• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন

সাংবাদিক পরিচয়ের অপব্যবহার এবং কিছু কথা


প্রকাশের সময় : জুলাই ৩০, ২০২১, ১২:৫৯ PM / ১২৭
সাংবাদিক পরিচয়ের অপব্যবহার এবং কিছু কথা

মীর আব্দুল আলীম : একজন সাংবাদিক দেশে ও সমাজের কল্যাণে নিবেদিত হবেন। সাংবাদিকতায় এটি স্বতঃসিদ্ধ। কিন্তু কি হচ্ছে? নানা স্বার্থে সংবাদপত্রকে জড়িয়ে ফেলা হচ্ছে; সৎ সাংবাদিকদের বিতর্কিত করা হচ্ছে; মহান পেশার আদর্শ উদ্দেশ্য উল্টে দেয়া হচ্ছে। সাংবাদিকতা বাণিজ্যের ভিড়ে সংবাদপত্র এবং প্রকৃত সাংবাদিকরা অপসৃয়মাণ। মর্যাদা সম্পন্ন পেশা দিনদিন মর্যাদা হারাচ্ছে। শূদ্ধতার মাঝে ঢুকে পরেছে নাম সর্বস্ব অপ-সাংবাদিকতা। অনেক ক্ষেত্রে দুর্নীতি আর ভন্ডামি ডুকে গেছে এ পেশায়। পেশা নয় অসুস্থ ব্যবসা। অশিক্ষিত, কুশিক্ষিতরা অর্থের বিনিময়ে আন্ডারগ্রাউন পত্রিকার পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে মানুষকে ভয়ভীতি; আর সরলতার সুযোগ নিয়ে হরদম প্রতরণায় করছে। যা সাংবাদিকতা আর সংবাদপত্রের জন্য হুমকি স্বরূপ। এমনটা সব ক্ষেত্রে নয়। প্রকৃত সাংবাদিকের সংখ্যা দেশে এখনও অনেক। তাঁরা দেশ ও সমাজের কল্যাণে
সর্বদা নিবেদিত। গুটি কয়েক নামধারী সাংবাদিকের কারণে সংবাদপত্র আজ মর্যাদা হারাচ্ছে। আসলে সমস্যাটা কোথায়? দেশে হরেদরে সাংবাদিক পরিচয় ব্যবহারের সুযোগ সংবাদপত্রের মানহানী করছে। এই সুযোগ নিয়ন্ত্রণ করতে হবে এবং এই নিয়ন্ত্রণ আরোপে প্রকৃত সাংবাদিকদের সাহসী উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। গত একদশকে গণমাধ্য গড়ার অবাধ স্বাধীনতায় মিডিয়ার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিভাবান তরুণরা এই সেক্টরে যেমন আসছেন, সে সঙ্গে সংবাদপত্রের খরচ বাঁচাতে গিয়ে অযোগ্য কিছু মানুষকে দিয়ে কাজ চালানো শুরু করেছেন গণমাধ্য মালিকগণ। এদের কোনো
প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেনি অধিকাংশ চাকুরিদাতা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রশিক্ষণবিহীন, সাংবাদিকতা সম্পর্কে ন্যূনতম জ্ঞানবিহীন অদক্ষরা সদ্য
শিং গজানো বাছুরের মতো বুকে আইডি কার্ড ঝুলিয়ে উন্মত্তের মতো আচরণ করছে। এরা রাস্তাায় ট্রাফিক আইন ভাঙ্গে, সরকারি-বেসরকারি অফিসে গিয়ে ধমক দিয়ে কাজ করতে চায়। এর বাইরে আছে স্বঘোষিত ধান্দাবাজদের ‘সাংবাদিক’ হয়ে ওঠা। পাড়া মহল্লার সাময়িকী কি এক পাতার কিছু একটা ছাপিয়েই কিছু লোক স্বঘোষিত সাংবাদিক হয়ে পড়ছে। যেনতেন প্রকারে আন্ডারগ্রাউন্ড একটি পত্রিকা বের করে চলছে ব্লাকমেইলিং আর চাঁদাবাজির মহোৎসব। এসব ‘সাংবাদিক’দের দায় নিতে হচ্ছে প্রকৃত সাংবাদিকদের। এ লেখায় কেউ ব্যথিত হলে আমায় ক্ষমা করবেন। গত
