

বিশেষ সংবাদদাতা : গেল ৩১ নভেম্বর শুক্রবার রংপুর-৪ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী এমদাদুল হক ভরসা নারায়ণগঞ্জে বসবাসরত জনগনের সাথে মত- বিনিময় সভা করেছেন।শুক্রবার বিকেলে হাজীগঞ্জ পানিরকল জব্বর কলোনীতে মত- বিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।এমদাদুল হক ভরসার আগমনের খবর পেয়ে তাকে একনজর দেখতে নারায়ণগঞ্জে বসবাসরত রংপুরের বিপুল সংখ্যক নারী পুরুষ দূরদূরান্ত থেকে এসিআই জব্বর কলোনী এসে অনুষ্ঠানস্থলে ভীড় জমায়।মত- বিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন শহর ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র সহ সভাপতি,সাবেক জেলা যুবদলের যুগ্ন আহবায়ক পানিরকল জব্বর কলোনী এলাকার সমাজসেবক ও বিএনপি নেতা কাজী ইফতেখার কায়েস রোমেল।মত-বিনিময় বক্তব্য রাখেন,সুবক্তা, ও স্পষ্টভাষী,জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির যুগ্ন- আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, সরকারী তোলারাম কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ছাত্র প্যানেল থেকে অংশ নেয়া ভিপি প্রার্থী সাবেক জেলা ছাত্রদল নেতা জয়নাল আবেদিন।
মত- বিনিময় সভায় ধানের শীষে ভোট প্রার্থনা এবং রংপুর-৪ আসনে ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান এমদাুল হক ভরসা এবং নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে আরেক ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সদস্য মাসুদুজ্জামান মাসুূদ ভাইয়ের জন্য সমর্থন প্রার্থনা করেন বক্তারা।
রংপুর-৪ (কাউনিয়া-পীরগাছা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য বিএনপি’র প্রখ্যাত রাজনৈতিক নেতা এবং উত্তর বঙ্গের শ্রেষ্ঠ করদাতা শিল্পপতি মরহুম আলহাজ্ব রহিম উদ্দিন ভরসার সুযোগ্য পুত্র আলহাজ্ব এমদাদুল হক ভরসা এখন জনগণের কাছে পরিচিত হয়ে উঠেছেন “জুলাই যোদ্ধা” নামে। তিনি শুধু রাজনীতিক নন, বরং গণআন্দোলন ও জনজাগরণের এক প্রতীক। তাঁর পিতা, উত্তরবঙ্গের কিংবদন্তি রাজনীতিবিদ মরহুম আলহাজ্ব রহিম উদ্দিন ভরসার আদর্শ ও পথ অনুসরণ করেই তিনি রাজনীতির ময়দানে প্রবেশ করেন। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে গণঅভ্যুত্থান চলাকালে এমদাদুল হক ভরসা সরাসরি মাঠে ময়দানে থেকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ান। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনের অন্যতম ফ্রন্টলাইনের নেতা হিসেবে তাঁর সাহসী ভূমিকা কাউনিয়া-পীরগাছা বাসীর হৃদয়ে গেঁথে যায়। তখন থেকেই তাঁকে “জুলাই যোদ্ধা” বলে সম্মান জানায় এলাকাবাসী। শিল্পপতি হিসেবে এমদাদুল হক ভরসা দীর্ঘদিন ধরে নিজ অর্থায়নে এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। রাস্তাঘাট, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কর্মসংস্থানে তাঁর অবদান চোখে পড়ার মতো। বিশেষভাবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়নসহ একাধিক উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে তিনি কাজ করে চলেছেন নিরলসভাবে। জাতীয় নির্বাচনে একাধিকবার অংশ নিলেও, স্থানীয়দের দাবি—তাঁর জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও দুর্নীতিগ্রস্ত ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের ষড়যন্ত্রে তিনি পরাজিত হন। ভরসা দাবি করেন, প্রতিবারই প্রশাসনকে ব্যবহার করে তাঁকে ঠেকানো হয়েছে। এই সরকারের আমলে তিনি বহুবার মিথ্যা মামলা ও রাজনৈতিক হামলার শিকার হয়েছেন বলেও জানান। তবুও হার মানেননি এমদাদুল হক ভরসা। তিনি বলেন, জনগণের ভালোবাসাই আমার শক্তি। এইবার কাউনিয়া-পীরগাছার মানুষ সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেবে ইনশাআল্লাহ। আমি আশাবাদী, জনগণ আমাকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবে। এখন সময়ের দাবি—একজন সাহসী, সৎ ও জনবান্ধব নেতার নেতৃত্বে রংপুর-৪ আসনে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের সূচনা।
উল্লেখ্য,নারায়ণগঞ্জে প্রচুর সংখ্যক ভোটার বসবাস করেন।এর মধ্য দীর্ঘ সময় ধরে বসবাসরত অনেক রংপুরবাসী নারায়ণগঞ্জ-৫,৪ ও ৩ আসনের ভোটার হয়েছেন।যারা রংপুর -৪ আসনের ভোটার তাদেরকে নির্বাচনের আগের দিন রংপুরে চলে আসার আহবান জানান বক্তারা এবং যারা নারায়ণগঞ্জ -৫ আসনের ভোটার তাদেরকে ধানের শীষে ভোট দেয়ার আহবান জানান প্রধান অতিথি এমদাদুল হক ভরসা। তিনি মত-বিনিময় সভা আয়োজন এবং সফল করার জন্য সমাজসেবক কাজী ইফতেখার কায়েস রোমেলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :