• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ১০:১২ পূর্বাহ্ন

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিস্তারে বঙ্গবন্ধুর কার্যক্রম


প্রকাশের সময় : অগাস্ট ২৯, ২০১৯, ১২:১৭ PM / ৪১
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিস্তারে বঙ্গবন্ধুর কার্যক্রম

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা বিস্তারে বঙ্গবন্ধুর কার্যক্রম

ফারুক আহমাদ আরিফ

সৃষ্টিকর্তা প্রতিটি প্রাণী সৃষ্টি করে তাকে দিয়েছেন শিক্ষা, জ্ঞান-প্রজ্ঞা। পৃথিবীর সকল মহামানবই সর্বপ্রথম এবং সর্বক্ষণ মানুষের মধ্যে সম্প্রীতি স্থাপনে শিক্ষার প্রতি দিয়েছেন মনযোগ। শুধু মানব নয় সমগ্র সৃষ্টিজগতে শান্তি বজায় রাখতে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। আগামীতেও যারা পৃথিবীকে আবাদ করবে তারাও শিক্ষাদান পদ্ধতি নিয়েই কাজ করবে, হুচট খাবে, এগিয়ে যাবে।

শ্রীমlদ্ভগবদ্গীতার ৪ র্থ অধ্যায়ের প্রথম শ্লোক হচ্ছে ‘ইমং বিবস্বতে যোগং প্রোক্তবান অহম অভ্যয়ম, বিবস্বামানবে প্রাহ মনু ইক্ষ্বাকবে অব্রবীৎ-ভগবান শ্রীকৃষ্ণ প্রথমে সূর্যদেব বিবস্বাকে জ্ঞান দান করেন, সূর্যদেব মানব জাতির কনক মনুকে দেন, মনু তার পুত্র ইক্ষ্বাকুকে দান করে, ইক্ষ্বাকু থেকে পর্যায়ক্রমে অন্যরা শিখে। পবিত্র আল কুরআনে সুরা বাকারার ৩১ নং আয়াতে বলা হয়েছে ‘আমি আদম (আ)কে সকল বিষয়ে শিক্ষিত করে তুললাম। সুরা আলাক্বের ১-৫ আয়াত ‘পড় তোমার প্র্রভুর নামে। যিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। মানুষকে কলমের মাধ্যমে শিক্ষা দিয়েছেন যা সে জানতো না’। সুরা আর-রাহমানের ৩-৪ আয়াত ‘তিনি মানুষকে সৃষ্টি করে ভাষা শিক্ষা দিয়েছেন।’ধর্মগ্রন্থগুলোর আলোকে দেখা যায় সৃষ্টিকর্তা নিজে সৃষ্টিজগতকে শিক্ষাদান কার্যক্রম হাতে নিয়েছেন। বিস্তার করেছেন, সমৃদ্ধি ও পরিশীলিত করেছেন।এটি যে শুধু মানুষকে তা নয় বরং সমগ্র সৃষ্টিজগতকেই তিনি শিক্ষাদান করেছেন, জ্ঞান দিয়েছেন। মৌলিকতা ঠিক রেখে একেক যুগে একেক জাতিকে একেক ধরনের শিক্ষার অভাব পূরণ করেছেন। আগামীতেও যুগের চাহিদার আলোকে শিক্ষাব্যবস্থা প্রবর্তিত হবে।

শিক্ষাব্যবস্থা কোনকালেই পাথরের পাহাড়ের মত এক জায়গায় দাঁড়িয়ে থাকেনি। বরং নদীর স্রোতের মত কলকলে বহমান ছিল। শুধু মৌলিকতাটুকু ঠিক রেখে। আদম আ. প্রথম মানব। তার থেকেই তার সঙ্গিনী হাওয়া আ.কে সৃষ্টি করা হয়। সৃষ্টি হয়ে প্রথমেই ফেরেস্তাদের সাথে জ্ঞানের প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়েছেন। পর্যায়ক্রমে সময়ের চাহিদার আলোকে শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে তোলা ও ভাঙা হয়েছে, হবে যুগে যুগে।

