• ঢাকা
  • রবিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৫, ০৫:১২ পূর্বাহ্ন

সিনেমা-সংসার ছেড়ে ঐশ্বরিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী এখন সন্ন্যাসিনী


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ৯, ২০২৫, ১০:১১ PM / ৩৫
সিনেমা-সংসার ছেড়ে ঐশ্বরিয়ার প্রতিদ্বন্দ্বী এখন সন্ন্যাসিনী

বিনোদন ডেস্ক : নব্বইয়ের দশকে মডেলিং ও অভিনয়ে নামডাক করা বর্ণাঢ্য অভিনেত্রী বরখা মাদান। একসময় তিনি এমন জনপ্রিয় ছিলেন যে ঐশ্বরিয়া রাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা হতো তাকে। সুস্মিতা সেনের সঙ্গেও প্রতিযোগিতা করে নিজেকে প্রমাণ করতে সক্ষম হন তিনি। কিন্তু ২০১২ সালে সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি বলিউডের আলো-সৌন্দর্য ত্যাগ করে শান্তি ও ধ্যানের জীবন বেছে নেন। একসময়ের নায়িকা বরখা এখন সন্ন্যাসিনী।

বরখা মাদান ভারতের পাঞ্জাব প্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। শৈশব থেকেই তিনি নাচ, শিল্প ও আধ্যাত্মিকতায় আগ্রহী ছিলেন। ১৯৯৪ সালে বরখা ফেমিনা মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতায় অংশ নেন। তিনি প্রধান খেতাব না পেলেও ‌‘মিস ট্যুরিজম ইন্ডিয়া’ খেতাব জিতে ভারতের প্রতিনিধিত্ব করেন আন্তর্জাতিক মিস ট্যুরিজম প্রতিযোগিতায়।

সেখানে তিনি তৃতীয় রানার-আপ হন। এই অর্জন তাকে মডেলিং দুনিয়ায় পরিচিতি এনে দেয়। এরপর তিনি বিজ্ঞাপন, রানেরওয়ে শো ও প্রিন্ট ক্যাম্পেইনে কাজ শুরু করেন।

১৯৯৬ সালে অক্ষয় কুমার, রেখা ও রাভিনা ট্যান্ডনের সঙ্গে ‘খেলাড়িদের খিলাড়ি’ চলচ্চিত্রে বলিউডে অভিষেক হয় বরখার। যদিও স্ক্রিনে সময় কম ছিল তার। তবে সুন্দর চেহারা ও সাবলীল উপস্থিতি দিয়ে সকলের নজর কাড়েন।

তিনি বেশ কিছু হিন্দি চলচ্চিত্র ও ধারাবাহিক নাটকেও কাজ করেছেন। বিশেষভাবে রাম গোপাল বর্মার হরর থ্রিলার ‘ভূত’ (২০০৩) এ তার অভিনয় প্রশংসিত হয়। টেলিভিশনে তিনি ‘১৮৫৭ ক্রান্তি’, ‘সাস বহু এবং সেনসেক্স’সহ বিভিন্ন ধারাবাহিকে অভিনয় করেন।

এছাড়া তিনি তার নিজস্ব প্রযোজন সংস্থা গ্লোডেন গেট এলএলসি প্রতিষ্ঠা করে ‘সোচ লো’ ও ‘সুরখাব’ চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।

বলিউডে সাফল্যের মাঝেও বরখা মাদানের মধ্যে এক ধরনের শান্তির খোঁজ এবং আভ্যন্তরীণ অনিশ্চয়তার অনুভূতি জন্ম নেয়। ধ্যান ও আধ্যাত্মিকতায় তার আগ্রহ বেড়ে ওঠে এবং ২০১২ সালের নভেম্বর মাসে তিনি দক্ষিণ ভারতের সেরা জে মঠে লামা জোপা রিনপোচের তত্ত্বাবধানে বৌদ্ধ ভিক্ষুণী হন। ভিক্ষুণী হওয়ার পর তার নামকরণ করা হয় ভেনারেবল গ্যালটেন সামতেন। এর অর্থ ‘যিনি শান্তিতে বাস করেন’।

এরপর থেকে তিনি গ্ল্যামার ও বলিউডের ক্যারিয়ার ত্যাগ করে শান্তি, দয়া ও বৌদ্ধ শিক্ষার জীবন যাপন করছেন। তিনি নিয়মিত ধ্যান শিবির ও আধ্যাত্মিক আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন। তার এই যাত্রা বহু মানুষকে অনুপ্রাণিত করছে।