেমা সুষ্ট,সুন্দন ও শান্তি র্পূন ভাবে সম্পর্ন হবে। নবনির্বাচিত সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নুরুল হুদা মুকুট জানান,মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও ইজতেমায় আগত ধর্মপ্রান মুসল্লিদের জন্য আমার পক্ষ থেকে ১০বস্তা চাল দিয়েছে এছাড়াও সবার সাথে কথা বলেছি। ইজতেমার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত সর্বাতœক সহযোগীতা করব। সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক শেখ রফিকুল ইসলাম জানান,আমি ইজতেমা ময়দান পরিদর্শন করেছি ও সব বিষয়ে তদারকি করা হচ্ছে। আমাদের পক্ষ থেকে ইজতেমা শরু থেকে শেষ পর্যন্ত সুশৃংখল ভাবে সম্পন্ন করার স্বার্থে আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তার জন্য আইনশৃংখলা রক্ষা করা থেকে শুরু করে সব ধরনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/২:৪২পিএম/১৬/১/২০১৭ইং)