• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৬:৪৫ অপরাহ্ন

ব্রিটেনে চালু হচ্ছে ‘লাশের খামার’


প্রকাশের সময় : মে ২৮, ২০১৮, ১২:২০ PM / ৩৭
ব্রিটেনে চালু হচ্ছে ‘লাশের খামার’

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : ব্রিটেনের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা দেশটির প্রথম মৃতদেহের খামারের জন্য দাতা খুঁজছেন, যারা মৃত্যুর আগেই তাদের লাশ ওই খামারে দান করার জন্য অঙ্গীকারাবদ্ধ হবেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মৃতদেহের খামার স্বাভাবিক ব্যাপার হলেও যুক্তরাজ্যে এবারই প্রথম এমন একটি উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

মৃতদেহের খামারে বিশেষজ্ঞরা লাশের পচন প্রক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করেন। লাশকে তারা কবর দিতে পারেন, ঝুলিয়ে রাখতে পারেন আবার পানির নিচেও রাখতে পারেন, যাতে বিভিন্ন পরিস্থিতিতে লাশের পচন পক্রিয়া অবলোকন করা যায়।

মূলত অপরাধ বিষয়ক গবেষণা ও তথ্য অনুসন্ধানের জন্য এমন গবেষণা চালানো হয়ে থাকে। বিভিন্ন পরিস্থিতে লাশের পচন পক্রিয়া জানা থাকলে বাস্তব অপরাধের ক্ষেত্রে লাশ দেখলেই অপরাধের ধরণ কিংবা কবে ও কীভাবে খুন করা হয়েছে, সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়।

যুক্তরাজ্যের হাডার্সফিল্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃতত্ববিদ ড. আনা উইলিয়মস বলেন ‘এ উদ্যোগের ফলে যুক্তরাজ্যের ফরেনসিক বিজ্ঞান আরও উন্নতি করবে।’

ড. আনা ‘হিউম্যান টিস্যুৃ অথরিটি’ নিয়েও কাজ করার চেষ্টা করছেন, যুক্তরাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় যেটিকে তাদের বিবেচনার মধ্যে রেখেছে। তিনি বলেন ‘বিজ্ঞানের উৎকর্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আমরা অনেক দিক দিয়েই উন্নতি করতে পারি।’

ড. আনা উইলিয়ামস বলেন ‘এসব কিছু বাস্তবায়িত হলে আমরা একটি লাশ দেখলেই নিশ্চিতভাবে বলতে পারব মানুষটি কখন ও কীভাবে মারা গিয়েছে, পচে যাওয়া লাশের শরীর থেকে আঙুলের ছাপ নিয়ে আমরা খুনিকেও সনাক্ত করতে পারব।’

বিশ্বে এ পর্যন্ত নয়টি মৃতদেহের খামার আছে যার মধ্যে ৭টি যুক্তরাষ্ট্রে। একটি করে আছে হল্যান্ড ও অষ্ট্রেলিয়ায়।

লাশের পচন নিয়ে গবেষণার কারণে ইতিমধ্যে অপরাধি সনাক্তকরণে বেশ কয়েকটি ‍উল্লেখযোগ্য সাফল্য পাওয়া গেছে।

১৯৭০ এর দশকে কুখ্যাত মার্কিন সিরিয়াল কিলার ওয়েনি গেসি অন্তত ৩৩ জনকে খুন করে তার বাড়ির মেঝেতে পুতে রেখেছিলেন। মার্কিন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা পরে পরীক্ষা করে মৃতদেহের শরীরের গেসির ডিএনএ খুঁজে পেয়েছিলেন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১২:১৮পিএম/২৮/৫/২০১৮ইং)