• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৭:১০ অপরাহ্ন

‘রামপালের প্রভাবে বছরে ৬ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু হবে’


প্রকাশের সময় : মে ৫, ২০১৭, ৯:৩০ PM / ৫৪
‘রামপালের প্রভাবে বছরে ৬ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু হবে’

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : রামপালে প্রস্তাবিত ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র সারা বাংলাদেশের বায়ু দূষণকারী উৎসের মধ্যে বৃহত্তর উৎস হবে মন্তব্য করেছেন সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্ববায়ক সুলতানা কামাল। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্রের ফলে ঢাকা ও কলকাতার বাসিন্দারা, বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধরা বায়ু দূষণে মারাত্মক আক্রান্ত হবে। এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাবে বছরে ৬ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু এবং ২৪ হাজার শিশু কম ওজনে জন্ম নেবে বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) গোলটেবিল মিলনায়তনে শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সুলতানা কামাল।
‘রামপাল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বায়ুর গুণমান, বিষাক্ততা ও মানবদেহের ওপর এর প্রভাব’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা কামাল আরো বলেন, ‘বিদ্যুৎকেন্দ্রের উদগীরণ সুন্দরবন ইকোসিস্টেমসহ সমগ্র দক্ষিণ-পশ্চিম বাংলাদেশের এবং খুলনা, অশোকনগর, কল্যাণগড়, সাতক্ষীরা, বেগমগঞ্জ, বশিরহাট, নরসিংদী, নোয়াখালী, বাসীপুর ও কুমিল্লা অঞ্চলের ওপরে বাতাসে বিষাক্ত ধুলিকণার মাত্রা অধিকতর খারাপ করে দেবে।’
তিনি বলেন, ‘সমগ্র কর্মক্ষম সময়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্গমন-স্ট্রোক, ফুসফুসের ক্যান্সার, বয়স্কদের হৃদযন্ত্রের ও শ্বাসতন্ত্রের রোগসমূহের সঙ্গে সঙ্গে শিশুদের শ্বাস-প্রশ্বাসের উপসর্গের ঝুঁকি অনেকগুণ বাড়িয়ে দেবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সুলতানা কামাল বলেন, ‘বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয় যত তথ্য দিচ্ছে তা অসত্য। তারা তথ্য দিতে চাইছে না। বরং মন্ত্রণালয় অসত্য প্রচার করছে।’
‘এ বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রভাবে বছরে ৬ হাজার মানুষের অকাল মৃত্যু এবং ২৪ হাজার শিশু কম ওজনে জন্ম নেবে বলেও গবেষণায় উঠে এসেছে। গবেষণায় আরো জানানো হয়, প্লান্টের জীবদ্দশায় ১০ হাজার কেজি পারদ, কয়লার ছাই পুকুরে জমা হবে, যা বন্যায় প্লাবিত হতে পারে। এ অতিরিক্ত পারদ সুন্দরবন ও বঙ্গোপসাগরের জলজ খাদ্য চক্রকে আরো ঝুঁকিতে ফেলবে’ বলেন সুলতানা কামাল।
সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি ও বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন— বাপা সভাপতি আব্দুল মতিন, শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুন নাহার প্রমুখ।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৯:৩০পিএম/৫/৫/২০১৭ইং)