• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:০১ অপরাহ্ন

বিদ্যুতের দাম বাড়াবে না : এনবিআর


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৭, ২০১৭, ২:২৯ PM / ৩৬
বিদ্যুতের দাম বাড়াবে না : এনবিআর

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

 

 

নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইন বাস্তবায়নের পর ১৫ শতাংশ মূসক আরোপ করা হলেও তা বিদ্যুতের দামের ক্ষেত্রে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটির কর্মকর্তারা হিসাব তুলে ধরে বলেছেন, মূসকের হার বাড়লেও নতুন আইনে রেয়াত নেওয়ার সুযোগ থাকবে। এতে বিদ্যুৎ খাতের কোম্পানিগুলোকে এখনকার চেয়ে পরিমাণের দিক দিয়ে মূসক কম দিতে হবে।
ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদের প্রতিষ্ঠান নিটল-নিলয় গ্রুপের অনলাইন মূসক নিবন্ধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠান শেষে এনবিআরের কর্মকর্তারা এই ব্যাখ্যা দেন। এর আগে মাতলুব আহমাদ বিদ্যুতে মূসকের ভার কমছে বলে উল্লেখ করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআর কার্যালয়ে এই অনুষ্ঠান হয়।
এতে এনবিআরের চেয়ারম্যান মো. নজিবুর রহমান ও ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের পরিচালক রেজাউল হাসান, এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক আনোয়ার হোসেন, নিটল-নিলয় গ্রুপের পরিচালক আবদুল মারিব আহমাদ নিলয় উপস্থিত ছিলেন।
নতুন মূসক আইন বাস্তবায়িত হলে ব্যবসায়ীদের সুবিধা হবে উল্লেখ করে মাতলুব আহমাদ বলেন, বিদ্যুতের বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে। এখন দেখা যাচ্ছে বিদ্যুতের মূসকের ভার আরও কমবে। বরং প্রতি ইউনিট বিদ্যুতে ৯০ পয়সা করে ফেরত পাওয়া যাবে।
পরে এই বক্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের উপপরিচালক জাকির হোসেন হাতে লেখা একটি ব্যাখ্যা সাংবাদিকদের দেন। এতে অঙ্ক কষে দেখানো হয়, এখন এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ ১৫ টাকা। এর ওপর ১৫ শতাংশ হারে মূসক আরোপ করা হলে উৎপাদন পর্যায়ে মূসকের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ টাকা ২৫ পয়সা। ইউনিট প্রতি ৯ টাকা দরেই সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ বিক্রি করা হয়। এর ওপর বিক্রয় পর্যায়ে ৫ শতাংশ মূসক ধরলে পরিমাণ দাঁড়ায় ৪৫ পয়সা। ফলে কোম্পানিকে সরকারি কোষাগারে মূসক জমা দিতে হয় ২ টাকা ৭০ পয়সা (২.২৫+০.৪৫)। এখন রেয়াত না থাকায় পুরো টাকাটাই সরকারি কোষাগারে জমা দিতে হয়।
তবে নতুন আইনে কর রেয়াত নেওয়া যাবে। এনবিআরের ব্যাখ্যায় বলা হয়, উৎপাদন পর্যায়ে ইউনিটপ্রতি ১৫ টাকা দরে বিদ্যুৎ বিক্রি করলে ১৫ শতাংশ হারে মূসক দাঁড়াবে ২ টাকা ২৫ পয়সা। এই পরিমাণ মূসক দিয়ে বিতরণকারী কোম্পানি বিদ্যুৎ কিনবে। বিতরণকারী কোম্পানিগুলো গ্রাহক পর্যায়ে ৯ টাকা দরে বিক্রি করলে ১৫ শতাংশ হারে মূসকের পরিমাণ দাঁড়াবে ১ টাকা ৩৫ পয়সা।
নিয়ম হলো, খুচরা বিক্রেতা যে পরিমাণ মূসক আদায় করবেন, সেখান থেকে কেনার সময় দেওয়া অর্থ কেটে রেখে বাকি টাকা কোষাগারে জমা দেবেন, আদায় কম হলে ফেরত পাবেন। বিদ্যুতের ক্ষেত্রে বিতরণকারী যেহেতু আগে ২ টাকা ২৫ পয়সা মূসক দিয়েছেন, আদায় করেছেন ১ টাকা ৩৫ পয়সা, সেহেতু ৯০ পয়সা মূসক ফেরত পাবেন। এনবিআরের ব্যাখ্যায় আরও বলা হয়, নতুন আইন বাস্তবায়িত হলে বিদ্যুতে ভর্তুকি কমানোর সুযোগ তৈরি হবে। সংস্থাটির কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, এখন বিদ্যুৎ বিতরণকারী কোম্পানিগুলো ৯ টাকা ইউনিট দরে বিদ্যুৎ বেশি বিক্রি করে। এ কারণে তাঁরা এই দরটিকে বিবেচনায় নিয়ে হিসাবটি করেছেন।
অনুষ্ঠানে ভ্যাট অনলাইন প্রকল্পের পরিচালক রেজাউল হাসান বলেন, গত ২৩ মার্চ অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত অনলাইনে মূসক নিবন্ধন উদ্বোধন করেছেন। এখন পর্যন্ত ২ হাজার প্রতিষ্ঠান নিবন্ধনের আবেদন করেছে। তাদের নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। খুব সহজে নিবন্ধন নেওয়া যাচ্ছে।
নিবন্ধন নেওয়ার পর মাতলুব আহমাদ বলেন, আগে তাঁদের ৩৫০টি শাখার জন্য অনেকগুলো নম্বর ব্যবস্থাপনা করতে হতো। এখন একটি নম্বরেই মূসক দেওয়া যাবে।

 

 (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /০২.২৫ পিএম/০৭//২০১৭ইং)