সেদিকে না গিয়ে আমাদের আলোচ্য বিষয় বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শিক্ষাবিষয়ক ভাবনা-চিন্তা ও কার্যক্রম। গোপালগঞ্জ শহরের স্কুলজীবন থেকেই নিজের পড়ালেখার পাশাপাশি শিক্ষা সহায়তায় কাজ করেছেন। তার গৃহশিক্ষক বঞ্চিত ও অভাবগ্রস্ত শিশুদের শিক্ষাদানের জন্য একটি স্কুল স্থাপন করেছিলেন যা চালাতে মুসলামনদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে চাল তুলে, চাঁদা আদায় করতে হতো। তিনি দলবল নিয়ে সেই কাজে নিজেকে বিলিয়ে দিতেন। সেখানে গোপালগঞ্জের মাথুরানাথ ইন্সটিটিউট মিশন স্কুলে পড়ার সময় স্কুল পরিদর্শনে এসেছিলেন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা একে ফজলুল হক ও পাকিস্তানের তৎকালীণ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী। সে সময়ে স্কুলের মেরামত কাজ ও ছাদ সংস্কার, খেলার মাঠ রক্ষণাবেক্ষণের জন্য সোহরা্ওয়ার্দীর কাছে স্কুলের স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হিসেবে জরুরিভাবে অর্থ বরাদ্দ দেয়ার দাবি করেন শিশু শেখ মুজিবুর রহমান।অর্থাৎ শিক্ষাব্যবস্থার জন্য তার দরদ সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন সেই মহান শিক্ষক। তারপর তার পথচলা থেমে থাকেনি, বরং মধুমতি নদীর সেই স্রোতধারা গোপালগঞ্জ হতে সময়ের চাহিদানুযায়ী ভারতবর্ষে প্রবাহিত হয়ে পড়ে।

সেই শিশু শেখ মুজিবুর রহমান নিজ মেধা, শ্রম ও মানুষের ভালোবাসায় বঙ্গবন্ধুতে পরিণত হন। নেতৃত্ব দেন নতুন দেশ সৃষ্টিতে। ১৯৭১ সালে পূর্ব পাকিস্তান ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে সংগঠিত মহান মুক্তিযুদ্ধের ৯মাস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের যে ছেদ পড়েছিল তা তিনি দ্রুত পুষিয়ে দিতে নানা কার্যক্রম হাতে নেন। রাষ্ট্রক্ষমতা গ্রহণ করেই ১৯৭২ সালের ১৫ জানুয়ারি মার্চ-ডিসেম্বর পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের বকেয়া বেতন মওকুফ করেন। শিক্ষক-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন-ভাতা প্রদান করে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনেন। ধ্বংসপ্রাপ্ত, ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যালয়গুলো মেরামত এমনকি কোথাও নতুন বিদ্যালয় স্থাপন শুরু করেন। ২০ জানুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ইউসুফ আলী বঙ্গবন্ধুর সম্মতিক্রমে শিক্ষাব্যবস্থা পুনর্গঠনে ৫১ কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন। যা স্বাধীন দেশের শিক্ষার ভীত গঠনে বীজের কাজ করে।

সংবিধানের দ্বিতীয় ভাগের ১৬ নং অনুচ্ছেদে বলা হয়, নগর ও গ্রামাঞ্চলের জীবন যাত্রার মানের বৈষম্য ক্রমাগতভাবে দূর করিবার উদ্দেশ্যে কৃষিবিপ্লবের বিকাশ, গ্রামাঞ্চলে বৈদ্যুতীকরণের ব্যবস্থা, কুটিরশিল্প ও অন্যান্য শিল্পের বিকাশ এবং শিক্ষা, যোগাযোগ-ব্যবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নের মাধ্যমে আমূল রুপান্তরসাধনের জন্য রাষ্ট্র কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন।

প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা বিস্তারে বঙ্গবন্ধু: ১৯৭২ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি শিক্ষামন্ত্রী পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান ও ষষ্ঠ হতে মাধ্যমিকে ৪০ ভাগ কম দামে পাঠ্যপুস্তক সরবরাহের কথা ঘোষণা করেন।গণশিক্ষা প্রসারে পল্লী উন্নয়ন বিগ্রেড গঠন করে নিরক্ষরতা দূরীকরণে ৬ মাসের কার্যক্রম গ্রহণ করতে আড়াই কোটি টাকা বরাদ্দের ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে। নারীশিক্ষা প্রসারে ১৯৭৩ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ছাত্রীদের অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বেতন দিতে হবে না ঘোষণা করা হয়। একই বছরের ৭ মার্চে স্বাধীন দেশে প্রথম সাধারণ নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতাগ্রহণ করে তিনি শিক্ষাব্যবস্থা গণমুষী এবং সার্বজনীন করতে বিনামূল্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বই বিতরণ শুরু করেন। এটি পাকিস্তানামলে কল্পনারও অসাধ্য।

