• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন

ম্যালেরিয়ার চেয়েও বেশী শিশু মৃত্যুর কারণ বায়ু দূষণ


প্রকাশের সময় : মার্চ ১১, ২০১৭, ১০:৩৯ PM / ৪২
ম্যালেরিয়ার চেয়েও বেশী শিশু মৃত্যুর কারণ বায়ু দূষণ

 

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : পাঁচ বছরের কম বয়সী সব শিশুদের এক চতুর্থাংশ মৃত্যুর কারণ হলো অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের (WHO) একটি নতুন প্রতিবেদন অনুযায়ী, বর্তমানে ১.৭ মিলিয়ন শিশু বিরাট স্বাস্থ্য ঝুঁকির আওতায় আছে। এসব ঝুঁকির কারণ হচ্ছে বায়ু দূষণ, সেকেন্ড হ্যান্ড স্মোকিং এবং দূষিত পানি।
“শিশুদের জন্য দূষিত পরিবেশ হতে পারে মারাত্মক,” বলেন WHO এর ডিরেক্টর জেনারেল মার্গারেট চ্যান। “তাদের বাড়ন্ত শরীর দূষিত বায়ু এবং পানির প্রভাবে বেশী আক্রান্ত হয়।”

সারা বিশ্বে শিশুদের জন্য সবচাইতে বড় ঝুঁকি হিসেবে ধরা যেতে পারে বায়ু দূষণকে। নিউমোনিয়ার মতো শ্বাসযন্ত্রের ইনফেকশন যেগুলো ঘর ও বাহিরের দূষিত বায়ুর কারণে হয়, প্রতি বছর পাঁচ বছরের কম বয়সী ৫ লক্ষ ৭০ হাজার শিশুর মৃত্যুর কারণ। ম্যালেরিয়া এবং দূষিত পানিতে শিশু মৃত্যুর কারণের চাইতেও তা অনেক বেশী।

শুধু এখানেই দূষিত বায়ুর ক্ষতির মাত্রা সীমাবদ্ধ নয়। গর্ভবতী মায়েরা দূষিত বাতাসে শ্বাস নেবার কারণে তাদের শিশু প্রিম্যাচিওর হতে পারে। অনেকে আবার অ্যাজমার মতো সমস্যা নিয়ে বেড়ে ওঠে। তাদের বেড়ে ওঠার প্রক্রিয়া ধীর করে দিতেও পারে এই দূষণ।

স্যানিটেশন এবং পানি দূষণও পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুদের মৃত্যুর জন্য দায়ী। প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী ৩ লক্ষ ৬১ হাজার শিশু ডায়ারিয়ায় মারা যায়। আশংকার ব্যাপার হলো, সাম্প্রতিক সময়ে প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে দূষণের মাত্রাটাও বাড়ছে। ইলেকট্রনিক বর্জ্য, যেমন সঠিকভাবে রিসাইকেল না করা কম্পিউটার এবং মোবাইল স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি করে। প্রতিবছর ১৮-৪৫ মিলিয়ন টন বর্জ্য তৈরি হয় সারা বিশ্বে, এর বেশীরভাগই চলে যায় পূর্ব এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে। সেখানে কিছুটা রিসাইকেল করা হয় এগুলোকে। অনেক সময়ে পুড়িয়ে বা এসিডে ডুবিয়ে তা করা হয়, যাতে দামী অংশগুলো নিয়ে নেওয়া যায়। কিন্তু এই প্রক্রিয়ায় ক্ষতিকর ধোঁয়া নির্গত হয়। এতে থাকে প্রচুর টক্সিক এবং হেভি মেটাল। ক্যান্সার, কার্ডিওভাস্কুলার রোগ এমনকি অনেক সময়ে শিশুদের বুদ্ধিমত্তা কমিয়ে দেওয়ার জন্য দায়ী এই ধোঁয়া।

WHO কিছু কাজের একটি তালিকা প্রকাশ করেছে, যে কাজগুলো করলে সরকার তাদের দেশের শিশুদের স্বাস্থ্যের উন্নতি করতে পারবে। এর মাঝে স্কুলে নিরাপদ পানি সরবরাহ থেকে শুরু করে শহরে পার্ক নির্মাণ পর্যন্ত বিভিন্ন পরামর্শ আছে। সূত্র : আইএফএলসায়েন্স

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:৩৫পিএম/১১/৩/২০১৭ইং)