এক দশকে দেশীয় গণমাধ্যমের ব্যাপক সম্প্রসারনের পরও নিজ পেশাটার যে হতশ্রী তা নিয়ে না লিখলেই নয়। আর না লিখলে বোধ করি আমরা শুদ্ধও হবো না। লেখার শুরুতেই সাংবাদিক ভাইয়েদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছি। যারা নামধারী আর অপ-সাংবাদিক ক্ষমা তাদের কাছে চাই না। কারণ আজ তাদের নিয়েই লিখছি। পরিতাপের বিষয় হলো- বাংলাদেশে সাংবাদিক হতে কোন সুনির্দিষ্ট শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে না। হুট করেই সাংবাদিক হয়ে যেতে পারে যে কেউ। না, এক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতাও কোন বিষয় নয়। সু-শিক্ষিত ও মানসম্পন্ন সাংবাদিক ও কলামিস্ট এদেশে অনেকেই আছেন, যারা তাদের ক্ষুরধার ও বুদ্ধিদীপ্ত লেখনী দ্বারা সমাজের অনেক অসঙ্গতি সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলে আমাদেরকে সমাজ- সচেতন
করে তোলেন প্রায়শই। সেই গুটিকয় নমস্য সাংবাদিকের সাথে মিশে গেছে সাংবাদিক নামধারী (লেবাসধারী) কিছু নর্দমার কীট; আসলে এরাই বর্তমানে সংখ্যায় বেশি। এসব অপ-সাংবাদিকতা ইদানীং সাংঘাতিক রকম বেড়ে গেছে। অপ-সাংবাদিক সৃষ্টি এক ধরনের সাংবাদিকতা নির্যাতন। আমরা চাই, সাংবাদিকতা পেশা যেন আগের সৎ ও নির্ভীক চেহারায় ফিরে আসে। যারা এসব অপ-সাংবাদিক তৈরি করছে তারা সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাকে প্রশ্নবৃদ্ধ করার লক্ষ্যেই তা করছে। এটা কোন সুদুরপ্রসারী ষড়যন্ত্রও হতে পারে। এসব ষড়যন্ত্রকারীদের
চিহ্নত করতে হবে। তাদের প্রতিহত করতে হবে। নইলে বড্ড বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে এ মহান পেশায়। গ্রামীণ সাংবাদিকতার নামে হচ্ছেটা কী? সাংবাদিক নামধারী অপ-সাংবাদিকদের বিষয়ে কিছু না বলে পারছি না । সাংবাদিকতা একটি স্পর্শকাতর পেশা। যে কারো হাতে যেভাবে ছুরি কাঁচ তুলে দিয়ে অপারেশনের সার্জন বানিয়ে দেয়া গ্রহণযোগ্য হয় না, একইভাবে যে কারো হাতে পরিচয়পত্র, কলম-ক্যামেরা-বোম তুলে দিয়ে তাকে সংবাদ সংগ্রহ ও প্রচারের দায়িত্ব দেয়াটাও গ্রহণযোগ্য হওয়া উচিত নয়। সাংবাদিকতা একটি মহান পেশা। অথচ দেখা যাচ্ছে যে, লেখাপড়ায় মাধ্যমিকের গন্ডি পার হতে পারেনি, এলাকায় টাউট হিসাবে চিহ্নিত ব্যক্তিরা ঢাকাসহ জেলা শহর থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন অখ্যাত-কুখ্যাত পত্রিকার পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে সাংবাদিক বনে যায় এবং প্রশাসনে ও রাজনৈতিক মহলে উদ্দেশ্যেমূলক খবরদারি করে। আর প্রশাসনে খবরদারিকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে ওই টাউট সংবাদকর্মীরা সহজ সরল মানুষকে বস্নাকমেইলিং করছে। পত্রিকা