• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৮:৩৩ অপরাহ্ন

মাদরাসা সুপারের জালিয়াতির বিচার না হওয়ায় ক্ষিপ্ত অভিভাবক ও এলাকাবাসী


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৭, ২০১৮, ২:৫২ PM / ৩৪
মাদরাসা সুপারের জালিয়াতির বিচার না হওয়ায় ক্ষিপ্ত অভিভাবক ও এলাকাবাসী

ঢাকারনিউজ২৪.কম, শ্রীপুর (গাজীপুর) : গাজীপুরের শ্রীপুরে সাগরিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসার সুপারের জালিয়াতি ও ছাত্রীর সাথে যৌন হয়রানির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও বিচার না হওয়ায় অভিভাবক ও এলাকাবাসী ক্ষিপ্ত। স্থানীয় প্রশাসন ও মাদরাসা বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে একের পর এক অভিযোগ দিলেও অদৃশ্য শক্তির বলে মাদরাসার সুপার বহাল তবিয়তেই রয়েছে। স্থানীয়রা মাদরাসার ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির কাছে লিখিত অভিযোগ দিলেও তিনিও সুপারের পক্ষ অবলম্বন করেন। মাদরাসার লেখাপড়ার সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা উদ্যোগ নিলে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা ও চাকুরীচ্যুত করার ভয় দেখায়। ইতিমধ্যে মাদরাসার সভাপতির ইন্দনে ওই মাদরাসার চারজন সিনিয়র শিক্ষকের বিরুদ্ধে আদালতে চাঁদাবাজী মামলাসহ কয়েকটি মামলা দায়ের করেন। মামলাগুলি আদালত কর্তৃক তদন্ত সাপেক্ষে মিথ্যা বলে প্রমাণিত হয়।

জানা যায়, সাগরিয়া বালিকা দাখিল মাদরাসায় গত বছরের ১৭ আগষ্ট নুরুল আমীন মৃধাকে সুপার পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার নিয়োগ প্রক্রিয়াটি সন্দেহজনক হওয়ায় উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার কর্তৃক কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে দেখা যায়, তার এমপিও, ইনডেক্স ও শিক্ষাগত সনদগুলি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা। এদিকে মাদরাসায় নিয়োগ পাওয়ার কয়েকদিনের মধ্যেই ওই মাদরাসার দশম শ্রেনীর এক ছাত্রীর সাথে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে। বিষয়গুলো স্থানীয় প্রশাসনের নজরে আসলে কয়েকটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। যৌন হয়রনির পর থেকেই মাদরাসার সুপার প্রায় এক বছর ধরে মাদরাসায় না এসে গোপন জায়গা থেকে বেআইনী ভাবে অফিস সহকারীর মাধ্যমে শিক্ষকদের বেতন ভাতার বিলে স্বাক্ষরসহ মাদরাসার যাবতীয় কাজ পরিচালনা করছেন। প্রশাসনিক তদন্তে সুপারের বিরুদ্ধে সবকটি অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পরও তার বিরুদ্ধে কোন আইনী ব্যবস্থা গ্রহন না করায় স্থানীয়রা ও অভিভাবকসহ ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যরা এই ব্যাপারে ক্ষোব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন। কিন্তু কোন এক অদৃশ্য ক্ষমতাবলে এত অপরাধের পরও তার এমপিও হওয়ার প্রক্রিয়া সমাপ্তের পথে। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, তার সকল কাগজপত্র জাল জালিয়াতির মাধ্যমে তৈরি করা এবং যৌন হয়রানির ঘটনাটিও সত্য। তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমার তদন্ত রিপোর্টে সুপারিশ করেছি।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/২:৫০পিএম/২৭/১/২০১৮ইং)