• ঢাকা
  • বুধবার, ২৯ মে ২০২৪, ১১:২৯ অপরাহ্ন

রাজশাহীতে বাড়ছে রসুনের আবাদ


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৩০, ২০১৭, ৯:৩৬ PM / ৩৯
রাজশাহীতে বাড়ছে রসুনের আবাদ

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

রাজশাহী অঞ্চলে গত চার বছরে রসুনের আবাদ বেড়েছে ১০ হাজার ৭৫১ হেক্টর। এর মধ্যে একটি বড় অংশ রয়েছে বিনাচাষের রসুন। বিশেষ করে নাটোরে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে এ রসুন চাষ।

আঞ্চলিক কৃষি দফতরের হিসাব মতে, গত চার বছরে সব মিলিয়ে এ অঞ্চলে রসুনের উৎপাদন বেড়েছে ৯৪ হাজার ৭২৩ মেট্রিক টন। তবে দেশের চাহিদার তুলনায় রসুন উৎপাদন কম হওয়ায় আমদানির ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে এখনও।

কিন্তু বিক্রেতারা বলছেন, খেত থেকে দেশি রসুন ওঠায় আমদানি কমেছে বিদেশি রসুনের। এতে আমদানিকৃত রসুনের দাম বেড়েছে।

রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রতিকেজি আমদানিকৃত রসুন বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২১০ টাকায়। যেখানে দেশি রসুন এর অর্ধেক ১০০ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

রাজশাহী, নওগাঁ, নাটোর ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা নিয়ে রাজশাহী কৃষি অঞ্চল। বিভিন্ন জেলার বিল ও জলা এলাকাগুলোয় ছড়াচ্ছে রসুন চাষ। প্রতি বছরই বাড়ছে চাষের পরিধি।

আঞ্চলিক কৃষি দফতরের হিসেবে, গত ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে এ অঞ্চলে রসুন চাষ হয়েছিল ২২ হাজার ৭৭০ হেক্টর। এর মধ্যে ১৪ হাজার ৮০৫ হেক্টর চাষ হয়েছিল নাটোরে। নাটোরের চলন বিলের বিরাট অংশজুড়ে চাষ হয় রসুন। সে বছর পুরো অঞ্চলে রসুন উৎপাদন হয় এক লাখ ৬২ হাজার ৮৭৫ মেট্রিক টন।

২০১৪-২০১৫ অর্থবছরে ৩ হাজার ৫৪৫ হেক্টর বেড়ে চাষ হয় ২৬ হাজার ৩২৫ হেক্টর। ৩৬ হাজার ৬৪১ মেট্রিক টন বেড়ে সেবার উৎপাদন ছিল এক লাখ ৯৯ হাজার ৪৮৯ মেট্রিক টন। গত দুই বছরে ৭ হাজার ১৯৫ হেক্টর চাষ এবং ৫৮ হাজার ১০৯ মেট্রিক টন উৎপাদন বেড়েছে।

সর্বশেষ ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে রসুন চাষ হয়েছে ৩৩ হাজার ৫২১ হেক্টর। ৭ দশমিক ৭ মেট্রিক টন হারে উৎপাদন হয়েছে দুই লাখ ৫৭ হাজার ৫৯৮ মেট্রিক টন।

কৃষি দফতরের দেয়া তথ্যমতে, বর্ষার পানি নেমে যাবার সঙ্গে সঙ্গে ভেজা মাটিতে রসুনের বিজ বোনেন চাষিরা। এতে চাষ ও সেচ দেয়ার প্রয়োজন পড়ে না। চারা গজানোর কিছুদিনের মাথায় নিড়ানি দিয়ে আগাছা পরিষ্কার করে নিতে হয়। এসময় প্রয়োগ করতে হয় সার। এরপর আরে কোনো কাজ নেই। তিন থেকে সাড়ে তিন মাসের মাথায় রসুন সংগ্রহ করতে হয়।

চাষিরা জানিয়েছেন, প্রতি বিঘা রসুন চাষে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা খরচ হয়। সবমিলিয়ে বিঘায় রসুন উৎপাদন হয় ৩০ থেকে ৩৫ মণ। প্রতিমণ এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিবিঘায় খরচ বাদে থাকে ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা।

রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক দেবদুলাল ঢালি বলেন, মূলত নাটোরে ব্যাপক রসুন চাষ হয়। রাজশাহীতেও দিন দিন বাজছে এর পরিধি। বাজারে রসুনের দাম অনেকটাই স্থিতিশীল থাকে। এছাড়া বিনাচাষে রসুন আবাদ হচ্ছে। লাভ বেশি হওয়ায় চাষিরা রসুন চাষে ঝুঁকছেন।

তিনি আরো বলেন, এখনও এ অঞ্চলে উৎপাদিত রসুন সংরক্ষণের সুব্যবস্থা নেই। বিশেষ হিমাগার হাতে গোনা। ফলে চাষিরা নিজেদের মতো করে রসুন সংরক্ষণ করেন। এতে স্থানীয় কৃষি দফতরগুলো কৃষকদের পরামর্শ দিচ্ছে।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম ০৯.৩৫পিএম/৩০//২০১৭ইং)