বিক্রেতা থেকে স্বঘোষিত সাংবাদিক হওয়া কতিপয় টাউট সংবাদকর্মী মোটরসাইকেলে অথবা প্রাইভ কারে সাংবাদিক বা প্রেস লিখে অবাধে চরাফেরা করছে। সরকারি বেসরকারি দফতরের আসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারী এসব টাউট সংবাদকর্মীদের সমীহ করছে, আবার তাদের অপকর্মে সহযোগিতা নিচ্ছে বলেও অভিযোগ রয়েছে। শুধু এখানেই থেমে নেই টাউটহিসাবে চিহ্নিত এসব সংবাদ কর্মীরা। অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন সম্যসা গ্রস্থ মানুষদের সরলতার সুযোগ নিয়ে এ সংবাদকর্মীরা অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার পাশাপাশি বিপদগ্রস্ত মানুষদের আরো বিপদে ফেলছে। সময় এসেছে এদেরকে চিহ্নিত
করবার। এরা আসলে সমাজ সুব্যবস্থার শত্রু। আসুন, আমরা এদের একে একে চিহ্নিত করে এদের মুখোশ উন্মোচন করি আর স্ব-স্ব অবস্থানে থেকে এদের প্রতিহত করি।

জানি এ জাতীয় লেখায় অনেকে তিরস্কার দিবেন। কেউ হযতো বলতে পারেন ‘ব্যাট বেশ সৎ সাংবাদিকতাগিরি দেখাচ্ছে।’ সেদিন আমার এক বন্ধু বললেন ‘দোস্তা সাংবাদিকতা; টাংবাদিকতা বাদ দাও, ব্যবসা-বাণিজ্য করছ; বই লিখছ ব্যাস। এটার মধ্যেই না হয় থাক’। সহাস্যে বললাম ‘বই লিখলে আর সাংবাদিকতার আর বাদ থাকে কি?’ আমার বন্ধুটার সাংবাদিক বিদ্বেশের কারণটা জানলাম। তার এলাকার পত্রিকার হকার নাকি নিজে সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছে ; মাদক বিক্রেতা মোটরসাইকেল আর প্রাইভেটে কারে সাংবাদিক লিখে দাপটের সাথে ঘুরে বেড়াচ্ছে। ঠিকমতো নিজের নাম ঠিকানা লিখতে জানে না এমন লোক সাংবাদিক বনে যাচ্ছে রাতারাতি। বিচিত্র ঐ দেশে এটাও স্বাভাবিক। খুনি, ধর্ষণ, অসংখ্য মামলার
আসামি নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিচ্ছে। ওদের তথাকথিত পত্রিকার পরিচয়পত্রও আছে। এদের অনেকে আবার সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে না। কখনোবা সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক নানা পরিচয়ে নিজেকে মস্ত সাংবাদিক জাহিরের চেষ্টা করছে। তারা কি করে পারছে এসব পরিচয় দিতে? ৪/৫টি পত্রিকার একজন প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে কেউ কেউ নিজেকে বড়মাপের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চলাফেরা করছে। এসব তথাকথিত সংবাদকর্মী নিজেকে কখনোবা রাজনৈতিক দলীয় পরিচয় দিচ্ছে। এরা অপ-সাংবাদিকতা করে বেড়াচ্ছে। প্রশ্ন হলো এরা পরিচয়পত্র পায়
