• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন

বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা ছিল


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৭, ২০১৭, ১:২০ PM / ৩২
বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা ছিল

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির জন্য ব্যবস্থাপনাগত দুর্বলতাকে মূল কারণ হিসেবে উল্লেখ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কের (নিউইয়র্ক ফেড) প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম ডাডলি। একই সঙ্গে এ ঘটনার জন্য আন্তর্জাতিক আর্থিক লেনদেনের বার্তা আদান-প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান সুইফটের দুর্বলতার বিষয়টিও তুলে ধরেছেন তিনি।

নিউ ইয়র্কের কুইন্সে গত শুক্রবার আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির বিষয়ে এ সব কথা বলেন তিনি। এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সুদের হার বৃদ্ধি, মূল্যস্ফীতি, বন্ডের নিম্ন সুদ হার, বেকারত্বসহ বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন ফেড প্রেসিডেন্ট।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে গত বছর ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরির বিষয়ে উইলিয়াম ডাডলি বলেন, বাংলাদেশে যা ঘটেছে তার মূল কারণ হলো দেশটির লেনদেন ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা। রিজার্ভ চুরিতে এই দুর্বলতাকে কাজে লাগানো হয়েছে।

মিথ্যা আদেশের মাধ্যমে ফেডের নিউ ইয়র্ক শাখা থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের অর্থ চুরি করে হ্যাকাররা। এ ক্ষেত্রে নিউ ইয়র্ক ফেডের দুর্বলতা ছিল কী না এমন প্রশ্নে উইলিয়াম ডাডলি সুইফটের দুর্বলতার বিষয়টি সামনে আনেন। তিনি বলেন, সুইফটকে আরও নিরাপদ করতে এখনো অনেক কাজ বাকি আছে।

গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে মোট ১০ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি  করে হ্যাকাররা। এর মধ্যে ৮ কোটি ১০ ডলার চলে যায় ফিলিপাইনে। বাকি ২ কোটি ডলার শ্রীলঙ্কায় যায় যা পরবর্তীতে ফেরত পাওয়া যায়। ফিলিপাইন থেকে এখন পর্যন্ত পাওয়া গেছে দেড় কোটি ডলার, বাকি রয়েছে সাড়ে ৬ কোটি ডলার।

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে অনুষ্ঠানে উইলিয়াম ডাডলি বলেন, মার্কিন অর্থনীতি এখন বেশ ভালো অবস্থায় আছে। জাতীয় বেকারত্বের হার এখন মাত্র ৪ দশমিক ৭ শতাংশ, সে তুলনায় মূল্যস্ফীতিও তেমন বেশি নয়।

বেকারত্ব  প্রসঙ্গে ফেড প্রেসিডেন্ট বলেন, এটি আরেকটু কমাতে পারলে সেটি খুব ভালো ব্যাপার হবে। কিন্তু তা  কমাতে গেলে মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কাও আছে। ফেড বিষয়টি যেভাবে সমন্বয় করেছে সেটি অর্থনীতির সামলে নেওয়ার সামর্থ্য আছে।

চলতি মাসে আরও একবার যুক্তরাষ্ট্রে নীতিনির্ধারণী সুদের হার বাড়িয়েছে ফেড। ২০০৯ সালের আর্থিক মন্দার সুদ হার তৃতীয়বারের মতো বাড়ানো হলো। এই সিদ্ধান্ত নিতে উইলিয়াম ডাডলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। যুক্তরাষ্ট্রে ২ শতাংশের কম মূল্যস্ফীতিকে অর্থনীতির জন্য আদর্শ মনে করা হয়, যা বর্তমানে মূল্যস্ফীতি আড়াই শতাংশের ঘরে রয়েছে।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /০১.১৪পিএম/২৭//২০১৭ইং)