• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১:০২ অপরাহ্ন

‘সকল খাস জমিতে একমাত্র অধিকার ভূমিহীন কৃষকের’


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ২৮, ২০২২, ১২:৩৯ AM / ২২৮
‘সকল খাস জমিতে একমাত্র অধিকার ভূমিহীন কৃষকের’

 

প্রেস বিজ্ঞপ্তি : ২৭ নভেম্বর বিকাল ৪টায় সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন, বাংলাদেশ কিষাণী সভা, বাংলাদেশ ভূমিহীন সমিতি, বাংলাদেশ আদিবাসী সমিতির যৌথ উদ্যোগে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি কমরেড বদরুল আলমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জায়েদ ইকবাল খানের পরিচালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা মহানগরে সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা কমরেড আবুল হোসেন, বাংলাদেশ শ্রমিক ফেডারেশন এর সাধারণ সম্পাদক এএএম ফয়েজ হোসেন, বাংলাদেশ জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সভানেত্রী শামীম আরা, রেডিমেড গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি লাভলী ইয়াসমিন, জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার, বাংলাদেশ ন্যাশনাল লেবার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক মরিয়ম আক্তার শিউলি, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশন এর কেন্দ্রীয় সহ-সভানেত্রী রেহেনা বেগম, কেন্দ্রীয় নেতা ও ঢাকা মহানগরের সভাপতি মোঃ শাহাবুদ্দীন মাতুব্বর ও সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, বাংলাদেশ ভাসমান নারী শ্রমিক ইউনিয়নের আফরোজা বেগম, বাংলাদেশ কিষাণী সভার নেত্রী আশা মণি,নাসরিন সুলতানা, কাজী রেনু প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৯১ সালের ২৭ নভেম্বর পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলার হাসপাতাল মাঠে ১৫ হাজার কিষাণ-কিষাণীদের সমাবেশে কৃষক নেতা কমরেড আবদুস সাত্তার খান দশমিনা উপজেলার ৪টি চরের ২২ হাজার একর খাস জমি ভূমিহীনদের দখল করার ঘোষণা দেন। কমরেড সাত্তার খানের ঘোষণা অনুযায়ী ১৯৯২ সালের ১ জানুয়ারি ত্রিশ হাজার ভূমিহীন কিষাণ-কিষাণী অর্থাৎ ৮ হাজার ভূমিহীন পরিবার চর বাঁশবাড়িয়া, চরহাদী ও চর শাহজালাল ও চর বোরহানের খাসজমি সরকারের ভূমি নীতিমালা অনুযায়ী ভূমিহীনরা দখল করে। চর দখল করতে গিয়ে চরহাদীতে ভূমিহীন নেতা নজির দেওয়ান শহীদ হন।

বক্তারা আরো বলেন, দেশব্যাপী সংগঠনের নেতৃত্বে ভূমিহীনদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ফলে ৭৬ হাজার একর খাসজমি এযাবৎ দখলে নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য অংশ বন্দোবস্তের আওতায় এসেছে। দেশে খাসজমির আন্দোলনের লড়াই করতে গিয়ে ভূমিহীন নেতা নজীর দেওয়ান, নারায়ন, ইসাহাক মোল্লা, জায়েদা বেগম ও আব্দুল করিম জীবন দিয়েছে। বহু ভূমিহীন নেতা জেল খেটেছে এবং পঙ্গু হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করেছে। তাদের ত্যাগ স্মরণীয় করে রাখার জন্য ১৪ এপ্রিল ২০১৮ পটুয়াখালী জেলার দশমিনা উপজেলায় চরহাদিতে চর সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের শিক্ষা ও বাণিজ্য উপদেষ্টা বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. হোসেন জিল্লুর রহমানসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ভূমিহীন কিষাণ-কিষাণীদের ৫ হাজার প্রতিনিধি সম্মেলনে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ২৭ নভেম্বরকে ‘ভূমি সংগ্রাম দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করা হয়।

বক্তারা বলেন, ‘ভূমি সংগ্রাম দিবস’ হচ্ছে দুনিয়ার সকল ভূমিহীনদের সংগ্রামী চেতনায় উদ্দীপ্ত হওয়া এবং ভূমিহীনদের মধ্যে সংহতি গড়ে তোলার দিবস।

বক্তারা প্রকৃত ও সমন্বিত ভূমির সংস্কার করা, দেশের সকল খাস ও পতিত জমি, অনুপস্থিত মালিকানা জমি ও জলাভুমি প্রকৃত ভূমিহীন ও জেলেদের মাঝে বন্দোবস্ত দেওয়া, কৃষকের ফসলের ন্যায্য মূল্য প্রদান, দ্রব্যমূল্য কমানো, কৃষকদের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার, সকল প্রকার কৃষি ঋণ ও এনজিও ঋণ মওকুফ করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।