• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৭:৫৪ পূর্বাহ্ন

মায়ের পছন্দের নায়ককে খুব কাছ থেকে দেখি


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২২, ২০১৭, ১২:৫১ PM / ৪৮
মায়ের পছন্দের নায়ককে খুব কাছ থেকে দেখি

 

সোনিয়া দেওয়ান প্রীতি : কিংবদন্তী এই (সাধারনবেশী) মানুষটার সাথে আমার প্রথম দেখা হয়েছিল একটি নাটকের স্ক্রিপ্ট এর সূত্র ধরে। জীবনে প্রথম মায়ের পছন্দের নায়ককে খুব কাছ থেকে দেখি। লক্ষ্মীকুঞ্জের নিরিবিলি খোলামেলা পরিবেশে ড্রয়িং রুমের মতো করেই সাজানো বারান্দায় বসে অপেক্ষা করছিলাম তার আসার। এর আগে ফোনেই মিটিংটা ফিক্সড করে নিয়েছিলাম। সাথে ছিল সহকর্মী বন্ধু অভিনেতা এডভোকেট সৈকত। স্ক্রিপ্টটা আমাদের দু’জনেরই লেখা। পাঠিয়েছিলেন নায়ক রাজের টানা ২০ বছরের সহকারী পরিচালক রফিউদ্দিন বাবু ভাই। আইন ও সাংবাদিকতা পেশার পাশাপাশি আমি এবং সৈকত দু’জনেই তখন বাবু ভাইয়ের বিভিন্ন নাটক ও শর্ট ফিল্মে সহকারী হিসেবে কাজ করি। তবে ফোনে মিটিং ফিক্সড করার আগে সাংবাদিক পরিচয়ের বাইরে বাবু ভাইয়ের এসিসটেন্ট এর পরিচয়টা দেইনি। কিংবা সৈকতের কথাও বলিনি তাকে। এরপর প্রিয় নায়ক এলেন। মাথায় ক্যাপ, চোখে কালো গগজ, সাধারন শার্ট-প্যান্ট পরিহিত, হাত দুটো প্যান্টের পকেটে গুজা। উচ্চতা, গায়ের রঙ আর কথা বার্তা এবং তার আচরণে তিনি পুরুদস্তুর আমার মতো খুব সাধারন মানুষদের মতোই। খুব সাধারন ব্যবহার তার। কিংবদন্তি তারকা হিসেবে ছোট্ট একটা পুঁচকি মেয়ের সামনে বিন্দুমাত্র অহংকার নেই। নাটকটা নিয়ে আলোচনা করলাম। রাজ-লক্ষ্মী প্রোডাকশন থেকে তিনি তখন সিনেমার বাইরেও নাটক তৈরির ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরপর চা-নাস্তার ফাঁকে প্রায় আধ ঘন্টার মতো কথা হলো। খুব অান্তরিকতার সাথেই বললেন- নাটকের স্ক্রিপ্টটা সিগনেচার ও ফোন নাম্বার দিয়ে তার কাছে রেখে যেতে, তিনি সময় করে পুরোটা পড়ে দেখবেন। এছাড়া সাংবাদিক হিসেবে যে কোনো চলচ্চিত্র সংক্রান্ত সংবাদের প্রয়োজনে তাকে ব্যক্তিগত নাম্বারে কল করার জন্য বললেন। সবশেষে বাবু ভাইয়ের পরিচয়টা দিয়ে চলে এলাম। সেদিন হাতে হাতে এন্ড্রয়েড মোবাইলের খুব একটা ব্যবহার ছিলনা। আমার হাতেও ছিলনা, তাই ছবি তুলে রাখতে পারিনি প্রিয় নায়কের সাথে। এরপর সংবাদের প্রয়োজনে বক্তব্য নিতে একাধিকবারই কথা হয়েছে ফোনে। সর্বশেষ নায়ক রাজের জন্মদিন উপলক্ষ্যে চ্যানেল আই বিশেষ লাইভ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল। সেদিন রফিউদ্দিন বাবু ভাইকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়। কারণ, ওই অনুষ্ঠানের মাধ্যমেই নায়ক রাজকে নিয়ে লেখা রফিউদ্দিন বাবু ভাইয়ের দ্বিতীয় বইটির মোড়ক উন্মচন করা হয়। সেখানে আমাকে নিয়েও ১/২টি কথা নাকি বলা হয়েছিল। কারণ, দ্বিতীয় বইটির সম্পাদনা করেছিলাম আমি। বাবু ভাই ফোন করে খুব উচ্ছ্বাসের সাথে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি বিশেষ প্রজেক্টের কাজে খুব ব্যস্ত থাকায় অনুষ্ঠানটি দেখা হয়নি। এখানে বলে রাখি যে- অমর এ নায়ক এর জীবনী নিয়ে বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বই লিখেন রফিউদ্দিন বাবু ভাই। এরপর হয়ত অনেকেই লিখেছেন। যাই হোক্, দীর্ঘদিন অসুস্থ অবস্থায় থেকে আজ তিনি একেবারেই চলে গেছেন না ফেরার দেশে। আপনার জন্য অনেক অনেক দোয়া করি স্যার। যেখানেই থাকুন, ভাল থাকুন। আল্লাহ আপনাকে জান্নাতবাসী করুন। আমীন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১২:৫০পিএম/২২/৮/২০১৭ইং)