• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:২৭ অপরাহ্ন

বেশি বয়সে সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে মেনে চলুন এই কাজগুলো


প্রকাশের সময় : মার্চ ৭, ২০১৯, ১২:৫৩ PM / ৪৪
বেশি বয়সে সন্তান নেয়ার ক্ষেত্রে মেনে চলুন এই কাজগুলো

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : ক্যারিয়ারের কারণে সন্তান না নেয়া বা কোনো কারণে সন্তান হতে দেরি করা, কারণ যাই হোক না কেন আজকাল একটু বেশি বয়সে প্রথমবারের মত গর্ভধারণ করা খুবই স্বাভাবিক একটি ব্যাপার। তবে হ্যাঁ, বেশি বয়সে প্রথম গর্ভধারণ করলে ঝুঁকিটা আর দশজনের চাইতে অনেক বেশি থাকে। অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভপাত হয়ে যাওয়া, সন্তানের বৃদ্ধি ঠিক মতো না হওয়া, প্রসবে জটিলতা, মায়ের স্বাস্থ্যহানিসহ হরেক রকমের সমস্যা দেখা দেয়। এগুলো থেকে মুক্তি পাবার একটিই উপায়, আর তা হচ্ছে কিছু নিয়ম মেনে চলা। পরামর্শগুলো স্বামী ও স্ত্রী উভয়ের জন্যই। চলুন, জেনে নিই বিস্তারিত।

১. গর্ভবতী মা সকল রকমের পাবলিক ট্রান্সপোর্ট এড়িয়ে চলবেন। একই সাথে রিকশা বা মোটর সাইকেলের মতো বাহনও অবশ্যই এড়িয়ে চলবেন। এইসব বাহনের কারণে গর্ভপাত ঘটে যাওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয়। এইসময় মাকে যতটা সম্ভব বেড রেস্টে থাকতে হবে এবং খুব বেশি দৌড় ঝাঁপ, পরিশ্রমের কাজ, ঝাঁকুনির রাস্তায় চলাফেরা করা পরিহার করতে হবে।

২. গর্ভাবস্থার শুরুতেই খুব ভালো একজন পুষ্টিবিদের সাথে পরামর্শ করে একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করিয়ে নিন। আপনার কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে পুষ্টিবিদকে সেটা জানান। তিনি এমন একটি খাদ্য তালিকা তৈরি করিয়ে দেবেন যেন মা ও শিশুর শারীরিক সুস্থতা বজায় থাকে।

৩. অতি অবশ্যই নিয়মিত ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে থাকুন। কোনোক্রমেই এটা অবহেলা করবেন না।

৪. গর্ভধারণের ৬ মাস পেরিয়ে গেলেই প্রসবের যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাখুন যেন একটা জরুরি সময়ে সব কিছু হাতের কাছে থাকে। বেশি বয়সে প্রথম গর্ভধারণে প্রি ম্যাচিউর ডেলিভারি অস্বাভাবিক কিছু নয়। যে হাসপাতালে ডেলিভারি করাবেন, তাদের সাথে কথা বলে রাখুন। ইমারজেন্সি আম্বুলেন্সের ফোন নম্বর হাতে কাছেই যোগাড় করে রাখুন। একটি ব্যাগে মা ও শিশুর প্রয়োজনীয় সবকিছু সর্বদা গুছিয়ে হাতের কাছে রাখুন যেন খুঁজলেই পাওয়া যায়।

৫. বেশি বয়সে গর্ভধারণে স্বাভাবিক প্রসবের চাইতে সিজার করতেই বেশি দেখা যায়। তাই সেই অনুযায়ী আর্থিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে রাখুন।

৬. এই সময়ে স্বামী একটু বেশি খেয়াল রাখবেন স্ত্রীর প্রতি। মনে রাখবেন, বয়সের কারণে তার গর্ভধারণ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। স্ত্রীর খাওয়া দাওয়া, চলাফেরা সব দিকেই লক্ষ্য রাখতে হবে আপনাকেই।

৭. স্ত্রীর যেন কোনো রকম মানসিক চাপ না হয়, মনে কষ্ট না হয় সেদিকেও স্বামীকে বিশেষভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে। গর্ভাবস্থায় মানসিক চাপ যে কোনো মায়ের জন্য ভয়ানক ক্ষতিকর প্রমাণিত হতে পারে।

৮. মা এই সময়ে প্রচুর ঘুমাবেন। ঘুম যেন যথাসম্ভব আরাম ও শান্তির হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখবেন।

৯. সঠিকভাবে আপনার ওজন নিয়মিত বাড়ছে কিনা লক্ষ্য রাখবেন অবশ্যই। ওজন ঠিকমত বৃদ্ধি না পাবার অর্থ শিশুর বৃদ্ধি ঠিকমত হচ্ছে না।সূত্র : ওএস
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/১২:৫০পিএম/৭/৩/২০১৯ইং)