কি করে ? যা করা যেতে পারে : এ অবস্থায় সাংবাদিকতার নিতিমালা প্রয়োজন। প্রশ্ন হচ্ছে কারা নিতিমালা করবেন? নিতিমালা কি হবে? আর এসব সামলাবেই বা কে? আমি সাংবাদিকদের এজন্য একটি নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান এবং বিধিমালা তৈরির পক্ষে। এ বিষয়টি কেউ সাংবাদিক নিয়ন্ত্রণ ভাববেন না দয়া করে। প্রকৃত সাংবাদিকদের স্বার্থেই তা করা যেতে পারে। আর সাংবাদিকদেরই এ ব্যাপারে বেশি এগিয়ে আসতে হবে। সব পেশারই লাইসেন্স প্রদানকারী একটি প্রতিষ্ঠান থাকে। প্রকৌশলী; আইনজীবী এমনকি চিকিৎসা বিজ্ঞানের সব বই পড়ে ঝালাপালা হয়ে গেলেও চিকিৎসা কিংবা স্ব-স্ব কর্ম শুরু করার আগে আপনাকে সনদ নিতে হবে। এই সনদ গ্রহণের মাধ্যমে আপনি ন্যূনতম নিয়মনীতি ও পেশাগত সততার প্রতি
অঙ্গীকার করতে হয়। আপনি আইন পাস করলেও সরাসরি বিচার কার্যে অংশ নিতে পারবেন না, এজন্য আপনাকে তালিকাভুক্ত ও সনদধারী আইনজীবী হতে হবে। একাউন্টেন্ট হতে হলেও আপনাকে শুধু হিসাববিজ্ঞান জানলে চলবে না, সংশ্লিষ্ট পেশাগত প্রতিষ্ঠানের সনদ নিতে হবে। এসব সনদের কারণে একজন পেশাজীবী তার নিজের পেশার প্রতি সৎ থাকার অঙ্গীকার করেন। সনদ থাকার কারণে আমরা সাধারণ মানুষরা বুঝতে পারি যে এই চিকিৎসক কি আইনজীবী আসলেই আমাকে সেবা দেয়ার যোগ্যতা অর্জন করেছেন কী না। সেবা প্রদানে গুরুতর কোনো অনৈতিকতা থাকলে আমরা বিচার প্রার্থী হতে পারি এবং দায়ী ব্যক্তির সনদ বাতিল করে তাকে পেশা থেকে সরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা আছে। তাই এই ধরনের পেশাদারিত্বের নিবন্ধন ও সনদ একজন মানুষকে নিজ পেশায় দায়িত্বশীল হতে বাধ্য করে। থাকে জবাবদিহিতাও। সাংবাদিকতার ক্ষেত্রেও তা হওয়া দরকার। কারণ সাংবাদিকদের লেখুনির উপর ভালোমন্ত্র অনেক কিছুই নির্ভর করে। সে ক্ষেত্রে সাংবাদিকতায় দায়িত্বশীল ব্যক্তিদেরই আসতে হবে। এতে করে সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকতার মর্যাদা বাড়বে। বিভাগ, জেলা এবং উপজেলা পর্যায়ে যারা সাংবাদিকতা করেন তাদের প্রকৃত তালিকা থাকা প্রয়োজন। দেশজুড়ে এভাবে সংবাদপত্রের যথেচ্ছ ব্যবহার বন্ধ করতে হবে। মটোরসাইকেল কিংবা পরিবহনে কারা সংবাদপত্র কিংবা সাংবাদিক লিখতে পারবেন তার নিতিমালা দরকার। কারণ প্রায়শই দেখা যায় সংবাদপত্র সেট দিয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেট কার কিংবা মটোরসাইকেলে অপরাধ সংঘটিত করছে দুর্বৃত্তরা। কোথাও কোথাও মাদক সরবরাহের কাজ করা হয় সংবাদপত্র লেখা গাড়ি দিয়ে। এই হচ্ছে আমাদের সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকতার পরিণতি। বর্তমান নতুন প্রযুক্তির যুগে প্রিন্টিং ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় পরিবর্তনের হাওয়া লেগেছে। তবে এ অবস্থায় দেশে দায়িত্বশীল সাংবাদিকতার নবযুগের সূচনা হয়েছে বলে মনে করি না। সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকতা দিন দিন প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে; মর্যাদা হারাচ্ছে। সেদিন ‘বাগেরহাটের অপ-সাংবাদিকরা বহালতবিয়তে’ শীরোনামে সংবাদ পড়লাম একটি দৈনিকে। সেখানকার অপ-সাংবাদিকরা নাকি রাজনৈতিক
