• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৮:০২ অপরাহ্ন

মাহে রমজান : রহমতের ৫ম দিবস, যাকাত দিলে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর হয়


প্রকাশের সময় : মে ১০, ২০১৯, ১০:৪৩ PM / ২৯
মাহে রমজান : রহমতের ৫ম দিবস, যাকাত দিলে ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর হয়

মুন্নি আলম মনি, (ফতুল্লা, নারায়ণগঞ্জ) : ১১ মে (শনিবার) মাহে রমজানের ৫ম দিন এবং রহমতের ৫ম দিবস। সেহরীর শেষ সময় ৩টা ৪৯ মিনিট পর্যন্ত এবং ইফতারের সময় ৬টা ৩৬মিনিটে। আজ আমরা আলোচনা করবো যাকাতের নিসাব সম্পর্কে।

নিসাব মানে নির্ধারিত পরিমাণ বা মাত্রা। যে পরিমাণ সম্পদ থাকলে যাকাত ফরজ হয়,তাকে নিসাব বলে। অর্থাৎ দৈনন্দিন প্রয়োজনীয় ব্যয় বাদে নিসাব পরিমাণ মালের অধিকারী হলে বছর পূর্তিতে একটি নির্দিষ্ট অংশ আল্লাহর নির্ধারিত খাদে যাকাত দিতে হয়। নিমে¥ সম্পদ নিসাব পরিমাণ থাকলে যাকাত দিতে হয়।
১. সোনা ,রূপা (নগদ গহনাপত্র) ২. গবাদি পশু, ৩. জমিতে উৎপন্ন ফসল, ৪. ব্যবসা-বানিজ্যের পন্য , ৫. অর্জিত সম্পদ ইত্যাদি।
সোনা সাড়ে সাত ভরি বা সাড়ে সাত তোলা (৮৭.২৫গ্রাম) অথবা রূপা সাড়ে বায়ান্ন তোলা(৬২২.২৫ গ্রাম) এর তৈরি গহনা থাকলে যাকাত দিতে হয়। এর কোনো একটি অথবা উভয়টির মূল্য পরিমান সম্পদের চল্লিাশ ভাগের এক ভাগ যাকাত দিতে হয়। প্রতি একশত টাকার যাকাত হয় আড়াই টাকা।
যাকাতের মাসারিফ বা খাত ঃ “মাসারিফ” অর্থ ব্যয়ের খাত সমহূ। যাদের কে যাকাত দেয়া হয় তাদেরকে বলে মাসারিফ। সবাইকে যাকাত দেয়া যায়না । কেবল মাত্র আট শ্রেনি লোককে যাকাত দেওয়া যায়। এরা হলো: ১.ফকির বা অভাবগ্রস্থ ২. মিসকিন বা সম্বলহীন ৩.যাকাতের জন্য নিয়োজিত কর্মচারী বৃন্দ, ৪.ইসলামের প্রতি আকৃষ্ট হতে পারে এমন ব্যািক্ত, ৫.দাস মুক্তি, ৬.ঋণগ্রস্থ, ৭. আল্লাহর পথে সংগ্রামকারী, ৮. অসহায় পথিককে। যাকাতের এই খাতগুলো আল্লাহপাকের নির্ধারিত।যাকাত দিলে মাল পবিত্র হয়।সম্পদ ও সওয়াব বৃদ্ধি পায়। ধনী-দরিদ্রের বৈষম্য দূর হয়। মুসলিমের মধ্যে ভ্রাতৃত্বের সেতু বন্ধন সৃষ্টি হয়। আল্লাহ তায়ালা ভীষন খুশি হন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:৪৬পিএম/১০/৫/২০১৯ইং)