ঢাকারনিউজ২৪.কম, যশোর : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সেকশন অফিসার ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পাওয়া ৩১জনের বেতন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে অনিয়মের অভিযোগ থাকায় তাদের এপ্রিল মাসের বেতন ছাড় করেনি। যাচাই বাছাই করে তাদের ব্যাপারে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. আবদুস সাত্তারের শেষ মেয়াদে নিয়োগের হিড়িক পড়ে যবিপ্রবিতে। এরমধ্যে উল্লেযোগ্য হলো- সেকশন অফিসার পদে ৪জনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ১১জন ও কম্পিউটার অপারেটর পদে ১০জনের বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ২০জন নিয়োগ দেওয়া হয়। এদের মধ্যে সেকশন অফিসার-২ পদের ৮জনকে সহকারী রেজিস্ট্রার, উপ-পরিচালক (হিসাব), পিএস টু ভাইস চ্যান্সেলর, উপ-পরিচালক (শারীরিক শিক্ষা), স্টোর অফিসার, নির্বাহী প্রকৌশলী, তথ্য কর্মকর্তা, সহকারী পরিচালক (বাজেট) পদের বিপরীতে নিয়োগ দেখানো হয়েছে।
অপরদিকে অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ পাওয়া ২০ জনের মধ্যে চারজনকে সিকিউরিটি সুপারভাইজার, সহকারী টেকনিক্যাল অফিসার, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, হিসাব সহকারী কর্মকর্তা পদের বিপরীতে নিয়োগ দেখানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তি ছাড়া অতিরিক্ত জনবল নিয়োগের বিষয়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়। মূলত ব্যাপক অর্থবাণিজ্যের মাধ্যমে ওইসব নিয়োগ দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি ৩৮তম, ৮মার্চ ৩৯তম ও ৩০মার্চ ৪০তম সভায় এই সব নিয়োগের বৈধতা দেওয়া হয়।
পরবর্তীতে নতুন উপাচার্য হিসেবে গত ২০ মে ড. মো: আনোয়ার হোসেন যোগদান করেছেন। প্রথম কর্মদিবসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ে করেন। এসময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপাচার্য ড. আনোয়ার হোসেন বলেন, অতিরিক্ত জনবল নিয়োগের সুযোগ নেই। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের অনুমোদন ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ দিতে পারে না। নিয়োগে অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
নতুন উপাচার্য দায়িত্ব গ্রহণের পর সেকশন অফিসার পদের ১০জন ও অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদের ২০জনসহ ৩১জনের বেতন স্থগিত রেখেছেন। নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
যবিপ্রবি সহকারী পরিচালক (হিসাব) জিএম দীন মোহাম্মদ বলেন, নতুন নিয়োগ প্রাপ্ত ৩১জন সেকশন অফিসার ও অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগপ্রাপ্তদের এপ্রিল মাসের বেতনের কোন সিদ্ধান্ত আমাদের দপ্তরে আসেনি।
তবে নিয়োগপ্রাপ্তদের দাবি, যদি নিয়োগে কোন ত্রুটি থাকে, তার জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ দায়ী। এজন্য আমরা মোটেও দায়ী নয়। আমরা চাকরিতে যোগদান করেছি। আমাদের বেতন ছাড় করা হোক।
বিভিন্ন পদের বিপরীতে সেকশন অফিসার ও কম্পিউটার অপারেটর নিয়োগের সুযোগ আছে কি না জানতে চাইলে রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, যাচাই বাছাই কমিটির সুপারিশে তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। যারা নিয়োগ দিয়েছেন তারাই ভাল বলতে পারবেন। তবে বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন নিয়োগের নজির আছে।
রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী আহসান হাবীব আরো বলেন, সেকশন অফিসার ও কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ নিয়ে পত্রিকায় লেখালেখি হয়েছে। এজন্য উপাচার্য মহদোয় বেতন ছাড় করেননি। তিনি নিয়োগের বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন। তারপর বেতন ছাড়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১:২০পিএম/২৩/৫/২০১৭ইং)
আপনার মতামত লিখুন :