পৃষ্ঠপোষকতায় বহালতবিয়তে। সৎ সাংবাদিকতা আছে কোনঠাসা অবস্থায় । এ চিত্র দেশের বিভিন্ন এলাকায়। অভিযোগ উঠেছে ঢাকা ও জেলা সদর থেকে প্রকাশিত অখ্যাত ও কুখ্যাত কতিপয় পত্রিকার মালিক পক্ষ সাংবাদিকতার মান যাচাই-বাছাই না করে বিজ্ঞাপন ও টুপাইস আদায়ের চুক্তিতে টাউট বাটপারদের হাতে পত্রিকার পরিচয়পত্র তুলে দিয়ে সৎ সাংবাদিকতাকে বিতর্কিত করছে। এতে সচেতন মহল বেশ উদ্বিগ্ন। ঐ সংবাদ পড়ে জানতে পারলাম বাগেরহাট জেলা পর্যায়ে কতিপয় সংবাদকর্মী লেখা পড়ার যোগ্যতায় মাধ্যমিক এমন কি প্রাইমারির গন্ডি পার হতে পারে নাই তারাও এক একজনে ইংরেজি, বাংলা জাতীয় ও আঞ্চলিক পত্রিকার ৪/৫টি পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে সাংবাদিক বনে গেছে। এরা বাগেরহাটের সুবিধাবাদী, রাজনীতিতে অদক্ষ ও ব্যবসায়ী রাজনৈতিক নেতাদের শেল্টার নিয়ে সাংবাদিকতার নামে চাঁদবাজি, বস্নাকমেইলিং করে চলেছে। এ অবস্থা দেশ জুড়েই। আজকাল মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এ পেশা সম্পর্কে নানা নেতিবাচক মন্তব্য অনেকের কাছে শুনতে হয়। আজকের এ নিবন্ধ ধান্দাবাজ, হলুদ সাংবাদিক এবং অপ-সাংবাদিককে ঘিরে, যারা সামপ্রতিককালে এ মহান পেশাকে কলুষিত করে রেখেছেন, অপেশাদার মনোভাব তৈরি করে সাংবাদিকতা-বাণিজ্য চালু করেছেন। এদের রাহু গ্রাস থেকে সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকদের বেরিয়ে আসতে হবে। এমনিতেই
নিরাপত্তার অভাবে রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে মুক্ত সাংবাদিকতার দ্বার। এ অবস্থায় সাংবাদিকরা নিজেরাই নিজেদের স্বার্থ দেখতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি
সাংবাদিকরা সকল বিভেদ ভুলে এক হবেন; অপ-সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবেন। সংবাদপত্র এবং সাংবাদিকতার মর্যাদা যেন ধুলায় ভূলন্ঠিত না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। সাংবাদিকদের বিভক্তি আর অপ-সাংবাদিকদের অপতৎপরতার সুযোগ নিচ্ছে রাজনৈতিক ও সামাজিক দুর্বৃত্তরা। নিরাপত্তার অভাবে রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে মুক্ত সাংবাদিকতার দ্বার। ফিরে আসুক সাংবাদিকতার মর্যাদা; নিরাপদ আর মুক্ত হাতে কলম ধরার পরিবেশ ফিরে পাক সাংবাদিকরা; রাহুমুক্ত হোক সংবাদপত্র। এই হোক আমাদের প্রত্যাশা।

৥ লেখক- মীর আব্দুল আলীম, সাংবাদিক, কলামিস্ট ও সমাজ গবেষক।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/১২:৫৪পিএম/৩০.৭.২০২১ইং)