• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ১০:২২ পূর্বাহ্ন

পুলিশ দেখেই দৌড়, পুলিশও পিছু পিছু দৌড়


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২৩, ২০২৩, ১১:৫১ PM / ২১৫
পুলিশ দেখেই দৌড়, পুলিশও পিছু পিছু দৌড়

 

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে পুলিশ দেখামাত্র দৌড় দেয় তিন বন্ধু। তবে পুলিশও পিছু ছাড়েনি। তাদেরকে আটকের পর দেহ তল্লাশি করে পাওয়া গেল মাদক।
গতকাল সোমবার উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের ধুন্দার হিন্দুপাড়া এলাকা থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয় ২০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট। এ ব্যাপারে ওইদিনই থানার এসআই মো. শরিফুজ্জামান বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন।

গ্রেফতারকৃতরা- বুড়ইল ইউনিয়নের ধুন্দার খাসপাড়ার শাজাহান আলীর ছেলে সুলতান হোসেন (২৬), ধুন্দার স্কুলপাড়ার রফিকুল ইসলামের ছেলে আলী আজম (২২) এবং একই এলাকার কুদ্দুস আলীর ছেলে জাকারিয়া হোসেন (১৯)। তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
থানার এএসআই মিন্টুর রহমান জানান, গ্রেফতারকৃত তিনজনের মধ্যে সুলতানই প্রধান মাদক কারবারি। আলী আজম ভাড়ায় মোটরসাইকেলের চালক এবং জাকারিয়া ইয়াবা বিক্রি করে।

স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, থানা পুলিশের কঠোরতায় মাদকের প্রবণতা হ্রাস পাচ্ছে। অন্যদিকে প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকার মাদক কারবারিরাও বর্তমানে অনেকটা কৌশলী। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে কৌশলগত কারণে তারা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল এবং অটোভ্যান চালকদের ব্যবহার করছে। যাত্রী বহনের পাশাপাশি খুব সহজেই প্রত্যন্ত গ্রামে ইয়াবার চালান পৌঁছে যায়। নিয়মিত অর্ডারে মাদক সেবীদের কাছে ইয়াবা পৌঁছে দেওয়ার কাজ করে কিছু মোটরসাইকেল এবং অটোভ্যান চালকরা। তারা কমিশনে কাজ করতে গিয়ে নিজেরাই বনে যাচ্ছেন মাদক কারবারি।

নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, এ উপজেলায় মাদক কারবারিদের ঠাঁই হবে না। মাদক বিরোধী অভিযান চলমান আছে।