• ঢাকা
  • বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ০৩:১১ অপরাহ্ন

লেনদেন কর কমানোর প্রস্তাব শেয়ারবাজারের


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১০, ২০১৭, ১:০৭ PM / ৩৪
লেনদেন কর কমানোর প্রস্তাব শেয়ারবাজারের

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে দেশের দুই স্টক এক্সচেঞ্জ। একই সঙ্গে স্টক এক্সচেঞ্জ দুটি লেনদেন কর কমানোরও প্রস্তাব করেছে। দীর্ঘ মেয়াদে শেয়ারবাজারের স্থিতিশীলতা ও উন্নয়নের স্বার্থে এ সুবিধা দেওয়া দরকার বলে মনে করছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)।
রাজধানীর সেগুনবাগিচায় জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সম্মেলনকক্ষে প্রাক্-বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব প্রস্তাব ও তার সপক্ষে যুক্তি তুলে ধরা হয়। ২০১৭-১৮ অর্থবছরের বাজেট সামনে রেখে এনবিআর আয়োজিত ধারাবাহিক প্রাক্-বাজেট আলোচনায় গতকাল রোববার বেলা তিনটায় স্টক এক্সচেঞ্জ, ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, মার্চেন্ট ব্যাংক, এসএমই ফাউন্ডেশনের সঙ্গে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনায় সিএসইর ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সাইফুর রহমান মজুমদার, ডিএসইর ভারপ্রাপ্ত এমডি আবদুল মতিন পাটোয়ারী, ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আহমেদ রশীদ লালি, এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষে এনবিআরের সাবেক সদস্য সাহাবুদ্দিন, বাংলাদেশ ইনস্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিআইএ) পক্ষে নাসির উদ্দিন আহমেদ, লিজিং অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে শান্তনু সাহা, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) পক্ষে আহসানউল্লাহ প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন।
ডিএসইর বাজেট প্রস্তাবনায়, স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানা থেকে ব্যবস্থাপনা (ডিমিউচুয়ালাইজেশন) আলাদা করার প্রেক্ষাপটে স্টক এক্সচেঞ্জকে দেওয়া কর অবকাশ-সুবিধা ২০১৯ সাল পর্যন্ত অব্যাহত রাখার সুপারিশ করা হয়। একই সুপারিশ করেছে সিএসইও। ডিএসই বলছে, বর্তমানে ডিএসই পরিচালন ক্ষতির সম্মুখীন। এ অবস্থায় ডিএসইর আয়ের ওপর করারোপ করা হলে তাতে লেনদেনের মাশুল বাড়াতে হবে, যার দায় গিয়ে পড়বে সাধারণ বিনিয়োগকারীর ওপর।
সাধারণ বিনিয়োগকারীর সুবিধার্থে ও শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে লেনদেনের ওপর ধার্য কর দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে দশমিক শূন্য শতাংশ করার প্রস্তাব করেছে ডিএসই। একই সুপারিশ করেছে সিএসইও। পাশাপাশি দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে বিনিয়োগকারীদের করমুক্ত লভ্যাংশ আয়ের সীমা ২৫ হাজার থেকে বাড়িয়ে ১ লাখ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
ডিএসই ব্লক হিসাবে রাখা স্টক এক্সচেঞ্জের মালিকানার ৬০ শতাংশ স্বয়ংক্রিয় শেয়ারের ওপর থেকে স্ট্যাম্প ডিউটি প্রত্যাহার করে নেওয়ারও সুপারিশ করেছে। ডিএসই ব্রোকারস অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষে আহমেদ রশীদ লালী প্রস্তাব করেন, ব্লক হিসাবে রাখা ৬০ শতাংশ শেয়ারের ওপর থেকে গেইন (মুনাফা) ট্যাক্স তুলে নেওয়ার।
এ ছাড়া উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয়, এমন কোম্পানির মধ্যকার কর হারের ব্যবধান বাড়ানোর সুপারিশ করেছে। এ ক্ষেত্রে ডিএসই এ ব্যবধান ১০ শতাংশ এবং সিএসই ৫ শতাংশ করার প্রস্তাব করে। আলোচনায় তুলে ধরার পাশাপাশি দুই স্টক এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে এসব প্রস্তাব এনবিআরে জমা দেওয়া হয়।
সিএসইর এমডি বলেন, পুঁজিবাজারের দীর্ঘমেয়াদি স্থিতিশীলতার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সরকারের নীতি সহায়তা।
মার্চেন্ট ব্যাংকের পক্ষ থেকে অনাদায়ি সুদকে করমুক্ত রাখার প্রস্তাব করা হয়। পাশাপাশি পুঁজিবাজার-সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানের প্রাতিষ্ঠানিক (করপোরেট) কর হার একই করার প্রস্তাব করেছে বিএমবিএ প্রতিনিধি।
এসএমই ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ খাতের বেশ কিছু পণ্যে শুল্ক হার কমানো ও দেশে পাওয়া যায়, এমন পণ্য বিদেশ থেকে আমদানির ক্ষেত্রে সম্পূরক শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। হস্তশিল্পজাত পণ্যের জন্য আলাদা এইচএস কোড চালুরও প্রস্তাব করেছে এসএমই ফাউন্ডেশন।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /০১.০৬ পিএম/১০//২০১৭ইং)