ঢাকারনিউজ২৪.কম:
যেখানে ইচ্ছে খুলে নিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলেই আপনি হারিয়ে যাবেন ‘অপার্থিব কোন জগতে’! একইসাথে এই বিস্ময়কর মসজিদ আপনাকে রাখবে ‘পুরোপুরি রোগমুক্ত’!
এমনটাই দাবী করে দুবাইয়ের একটি বিখ্যাত কোম্পানি জানিয়েছে, আপনার কল্পনার চোখে একটি সুন্দর মসজিদের কথা ভাবুন! কল্পনার সব রং মিলিয়ে আর ভাবনার পরিধিতে যতখানি ইচ্ছে মিলিয়েও হয়তো কাছাকাছি যেতে পারবেননা বিস্ময়কর সৌন্দর্য আর কার্যকারিতা সম্পন্ন এই পোর্টাবল মসজিদের সৌন্দর্য্যের পাশে !
অভাবনীয় সৌন্দর্য আর বিস্ময়কর সব সুবিধাসম্বলিত ‘মোবাইল মসজিদ’ নিয়ে ব্যপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে বিশ্বজুড়ে! গালফ নিউজ অবলম্বনে সময়ের কণ্ঠস্বরের পাঠকদের জন্য ফিচারটি অনুবাদ করেছেন জাহাঙ্গীর আলম রুবেল।
সংযুক্ত আরব-আমিরাত (দুবাই) একের পর এক বিস্ময়কর জিনিসপত্রের আবিস্কার করে চমক দেয়ার শহর। বলা বাহুল্য বেশিরভাগ তৈরি নিদর্শন বা আবিস্কারের নেপথ্যেই কাড়ি কাড়ি টাকার ছড়াছড়ি এখানে।
মোদ্দাকথা অর্থকড়ি কোন বিষয় নয় এখানে বরং খুব সাধারন কিছু বানাতেও প্রচুর অর্থ খরচের বিসয়টিই প্রতিযোগিতার ব্যাপার এখানে।
এতকাল আমরা জেনে এসেছি নামাযের জন্য জায়নামাজ নিয়ে ঘুরে বেড়াবার কথা কিন্তু কখনো কি ভেবেছেন আস্তো একটা মসজিদ নিয়েই ঘুরে বেড়াতে পারবে কেও?
এমন কথা হয়তো মাথায় আসেনি কারো । অথবা প্রয়োজন হয়নি কারো । কিন্তু এই বিসয়েই ব্যপক চমক দেখালেন দুবাইয়ের শেখরা এবার।
হ্যা, ঠিকই শুনেছেন আপনি। এখন থেকে সঙ্গে করে বয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে মসজিদ। বিস্ময়কর শোনালেও বিষয়টি সত্যি। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বাজারে ইতিমধ্যে এই মসজিদটি চলে এসেছে। এই মসজিদ নিয়ে আগ্রহও শুরু হয়েছে শেখদের মধ্যে।
সংবাদমাধ্যম দুবাই টাইমস ও গালফ নিউজ জানিয়েছে গতকাল স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার প্রথমবার বাজারে আসে বহনযোগ্য ওই মসজিদটি। মসজিদটির নির্মাতা প্রতিষ্ঠান দুবাইয়ের আম্বার পাম গ্রুপ।
দুবাইয়ে অবস্থিত বুর্জ আল আরব হোটেলে এক জাকজমকপুর্ন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বহনযোগ্য ওই মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। এ সময় সেখানে আরব আমিরাতের রাজ পরিবারের সদস্য, রাষ্ট্রদূত ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কী আছে এই মোবাইল মসজিদে ?
প্রকাশিত সংবাদের তথ্য বলছে, মসজিদটির ৭৫ শতাংশ তৈরি হয়েছে অম্বর নামে এক ধরনের রত্ন দিয়ে। এখানে ব্যবহৃত পাথগুলোর রয়েছে ব্যিতক্রমি কিছু বৈশিস্ট! এই মসজিদে নিয়মিত নামায পড়া ব্যক্তি থাকবন অনেকাংশে রোগমুক্ত! আগ্রহী কোন ক্রেতা অর্ডার দিলে মাত্র চার থেকে পাঁচ ঘণ্টায় তৈরি করা যাবে সেটি। নির্মাতা প্রতিষ্ঠান জানিয়েছে, আপাতত মসজিদটি মাত্র দুজন মানুষ ধারণক্ষম হলেও, পরবর্তী সময়ে ক্রেতার চাহিদা মতোই তৈরি করা হবে বলে জানিয়েছে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি।
মসজিদটি করা হয়েছে মাশাবিয়া নকশায়। তবে এতে আরবের ঐতিহ্যবাহী নকশার প্রভাবও রয়েছে। স্বচ্ছ অম্বর পাথরকে আরো আকর্ষণীয় করে তুলতে বিশেষভাবে ব্যবহার করা হয়েছে আলো। প্রতিটা পাথরের পেছনে আলো লাগানো হয়েছে, যাতে মসজিদের সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পায়।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের অপারেশন ম্যানেজার অ্যান্ড্রু সানকো জানান, ‘মানুষ জানে অম্বর পাথর শুধু গহনায় ব্যবহার করা হয়। আমরা নতুন ব্যবহার আবিষ্কার করছি এবং বিরল এই পাথরের রোগ উপশমের ক্ষমতা ও বিশেষ বৈশিষ্ট্যগুলো মানুষকে জানাতে চাচ্ছি। মুলত এটিই চমকের প্রধান কারন বলে দাবী নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের।
দাম কত ?
যেহেতু এই ফিচারটি দুবাই টাইমস অবলম্বনে আপনি বাংলা অনুবাদে পড়ছেন, সেহেতু এটি সহজেই অনুমেয় যে আপনি দুবাইয়ের শেখ নন, একজন বাংলাদেশী । জানিয়ে রাখছি এই মোবাইল মসজিদের মুল্য আপনার আমার জন্য কল্পনাতীতই!
মসজিদটি কিনতে খরচ পড়বে ১০ লাখ দিরহাম মাত্র। বাংলাদেশী টাকায় দুই কোটি ২৭ লাখ ৬৮ হাজার টাকা মাত্র ! আপাতত ক্রয়ের ক্ষমতা না থাকলেও দেখে নিতে দোষ কিছু নেই ।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম ৭.০১এএম/৩০/৪/২০১৭ইং)
আপনার মতামত লিখুন :