গণশিক্ষা বিস্তারে সংবিধানের ১৭ নং অনুচ্ছেদে রাষ্ট্র: (ক) একই পিদ্ধতির গণমুখী ও সার্বজনীন শিক্ষাব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার জন্য এবং আইনের দ্বারা নির্ধারিত স্তর পর্যন্ত সকল বালক-বালিকাকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষাদানের জন্য,

খ. সমাজের প্রয়োজনের সহিত শিক্ষাকে সঙ্গতিপূর্ণ করিবার জন্য এবং সেই প্রয়োজন সিদ্ধ করিবার উদ্দেশ্যে যথাযথ প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ও সদিচ্ছপ্রণোদিত নাগরিক সৃষ্টির জন্য, গ. আইনের দ্বারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে নিরক্ষতা দূর করিবার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করিবেন। লিখিত হয় অর্থাৎ দুটি অনুচ্ছেদে শিক্ষাকে তুলে এনেছেন।

১৯৭২ সালের ১ জুলাই বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করে শিক্ষকদের বেতন বৃদ্ধিসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবাধা প্রদানের ব্যবস্থা করেন এবং ৬ জুলাই ২৫৬ নং প্রজ্ঞাপন জারি করে ৬ হাজার ৫০০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারিকরণ করেন। প্রজ্ঞাপনালোকে বিদ্যালয় ও শিক্ষক নির্বাচনের আগে মহকুমার এসডিওকে চেয়ারম্যান ও মহকুমা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব, এমপিদেরকে সদস্য, জেলা স্কুল পরিদর্শকদের সদস্য, মহকুমা প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সচিব/মনোনীত প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিটি পনর্গঠন করেন।এ বিষয়ে ১৯৭৩ সালের ৩১ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির ২২ নং অধ্যাদেশ গেজেটাকারে প্রকাশ করেন। এই বছরের ২৮ ডিসেম্বর মন্ত্রণালয়ের ৭ সেপ্টেম্বরে এস ৭//৪৬৮ শিক্ষা সংখ্যক স্মারক দ্বারা গ্রামীণ এবং শহরের সাহায্যপ্রাপ্ত ১৮৩৪টি প্রাথমিক বিদ্যালয়, এম.এফ.পি স্কুলের ২৬ হাজার ৭৪৪টি এবং নিয়ন্ত্রিত ৫০৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকসহ দায়িত্ব গ্রহণ করে।

ভারতীয় উপমহাদেশে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন, পরিচালনা মূলত ব্যক্তি উদ্যোগে বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় হতো।১৯৪৭ সালের The Registration of private Schools Ordinance, ১৯৬২ প্রবর্তনের মাধ্যমে প্রাতিষ্ঠানিক ও আইনগত রুপ দেয়া হয়। অর্থাৎ বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষপ্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধন বা সরকারি স্বীকৃতির রীতি চালু হয়। ১৯৭৩ সালের ১ জুলাই হতে ১৯৭৫ র জুলাই পর্যন্ত মাত্র ৩ বছরে ৩৬ হাজার ১৬৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ করে ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৩ জন শিক্ষকের চাকরি সরকারিকরণ করেন।এতে করে শিক্ষকরা অর্থনৈতিকভাবে সাবলিল হতে থাকে। একই বছরের ২২ জুলাই জাতীয়করণকৃত বিদ্যালয় ও শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় পদ সৃষ্টির সরকারি আদেশ জারি করেন। ১ জুলাই ১৯৭৩ হতে জাতীয় বেতন স্কেলে অষ্টম গ্রেডে শিক্ষকের সংখ্যা ছিল ৭৬ হাজার ৬৮১জন, নবম গ্রেডে ৭২ হাজার ৭২৪জন এবং দশম গ্রেডে ৫ হাজার ৬১৮ জন। এটিকে আইনিভিত্তি দিতে The Primary Schools (Taking over) Ordinance ১৯৭৩ করা হয়, পরে The Primary Schools (Taking over) Act-1974 প্রবর্তনপূর্বক অধ্যাদেশটি রহিত করা হয়। ৩৬ হাজার ১৬৫টি বিদ্যালয়ের ১ লাখ ৫৫ হাজার ২৩ জন কার্যরত প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরে পদে অস্থায়ী ভিত্তিতে প্রচলিত শর্তে ৩১-৫-৭৬ পর্যন্ত মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। এসবের খরচ বাজেটের নির্দিষ্টখাত থেকে মেটাতে বরাদ্দ দেয়া হয়। তিনি ষষ্ঠ হতে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যপুস্তক শিক্ষার্থীদের হাতে স্বল্পমূল্যে তুলে দিতে সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার মাধ্যমে বিক্রির ব্যবস্থা করেন।যাতে কালোবাজারি সৃষ্টি না হয়।

