• ঢাকা
  • সোমবার, ১৩ মে ২০২৪, ০৩:৩১ অপরাহ্ন

যুক্তরাষ্ট্রের আগে মঙ্গলে যাবে রাশিয়া : পুতিন


প্রকাশের সময় : মার্চ ১৬, ২০১৮, ৬:৫৬ PM / ৩০
যুক্তরাষ্ট্রের আগে মঙ্গলে যাবে রাশিয়া : পুতিন

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : রাশিয়া ২০১৯ সালে মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার জন্য একটি মিশন চালু করবে এবং তাতে সফল হলে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার এক বছর আগেই লাল গ্রহে গিয়ে পৌঁছবে রুশরা।

বৃহস্পতিবার নিউজ উইক জানিয়েছে, পুতিনের উপর তৈরি একটি ডকুমেন্টারিতে রুশ প্রেসিডেন্ট তার দেশের মহাকাশ অভিযানের পরিকল্পনার কথা জানান। ডকুমেন্টারিটি ইন্টারনেটে সামাজিক মাধ্যমগুলোতে অনেক মানুষ শেয়ার করেন।

পুতিন বলেন, ‘আমরা চাঁদ ও মঙ্গল গ্রহে অনুসন্ধান চালানোর জন্য মহাশূন্যের গভীরে প্রথমে মনুষ্যবিহীন ও পরে মানুষসহ নভোযান পাঠানোর পরিকল্পনা করছি। প্রথম অভিযানটি খুব শিগগিরই শুরু হবে। ২০১৯ সালে মঙ্গল গ্রহে অভিযান শুরুর পরিকল্পনা করছি আমরা।’

নাসা ২০২০ সালে মঙ্গল গ্রহে জীবন ধারণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা শুরু করার ঘোষণা দেয়ার ঠিক পরপরই এই ঘোষণা দিলেন পুতিন।

রোববার অনুষ্ঠিতব্য রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিন আবারও জয়ী হবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নির্বাচনের আগ মুহূর্তে প্রচারিত তথ্যচিত্রটিতে পুতিন চাঁদে যাওয়ার জন্যও নতুন করে প্রকল্প চালু করার কথা জানান। তবে সোভিয়েত আমলে চাঁদে যাওয়ার যেসব মিশন চালু করা হয়েছিল, সেসব থেকে নতুন মিশনটি ভিন্ন হবে বলে জানান তিনি।

পুতিন বলেন, ‘আমাদের বিশেষজ্ঞরা চাঁদের মেরু অঞ্চলে নভোযান অবতরণ করানোর চেষ্টা করবেন। সেখানে অনেক অগ্রগতির সুযোগ রয়েছে রয়েছে। অন্য গ্রহ ও দূরের মহাকাশ পর্যবেক্ষণ শুরু করা যাবে সেখান থেকে।’

২০১৯ সালের ঠিক কোন সময়ে মঙ্গল গ্রহে অভিযান শুরু করা যাবে, তা নির্দিষ্ট করে বলেননি পুতিন। নাসার মিশনটি শুরু হবে ২০২০ সালের জুলাই থেকে আগস্ট মাসে শুরু হওয়ার কথা। ওই সময়ে পৃথিবী ও মঙ্গল গ্রহ নভোযান অবতরণের জন্য সবচেয়ে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকে।

মহাশূন্য অভিযান প্রতিযোগিতা বা স্পেস রেসের উত্তেজনা ক্রমেই বাড়ছে। বিলিওনেয়ার ইলন মাস্ক গত রোববার সাউথ বাই সাউথওয়েস্ট কনফারেন্সে বলেন, আগামী বছরেই তার স্পেসএক্স মার্স রকেট পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের উপযোগী হয়ে উঠতে পারে। আগে তিনি ২০২২ সালের মধ্যে মহাকাশে মালামাল পরিবহনের জন্য নভোযান পাঠানোর পরিকল্পনা জানিয়েছিলেন।

এখন পর্যন্ত মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার জন্য রাশিয়ার অভিযান ব্যর্থ হয়েছে। ২০১১ সালে ফোবোস-গ্রান্ট অনুসন্ধানী যান উৎক্ষেপণের পর মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথের দিকে পাঠানো সম্ভব হয়নি। মঙ্গলের চাঁদ ফোবোস থেকে নমুনা সংগ্রহ করে আনার কথা ছিল নভোযানটির।

রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমস শিয়াপারেলি এডিএম ল্যান্ডার মিশনে ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সির সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে। ওই মিশনে রাশিয়ার রকেট ব্যবহার করা হয়। শিয়াপেলি ল্যান্ডার মঙ্গলের বুকে ক্র্যাশ লান্ড করলেও সেটি অবতরণ সম্পর্কিত কিছু তথ্য পৃথিবীতে পাঠাতে সক্ষম হয়েছিল।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৬:৫৬পিএম/১৬/৩/২০১৮ইং)