![scriptForHost](http://www.dhakarnews24.com/wp-content/uploads/2022/10/250736330_317230573153387_7122495033757131903_n.png)
ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : সীমান্তের উত্তাপ, ধর্ম, সংস্কৃতি, সমাজ—সবকিছুর বাধা উপেক্ষা করে ২০১০ সালে ভালোবেসে বিয়ে করে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন পাকিস্তানি ক্রিকেট তারকা শোয়েব মালিক ও ভারতীয় টেনিস তারকা সানিয়া মির্জা। সে সময় অনেকেই ধারণা করেছিলেন, এই বিয়ের মধ্য দিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্কও ভালো হবে। অবশ্য বাস্তবে তা হয়নি।
সীমান্ত সমস্যার কারণে এ দুই দেশের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত লেগেই আছে। এমনকি দীর্ঘদিন ধরেই বন্ধ রয়েছে এশিয়ার দেশ দুটির মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট সিরিজও, যা নিয়ে প্রায়ই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে এই জুটিকে। বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে নানা অনভিপ্রেত ঘটনার সাক্ষী হতে হয়েছে এই তারকা জুটিকে।
শুধু তা-ই নয়, দুই দেশের নাগরিক হওয়ায় এই জুটির প্রথম সন্তান পৃথিবীর মুখ দেখার আগেই একটি প্রশ্ন ঘুরেফিরে সামনে উঠে এসেছিল। জন্মের পর শোয়েব-সানিয়ার সন্তান কোন দেশের নাগরিক হবে?
বিয়ের আট বছর পর গত ৩০ অক্টোবর, মঙ্গলবার শোয়েব-সানিয়ার ঘরে এসেছে নতুন অতিথি। পৃথিবীর আলো দেখেছে এই জুটির প্রথম সন্তান ইজহান মির্জা মালিক। ছেলের জন্মের পরই আবারও শুরু হয়েছে বিতর্ক। কোন দেশের নাগরিকত্ব পাবে ইজহান? বাবা-মা দুই দেশের নাগরিক হওয়ায় ছেলেও দুই দেশেরই নাগরিকত্ব পাওয়ার কথা। কিন্তু ঘটছে এর ব্যত্যয়।
বাবা পাকিস্তানের নাগরিক হলেও অন্তত পাকিস্তানের নাগরিকত্ব পাচ্ছে না সানিয়া মির্জা-শোয়েব মালিকের ছেলে! এমনই চাঞ্চল্যকর এক সংবাদ দিয়েছে পাকিস্তানের গণমাধ্যম। দেশটির কয়েকটি উর্দু সংবাদমাধ্যমের দাবি, চাইলেও পাকিস্তানের নাগরিকত্ব পাবে না ইজহান। কারণ দেশটির সংবিধান অনুযায়ী কোনো ভারতীয় নাগরিকের সন্তানকে পাকিস্তানের নাগরিকত্ব দেওয়া সম্ভব নয়!
পাকিস্তানের ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (এফআইএ) সূত্রের খবর বলে দাবি করে এক পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, ইজহান সানিয়া মির্জার গর্ভজাত হওয়ায় তার জন্য পাকিস্তানের নাগরিকত্বের রাস্তা বন্ধ। কারণ শোয়েবকে বিয়ে করলেও এখনো ভারতীর নাগরিকত্ব ছাড়েননি টেনিস সুন্দরী।
এ ছাড়া পাকিস্তানের যে ১৯টি দেশের সঙ্গে দ্বৈত-নাগরিকত্ব চুক্তি আছে, সেই তালিকায় ভারতের নাম নেই। তাই সদ্যোজাত ইজহান ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈত নাগরিকও হতে পারবে না। অর্থাৎ খুদে ইজহানের জন্য পাকিস্তানের নাগরিকত্বের রাস্তা পুরোপুরি বন্ধ। যদিও এ নিয়ে সরকারিভাবে এখনো কোনো মন্তব্য করেনি কোনো শিবির।
ছোট্ট ইজহানের বাবা-মা অবশ্য এখনই ছেলের নাগরিকত্ব নিয়ে কোনো বিতর্ক চাইছেন না। তারা আপাতত সমস্ত বিতর্ক থেকে সন্তানকে আড়াল করারই চেষ্টা করছেন। তা ছাড়া ইজহানের জন্মের আগেই শোয়েব মালিক জানিয়েছিলেন, সন্তানকে পাকিস্তান-ভারত নয়, বরং তার সন্তান তৃতীয় কোনো দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করুক।
শোয়েব-সানিয়ার সন্তান কোন দেশের নাগরিক হবে?—এমন প্রশ্নের জবাবে বিস্ময়কর উত্তর দিয়ে পাকিস্তানের এই তারকা ক্রিকেটার বলেছিলেন, ‘আমি চাইব, আমার সন্তান তৃতীয় কোনো দেশের নাগরিক হবে!’
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১:০০পিএম/২/১১/২০১৮ইং)
আপনার মতামত লিখুন :