বিখ্যাত শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী ড. কুদরাতে-ই-খুদাকে সভাপতি করে ৭২ সালের ২২ জুলাই ১৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি শিক্ষা কমিশন গঠন করে শিক্ষাব্যবস্থার দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। উচ্চশিক্ষা গ্রহণেচ্ছুদের জন্য স্বাক্ষরতা অভিযান নামে বিশেষ একটি পদক্ষেপের কথা শিক্ষা কমিশনে ছিল।৫ বছরের মধ্যে ১১-৪৫ বছর বয়সী সাড়ে তিন কোটি নিরক্ষর মানুষকে অক্ষরজ্ঞান দিতে প্রস্তাবটি ছিল অসাধারণ।অর্থাৎ শুধু নিজে শিক্ষিত হলে চলবে না বরং নিরক্ষরদের শিক্ষিত করে তোলার মাধ্যমে সামাজিকতা তৈরিতে অবদান রাখবে।বঙ্গবন্ধু বলতেন ‘আমাদের শিক্ষাব্যবস্থা এ পর্যন্ত শুধু আমলাই সৃষ্টি করেছে, মানুষ সৃষ্টি করেনি’। তিনি মানুষ সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেন। শিক্ষা কমিশনে মেধাবীদের জন্য বিশেষ ধরনের মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, অসচ্ছল বালক-বালিকাদের সরকারি বৃত্তি, ক্যাডেট ও রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুলে কারিগরি, সাধারণ ও বিজ্ঞান অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সুপারিশ করা হয়।বাংলভাষাকে শিক্ষার মাধ্যম করে ১৯৮০ সাল পর্যন্ত পঞ্চম শ্রেণি ও ৮৩ সাল পর্যন্ত অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত অবৈতনিক ও বাধ্যতামূল করার বিষয়ে তিনি গুরুত্বারুপ করেন।

আইনের মাধ্যমে শিশুদের নাম ও জাতীয়তার অধিকারের স্বীকৃতি, সব ধরনের অবহেলা, শোষণ, নিষ্ঠুরতা, নির্যাতন, খারাপ কাজে লাগানো ইত্যাদি থেকে নিরাপত্তার অধিকার নিশ্চিত করেত ১৯৭৪ সালের ২২ জুন জাতীয় শিশু আইন (চিলড্রেন অ্যাক্ট) জারি করেন তিনি।

১৯২০ খ্রিস্টাব্দের ১৭ মার্চে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া গ্রামের শেখ পরিবারে বাবা শেখ লুৎফর রহমান ও মা সায়রা খাতুনের ঘরে জন্ম নেয়া খোকা ডাকনামের শিশুটিই ১৯৬৯ সালে বঙ্গবন্ধুতে পরিণত হয়।শিশুকাল থেকেই সুনাগরিক তৈরি করতে তিনি শিক্ষাব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন সাধন করেন। প্রাথমিক, মাধ্যমিক শিক্ষাকালই হচ্ছে শিশুদের গড়ে উঠার উপযুক্ত সময়। তিনি শিশুদের তথা প্রাথমিক, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অত্যন্ত ভালোবাসতেন। তাদের কাজের মূল্যায়ন করতেন। তিনি যখন প্রথম সোভিয়েত রাশিয়া সফরে যান সেখানে শিশুদের আঁকা চিত্র নিয়ে গিয়েছিলেন। এতে বুঝা যায় প্রাথমকি-মাধ্যমিক শিক্ষার্থীরা তার কাছে কত প্রিয় ছিল। আরও সমুদয় প্রমাণ ইতিহাসের পাতায় পাতায় সুশোভিত হয়ে জ্বল জ্বল করছে।

লেখক: আহ্বায়ক-মুভমেন্ট ফর ওয়ার্ল্ড এডুকেশন রাইটস ও মুখপাত্র (প্রধান সমন্বয়ক) নো ভ্যাট অন এডুকেশন
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/১২:১৭পিএম/২৯/৮/২০১৯ইং)