ঢাকারনিউজ২৪.কম:
বাগেরহাটে বাগদা চিংড়ি ঘেরে মড়ক দেখা দিয়েছে। ঘেরগুলোতে পানি কমে যাওয়া ও হঠাৎ বৃষ্টিতে বাগেরহাটের মংলা, রামপাল, মোড়েলগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় চিংড়ি ঘেরের মাছ মরে গেছে।
বুঝে ওঠার আগেই অজানা রোগে শেষ হয়ে গেছে জেলার হাজারো চাষীর ঘেরের চিংড়ি। ভাইরাস না অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হয়ে চিংড়ি মারা যাচ্ছে তা জেলা মৎস্য বিভাগও নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারছে না।
জানা গেছে, জেলার মংলা-ঘষিয়াখালি নৌ চ্যানেলের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত বাগেরহাট-রামপাল সড়কের ডেমা ইউনিয়নের খেগড়াঘাট সংলগ্ন বিসনা নদীর শাখা হজির খাল। হজির খালের রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি শাখা। আর এই শাখা খাল দিয়েই সদর উপজেলার ডেমা, বালিয়াডাংগা, হলদাহ্ মৌজা, কালিয়া, খেগড়াঘাটসহ বিভিন্ন এলাকায় পানি প্রবাহিত হয়।
চিংড়ি গবেষণা কেন্দ্রের জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এইচএম রাবিকুল ইসলাম বলেন, অধিকাংশ চাষিরা যে পদ্ধতিতে চিংড়ি চাষ করে তা অপরিকল্পিত। ঘের প্রস্তুতি থেকে শুরু করে নানা ধাপে তাদের সমস্যা বিদ্যমান থাকায় মৌসুমের শুরুতেই বাগদা চিংড়িতে মড়ক লেগেছে।
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে চিংড়ি মারা যাচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে মারা যাওয়া চিংড়ির নমুনা সংগ্রহ করে পরিক্ষা-নিরিক্ষা কাজ শুরু হয়েছে।
চিংড়ি চাষি সমিতির দাবি জেলার অধিকাংশ উপজেলায় বাগদা ও গলদা চিংড়ির ঘেরে এখন এই অবস্থা। জেলা চিংড়ি চাষি সমিতির সভাপতি ফকির মহিতুল ইসলাম বলেন, বাগেরহাট সদর, রামপাল, মংলা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলার অধিকাংশ ঘেরের বাগদা ও গলদা চিংড়িতে মড়ক লেগেছে। তবে বাগদা চিংড়ির ঘেরে মড়কটা সবচেয়ে বেশি।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম ০২.২৬পিএম/২৮/৪/২০১৭ইং)
আপনার মতামত লিখুন :