• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৯:৪২ পূর্বাহ্ন

প্রার্থী যেই হোক্, তার পক্ষেই কাজ করব : উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে স্বপন চেয়ারম্যান


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ১১, ২০১৯, ৩:২২ PM / ৬৯
প্রার্থী যেই হোক্, তার পক্ষেই কাজ করব : উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে স্বপন চেয়ারম্যান

নারায়ণগঞ্জ থেকে মো. রাশেদুল হাসান : জাতীয় নির্বাচনের রেশ না কাটতেই শুরু হয়ে গেছে সারাদেশের মতো নারায়ণগঞ্জে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে প্রচার-প্রচারনা ও নানা গুঞ্জন। এই নির্বাচনকে নিয়ে অন্যান্য দলের মতো কি ভাবছে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা? এ প্রসঙ্গে কথা বলতে
সম্প্রতি আমাদের ‘ঢাকারনিউজ২৪.কম’ এর ‘বিশেষ সাক্ষাৎকার’ বিভাগে মুখোমুখি হয়েছেন নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান স্বপন। স্থানীয় রাজনীতিতে যার রয়েছে বিশেষ অবদান। রাজনীতির বাইরেও এলাকার উন্নয়নে বিশেষ অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে যিনি মানুষের ভালোবাসা থেকে শুরু করে পেয়েছেন অসংখ্য সম্মাননা ও স্বীকৃতি।

শুরুতেই নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য একেএম শামীম ওসমান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে রাজনীতি করার কারণে আমরা মানুষের খুব কাছে যেতে পারি। তারা এসে আমাদের সাথে তাদের সুখ-দুঃখ শেয়ার করে। তারা বলত শামীম ওসমান এলাকার যেসব উন্নয়ন করেছে তার জন্য তিনি আবার এমপি নির্বাচিত হয়ে এলে আরো উন্নয়ন হবে। তবে আমাদের আশা পূর্ণ হয়েছে, জননেতা একেএম শামীম ওসমান আবার এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। আমাদের বিশ্বাস এবার তিনি এলাকা ও জনগণের উন্নয়নে তার অসম্পূর্ণ থাকা বাকি ৩০% কাজও শেষ করতে পারবেন।

প্রতিবারের মতো এবারো শামীম ওসমানকে মন্ত্রীত্ব না দেয়াতে কোনো ক্ষোভ আছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে স্বপন চেয়ারম্যান বলেন, আমরা যারা আওয়ামী লীগ পরিবার তারা চাই আমাদের নেতা মন্ত্রী হোক। কারণ, রাজনৈতিক ক্ষেত্রে তিনি বাংলাদেশে ১ নাম্বার সংগঠক। শামীম ওসমান যেভাবে দুর্দীনে দলকে গুছিয়ে রেখেছিলেন তা কোনো নেতাই পারেন নি। সুদিনে তো অনেকেই আসে, কিন্তু দুর্দীনে কাউকে পাওয়া যাবেনা। সুতরাং আমরা চাই শামীম ওসমানকে মন্ত্রীত্ব দেয়া হোক। আমরা আগামী ৫ বছর এই আশা করে যাব। কেননা নতুন মন্ত্রী পরিষদের রদবদল যে কোনো সময়ই হতে পারে, যা ইতিমধ্যেই দলের সাধারন সম্পাদক জনাব ওবায়দুল কাদের আভাস দিয়েছেন। অর্থাৎ আমরা আশা ছাড়ছি না।

উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে লুৎফর রহমান স্বপন বলেছেন, আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আমাদের দল থেকে মনোনয়ন দেওয়া হবে এমন এক প্রার্থীকে, যে সৎ, উদিয়মান, আ’লীগ পরিবারের সন্তান। তার পক্ষে ব্যাপক সমর্থন থাকবে আমাদের এবং সর্বস্তরের ভোটরগনসহ সবার। নির্বাচনের আভাসের পর যার দ্বারা এই এলাকার উন্নয়ন হবে, হবে মানুষের উপকার। তার পক্ষেই থাকবে আমাদের সমর্থন।

 

আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে ইতোমধ্যেই আলোচনায় উঠে এসেছেন মহানগর আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির জেলা সভাপতি চন্দন শীল, যুগ্ম সম্পাদক শাহ্ নিজাম এবং কৃষক লীগ জেলা সভাপতি ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন আহম্মেদের নাম। তাদের মধ্যে দল শেষ পর্যন্ত কাকে মনোনয়ন দেবে জানতে চাইলে লুৎফর রহমান স্বপন ঢাকারনিউজ২৪.কমকে বলেন, শামীম ওসমানের আস্তাভাজন লোক যারা তাদের মধ্যে অনেকেই ক্ষমতার সাধ একেক জন একেকভাবে নিয়েছেন। অনেকেই হয়েছেন ছোট থেকে বড় নেতা। আবার যারা থানা পর্যায়েও নেতা হওয়ার কখনো যোগ্যতাই রাখেনি এখন তারাও শামীম ওসমানের আশীর্বাদে জেলার নেতা হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। একমাত্র চন্দন শীলই ক্ষমতার স্বাদ গ্রহণ করতে পারেন নাই। শামীম ওসমানের অনেক ঘনিষ্টজন তাঁকে ছেড়ে চলে গেছে। কিন্তু চন্দন শীল যায় নাই। বন্ধুর মত, ভাইয়ের মত সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছেন তাঁর।

তবে তার মতে, আলোচনায় থাকা আরেক সম্ভাব্য প্রার্থী শাহ্ নিজামও জনপ্রিয়তায় কোন অংশে কম যান না। ফতুল্লা, সিদ্দিরগঞ্জ ও শহর এলাকায় নিজের জনপ্রিয়তা বার বার প্রমান করেছেন শাহ্ নিজাম। রয়েছে তারুন্য ভরা উদ্দিপ্ত এক ঝাঁক কর্মী বাহিনী এবং সু-শৃঙ্খল নেতা কর্মী, অনেক কর্মীরাই শামীম ওসমানের অবর্তমানে যে কোন সিদ্ধান্তের জন্য শাহ্ নিজামের কাছে দৌঁড়ে চলে যায় এবং দুরদর্শী নেতার মত যেটি দলের জন্য মঙ্গল সেই সিদ্ধান্ত দেয় শাহ্ নিজাম।

তাদের মধ্যে দল শেষ পর্যন্ত কাকে মনোনয়ন দেবে জানতে চাইলে লুৎফর রহমান স্বপন ঢাকারনিউজ২৪.কমকে বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের এমপি শামীম ওসমান সহ দল যাকে যোগ্য মনে করবে তাকে মনোনয়ন দেবে এবং আমরা তার পক্ষেই মাঠে কাজ করব জাতীয় নির্বাচনের মতো।

‘উপজেলা নির্বাচন কেমন দেখতে চান’? এমন প্রশ্নের জবাবে লুৎফর রহমান স্বপন বলেন, আমরা চাই সকল দলের অংশগ্রহণে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। কিন্তু অন্যান্য দলগুলো যদি মাঠে না নেমে ঘরে লুকিয়ে থাকে তাহলেতো আমাদের কিছু করার নেই। তবে আমরা বরাবরই ভোটের মাঠে যুদ্ধ করেই বিজয় ছিনিয়ে আনতে চাই।

আওয়ামী লীগ থেকে নির্বাচিত স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান হিসেবে আপনার কার্যকালে এলাকার উন্নয়নে শতভাগ দায়িত্ব পালন করতে পেরেছেন বলে কি মনে করেন? এমন প্রশ্নের জবাবে এই নেতা বলেন, শতভাগ পূরন করতে পারিনি বলেই মনে হয়। কেননা আমার এলাকার জনগণের চাহিদাগুলোর মধ্যে জলাবদ্ধতা, মাদক সহ যে গুরুতর সমস্যাগুলো রয়েছে তা এখনো শতভাগ সমাধান করতে পারিনি। তবে স্যানিটেশন থেকে শুরু করে শিক্ষায় শতভাগ পাস সহ বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থতার ক্ষেত্রে আমি সফল বলে মনে করি। বাকি কাজগুলো আশা করি মাননীয় সংসদ সদস্য ও স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় সম্পন্ন করতে পারব।

https://www.youtube.com/watch?v=EdTGW3A0NLQ

সাক্ষাৎকার গ্রহণে : ষ্টাফ ফটো জার্নালিষ্ট খাদিজা আক্তার ভাবনাকে সাথে নিয়ে মো. রাশেদুল হাসান।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৩:১০পিএম/১১/১/২০১৯ইং)