• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০৬:০৪ পূর্বাহ্ন

প্রাইভেট ছাত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে লাপাত্তা সেই লম্পট শিক্ষক!


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৩, ২০১৮, ১১:০৭ PM / ২৮
প্রাইভেট ছাত্রীকে ভাগিয়ে নিয়ে লাপাত্তা সেই লম্পট শিক্ষক!

ঢাকারনিউজ২৪.কম, আলফাডাঙ্গা(ফরিদপুর) : জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার বুড়াইচ ইউনিয়নের বারাংকুলা গ্রামের (অবঃ) সৈনিক মিজানুর ফকিরের অপ্রাপ্ত বয়স্ক স্কুলপড়ুয়া মেয়ে ছনি আক্তারকে নিয়ে পালিয়ে গেছেন একই গ্রামের মৃত সালাম শেখ এর ছেলে, কাশিয়ানী উপজেলা পোনা এম এ খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক মোঃ রফিকুল ইসলাম।

ঐ মেয়েকে প্রাইভেট পড়ানোর সুযোগে বিভিন্ন সময় কু-প্রস্তাব দিয়ে আসছিলো, ধীরে ধীরে মন দেওয়া নেওয়া হলে গত ১২ এপ্রিল সকালে প্রাইভেট পড়তে এলে ঐ মেয়েকে ঘুরতে নেওয়ার কথা বলে সরকার ঘোষিত অবৈধ নোটারী পাবলিক কার্যালয় ফরিদপুর হাজির হয়ে মেয়েকে জিম্মি করে নাম মাত্র বিবাহ করে মেয়েকে নিয়ে পালিয়ে বেরাচ্ছেন।

জানা যায়, অভিযুক্ত শিক্ষকের নামে একাধিক অপকর্মের অভিযোগ রয়েছে। কর্মরত পোনা এম এ খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের কর্মজীবনে নিজ বিদ্যালয়ের একাধিক মেয়েকে কু- প্রস্তাব ও কু- কর্মের অভিযোগে কাশিয়ানীতে লম্পট শিক্ষকের নামে বিচার দাবীতে সংবাদ সন্মেলন সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে (০১৭৫৬২৩০৭১৯) মোবাইল নাম্বারে ফোন করে বক্তব্য চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং মেয়ের পিতার মতামতে এ কাজ করেছেন বলেন।

এ বিষয়ে মেয়ের পিতা (অবঃ) সৈনিক মিজানুর ফকির সাংবাদিকদের বলেন, ঐ শিক্ষকের চরিত্র এত নোংরা আমার জানা ছিল না। তাছাড়া পূর্বে থেকেই আমার মেয়ের পিছু নিয়েছে অন্য বখাটে ছেলেরা, তাই আমি নিরুপায় হয়ে এ বিয়েতে মত দিয়েছি।

এ বিষয়ে পোনা এম এ খালেক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অসিত কুমার গোলদারের (০১৭১৫৬২০৯৭৫) মোবাই ফোন বন্ধ থাকায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিদ্যালয় এলাকার একাধিক ছাত্র ছাত্রীর অবিভাবক সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক রফিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে পূর্বেও নানা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার হয়েছে। আমরা ঐ শিক্ষকের বিচার সহ অবসান চাই।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১১:০৫পিএম/১৩/৪/২০১৮ইং)