• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ১০:১৪ অপরাহ্ন

বরগুনায় তরমুজের ভালো ফলন, কৃষকের মুখে হাসি


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৬, ২০১৮, ১০:৫১ PM / ৩৩
বরগুনায় তরমুজের ভালো ফলন, কৃষকের মুখে হাসি

ঢাকারনিউজ২৪.কম, বরগুনা : বরগুনায় এ বছর তরমুজের ভালো ফলন হয়েছে। হেক্টর প্রতি ৪৫ টনের বেশি তরমুজ ফলেছে। ভালো দাম পাওয়াতে কৃষকও খুশি। তবে গত বছর এতে লোকসানের মুখে পড়ে কৃষকরা। এবার সে কারণে তরমুজের আবাদ কমিয়ে দেয় তারা। সেসব জমিতে মুগডাল ও বোরো ধানের আবাদ করেছে। তাতেও ভালো ফলন পেয়েছে।

বরগুনার তরমুজ চাষিরা গত বছর অকাল বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টিসহ নানা প্রতিকুলতায় লোকসানে পড়েছিলেন। এ বছর জেলায় লক্ষ্যমাত্রার মাত্র এক-তৃতীয়াংশ জমিতে তরমুজের চাষ হয়েছে। তবে ভালো ফলন হয়েছে। দামও বেশি। ফলে চাষিরা বেশ খুশি।

প্রায় এক যুগ ধরে অনেক জমিতে ধারাবাহিকভাবে তরমুজ ফলানো হতো। কিন্তু এবার স্থানীয় চাষিরা ঝুঁকি নেয়নি। এ বছর সেসব জমিতে তারা মুগডাল আর বোরো ধানের আবাদ করেছে।

বরগুনা জেলা কৃষি অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর জেলায় মোট তরমুজ আবাদ হয়েছে ২৫১৯ হেক্টর জমিতে। এর মধ্যে সদর উপজেলায় ১১০ হেক্টর, আমতলীতে ১৫০০, তালতলীতে ২ ও পাথরঘাটা উপজেলায় ৭ হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ হয়েছে।

তরমুজ চাষি ও পাইকারি ক্রেতাদের সঙ্গে আলাপকালে জানা গেছে, উপকূলীয় বরগুনায় উৎপাদিত তরমুজ অপেক্ষাকৃত সুস্বাদু। দেশজুড়ে এর চাহিদাও ব্যাপক। পথে নানা ঝামেলার কারণে পাইকাররা গত বছর এ জেলায় তরমুজ কিনতে খুব একটা আগ্রহ দেখাননি। পাশাপাশি ছিল প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অনেক কৃষকের তরমুজ ক্ষেতেই নষ্ট হয়েছে। ফলে এবার কৃষকরা তরমুজ চাষে আগ্রহ হারিয়েছেন। আমতলী উপজেলার হলদিয়ার কৃষক আ. খালেক জানান, তার পাঁচ একর জমিতে এবছর তরমুজ চাষ করেননি। মুগ ডাল আর বোরো ধানের আবাদ করেছেন। ফলনও ভালো হয়েছে।

আমতলীর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এস এম বদরুল আলম বলেন, জেলায় সব চেয়ে বেশি তরমুজ আবাদ আমতলী উপজেলায়। গত বছর শুধু এ উপজেলাতেই ৫ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজ আবাদ করা হয়েছিল। কিন্তু বোরো ধানের ভালো দাম প্রাপ্তি, তরমুজের বীজের দাম বৃদ্ধি এবং তরমুজ চাষে বৈরি আবহাওয়ার বাঁধা, নানা কারণে আমতলীসহ জেলায় তরমুজের আবাদ কমেছে। তবে এ বছর ভালো ফলন হয়েছে। হেক্টর প্রতি ৪০ টনের বেশি তরমুজ ফলেছে।

তিনি জানান, হঠাৎ করে বোরো ধানের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় কৃষক বেশি লাভের আশায় আমতলী উপজেলাতেই প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করেছেন। আমতলীতে মাত্র ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত ছিল।পুরো জেলায় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমি মুগ ডাল ও বোরো চাষের আওতায় এসেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপপরিচালক শাহী নূর আজম খান বলেন, জেলায় তরমুজ চাষ অত্যন্ত ঝঁকিপূর্ণ। অকাল বৃষ্টির কারণে তরমুজ চাষ করে গত বছর চাষিরা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। এর ফলে এ বছর বরগুনায় তরমুজ চাষ অনেক কমেছে। পরিপূরক হিসেবে চাষিরা ডাল ও বোরোর আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:৪৫পিএম/৬/৪/২০১৮ইং)