• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন

পাঁচবিবিতে ঝড়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে কৃষকরা


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১০, ২০১৯, ৯:৩৯ PM / ৩৩
পাঁচবিবিতে ঝড়ের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে কৃষকরা

এস এম শফিকুল ইসলাম, জয়পুরহাট : জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলার বাগুয়ান, নওদাপাড়া ও বালিঘাটাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে কয়েকদিন আগে কাল বৈশাখী ঝড়ে ঘর-বাড়ি তছনছ, গাছপালা ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সরকারিভাবে তেমন কোন সহযোগিতা না পেলেও সেই দুঃস্বপ্ন কাটিয়ে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন বিধ্বস্ত অসহায় কৃষকরা।

গত ২ এপ্রিল বিকেলে হঠাৎ করে ছোবল হানে কাল বৈশাখী ঝড়। সেই তান্ডবে উপজেলার নওদাপাড়া, বাগুয়ান ও বালিঘাটাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামের ২ শতাধিক বাড়ি-ঘর লন্ডভন্ড হয়ে যায়। শিশু ও নারীসহ প্রায় ৪০ জন আহত হয়। ইরি-বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। তখন ঝড় কবলিতদের মধ্যে অনেকের রাত যাপন হয় খোলা আকাশের নিচে। এ অবস্থায় পরেরদিন থেকে সরকারি-বেসরকারিভাবে যতসামন্য দান অনুদান পেয়েছে তারা। তবুও নিজের চেষ্টায় কোমর সোজা করে দাড়াতে তারা আবারও চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তর সুত্রে জানা যায়, সেই দিন কাল বৈশাখী ঝড়ের তান্ডবে এ উপজেলার ইরি-বোরো ধান ৩৫০ হেক্টর, করলা, বেগুনসহ অন্যান্য শাক-সবজির প্রায় ২০ হেক্টর, কলা ১৫ হেক্টর, ভূট্টা ১২ হেক্টর, সজনা ও আম বাগান ৭ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ্য হয়েছে। পাঁচবিবি উপজেলার নওদাপাড়া গ্রামের কুষক হাফিজুল ইসলাম জানান, ‘আমার ১৭ বিঘা কলা ক্ষেত নষ্ট হওয়া ছাড়াও ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফসলের জন্য তখন আমি ৭০ হাজার টাকার ঔষধ বাকি নিয়েছি, সেই টাকা কবে কিভাবে পরিশোধ করব, তা ভেবে পাচ্ছি না।’ বাগুয়ান গ্রামের কৃষক আফজাল মন্ডল, সিরাজুল ইসলাম বুদাসহ ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, কাল বৈশাখী ঝড়ে তাদের ধান, কলা, ভূট্টাসহ অন্যান্য শাক-সবজি ক্ষেতের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তাদের ক্ষতি কি ভাবে কাটিয়ে উঠবে এ নিয়ে তারা সংশয়ে আছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই সুদের উপর টাকা নিয়ে জমিতে আবারো নতুন করে ফসল লাগানোর চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। আবহাওয়া যদি আর বৈরী আচরন না করে তাহলে তারা কিছুটা হলেও ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।

জয়পুরহাট জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুধেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ্য কৃষকদের নতুন করে ফসল লাগানোর সকল সহযোগীতা করা হবে। যদি তারা আগ্রহ থাকে।

 

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/৯:৩৮পিএম/১০/৪/২০১৯ইং)