• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ১১:০৬ পূর্বাহ্ন

সবচেয়ে কষ্টের ইবাদত ‘হজ্ব, হজ্বটা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করুন: হাবিবুল্লাহ বাতেন(ভিডিও)


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ১৯, ২০১৯, ১১:১৬ PM / ৪৪
সবচেয়ে কষ্টের ইবাদত ‘হজ্ব, হজ্বটা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করুন: হাবিবুল্লাহ বাতেন(ভিডিও)

সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি : করতোয়া ট্রাভেলস ইন্টারন্যাশনাল হজ্ব এজেন্সি’র পরিচালক মোঃ হাবিবুল্লাহ বাতেন সায়মন বলেছেন – ‘ইসলামে ৫টি ফরজ ইবাদতের মধ্যে উত্তম এবং সবচেয়ে কষ্টের ইবাদত হচ্ছে ‘হজ্ব’। এই হজ্বকে অনেকে বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করে বিভিন্নভাবে আলোচনায় আনেন। আমি সমস্ত হাজীদের প্রতি ‍উদাত্ত আহবান জানাই ইনশাল্লাহ আপনারা হজ্বে যাবেন হজ্ব করার জন্য। খেয়াল রাখবেন খাবার-দাবার সহ ছোটখাটো বিষয়কে প্রায়োরিটি না দিয়ে হজ্বটা সুন্দরভাবে সম্পন্ন করে আসতে। ‍মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি নেই। কেউ বলতে পারেনা কার মৃত্যু কখন।

তিনি আরো বলেন- ‘সমস্ত আল্লাহর মেহমানদের প্রতি আমার আহবান রইল যারা ছোটখাটো ভুল করেছেন তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। ক্ষমা একটি মহৎ গুণ। যাতে আগামীতে সৌদি ও বাংলাদেশ সরকার হজ্ব ব্যবস্থাপনা উন্নত করার জন্য যা যা চাইছেন আমরা সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করে এই ব্যবস্থাপনাকে আরো ভালো করতে পারি, সেই চেষ্টা যেনো করি।’

সম্প্রতি হাজীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগ এনে ‘করতোয়া হজ্ব এজেন্সীর’ বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদকে বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

মোঃ হাবিবুল্লাহ বাতেন সায়মন বলেন- ‘নারায়ণগঞ্জের করতোয়া ট্রাভেলস্ ইন্টারন্যাশনাল স্বনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান। আমি মনে করি প্রকৃত হজ্ব করতে যারা যেয়ে থাকেন তারা কখনোই সমালোচনা করেন না। কারণ, আগেই বলা হয়েছে- হজ্বের সফর একটি কঠিন সফর। সারা বিশ্ব থেকে প্রতি বছর প্রায় ৩০ লক্ষ্য হাজীর সমাগম হয় ভিন্ন একটি দেশে। সেখানে নিজ দেশ কিংবা নিজ বাড়ির মতো থাকা-খাওয়া কিংবা অন্যান্য সুবিধাদি আশা করাটা বোকামি।’

তিনি বলেন- ‘আমরা প্রশিক্ষণের দিনই প্রতিটি হাজী সাহেবকে সৌদিতে হজ্বে যাবার পর নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতার কথা বলে দেই। এরপরও কেউ কেউ সেখানে গিয়ে নানা ধরনের ঝামেলা সৃষ্টি করেন। আগে হাজীরা হজ্বের ইবাদতকেই খুব বেশি গুরুত্ব দিতেন, কিন্তু এখন আর তা হয়না।

মোঃ হাবিবুল্লাহ বাতেন সায়মন বলেন- ‘এ বছর নারায়ণগঞ্জ থেকে ৫১ জনকে পবিত্র হজ্ব পালনে সৌদি নেয়া হয়েছে। প্রত্যেকের টিকিটে ৩৩ দিনের মধ্যে ফিরতি উল্লেখ ছিল। কিন্তু তাদের মধ্যে কেউ কেউ সেখানে নানা ধরনের সমস্যা সৃষ্টির পর দাবি করলেন ৪৫ দিন রাখার জন্য। সরকারি চুক্তির বাইরে সময় বাড়ানো আমাদের পক্ষে কোনোভাবেই সম্ভব ছিলনা। এটি নিয়েও তারা কমপ্লিন করেছে।’

মোঃ হাবিবুল্লাহ বাতেন সায়মন জানান- ‘সদর থানার দায়িত্বশীল কর্মকর্তার মধ্যস্থতায় হাজী ও এজেন্সির মধ্যকার সমস্ত ভুল বোঝাবুঝি সমাধান হয়েছে। আমরা উভয় পক্ষ সেটি মেনে নিয়েছি। এরপরও ১/২টি স্থানীয় পত্রিকায় বিষয়টিকে কেন্দ্র করে অযথা জল ঘোলা করে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ ছাপানো হচ্ছে। আমার কোনো বক্তব্যও নেয়া প্রয়োজন মনে করছেন না তারা’।

সবশেষে তিনি সকল হাজীদের উদ্দেশ্যে বলেন- ‘মৃত্যুর কোনো গ্যারান্টি নেই। কেউ বলতে পারেনা কার মৃত্যু কখন। সমস্ত আল্লাহর মেহমানদের প্রতি আমার আহবান রইল যারা ছোটখাটো ভুল করেছেন তাদেরকে ক্ষমা করে দিবেন। ক্ষমা একটি মহৎ গুণ।’

অপরদিকে, ইসলামের দৃষ্টিতে হজ্ব করার উদ্দেশ্যে গিয়ে হাজীদের আচার আচরন কেমন হওয়া উচিত? এমন প্রশ্নের জবাবে মাওলানা মোহাম্মদ উল্লাহ বলেন- ‘‘নামাজ- যাকাতের যেমন নিয়ত রয়েছে, যে নিয়ত না করলে এই ইবাদতগুলো শুদ্ধ হয়না, ঠিক তেমনি পবিত্র হজ্বেরও নিয়ত রয়েছে। হজ্বের নিয়ত হলো- ‘হে আল্লাহ আমি হজ্বের জন্য নিয়ত করছি, আমার হজ্বকে কবুল করুন, সহজ করুন।’ তাহলে বোঝা গেলো যে অন্যান্য ইবাদতের তুলনায় হজ্ব পালন করা কঠিন। আর তাই এর নিয়তেই হজ্বকে সহজ করার কথা বলা হয়েছে। সুতরাং যা কঠিন, তাতে তো সমস্যা হবেই। ‘সে এইমাত্র মায়ের পেট থেকে ভূমিষ্ঠ হইল’ ঠিক এইভাবে তার জানামতে একটা মানুষের সাথেও তার লেনদেন, ঝগড়া বিবাদ, সমস্যা থেকে থাকে তাহলে সেইসব সমাধানে সকলের কাছে মাফ চেয়ে একেবারে ফ্রেশ হয়ে সে পবিত্র হজ্ব পালন করতে যাবে। কিন্তু যে লোকটা আল্লাহর মেহমান হয়ে হজ্ব এর উদ্দেশ্যে যাবে সে কোনো ফায়েশা কথা, সমালোচনা এসব করবেনা। যদি কারো সামান্য ভুলকে ধরে নিজের দেমাগ দেখিয়ে কেউ হজ্বে যায়, তাহলে তার হজ্ব কতটুকু কবুল হবে সেটা আপনারাই চিন্তা করুন।’’

ভিডিও সংবাদটি দেখতে নিচের লিংকে ক্লিক করুন-

https://www.facebook.com/dhakarn24/videos/2471115312999574/?t=15

 
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১১:১২পিএম/১৯/৯/২০১৯ইং)