• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪, ১১:৪৩ পূর্বাহ্ন

পলাশবাড়ীতে প্লাস্টিকের দাপটে সংকুচিত মৃৎশিল্পীরা


প্রকাশের সময় : মে ৯, ২০১৭, ১০:২২ PM / ৫২
পলাশবাড়ীতে প্লাস্টিকের দাপটে সংকুচিত মৃৎশিল্পীরা

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : একসময় মাটির তৈরি হাড়ি, পাতিল ও খেলনাসহ বিভিন্ন সামগ্রীর যে চাহিদা ছিলো, তা এখন কালের বিবর্তনে কমে গেছে। শহুরে জীবনের সাথে তালমিলিয়ে চলা গ্রামীণ জনজীবনেও কমে গেছে এই মৃৎশিল্পের ব্যবহার। মানুষের চাহিদা এবং রুচিতে পরিবর্তন আসায় মৃৎসামগ্রীর ব্যবহার দিন দিন কমে আসছে। প্লস্টিক আর মেলামাইনের প্রতিযোগিতায় টিকতে না পেরে মৃৎশিল্পের বাজার হয়ে পড়েছে সংকুচিত।

বর্তমানে হিন্দু ধর্মাবম্বীদের উৎসবসহ বিভিন্ন সময়ে আয়োজিত হস্ত ও কুটিরশিল্প মেলায় গ্রামবাংলার চিরচেনা মৃৎপাত্রের পসরা সাজিয়ে বসতে দেখা যায় মৃৎশিল্পীদের। বিশেষ করে বাংলা নতুন বছর বৈশাখ শুরুর সময়টায় মৃৎশিল্পীদের গড়া বিভিন্ন সামগ্রী বেশি বিকিকিনি হয়ে থাকে। বাজারের চাহিদা অনুযায়ী এসময় মাটির সামগ্রীগুলোকে রং তুলির ছোঁয়ায় বর্ণিল করে তুলতে দিনরাত পরিশ্রম করতে হয় মৃৎশিল্পীদের ।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলার হিজলগাড়ী গ্রামের মৃৎশিল্পী নিপেন চন্দ্র, হেমন্ত রায়, অনিল কুমার, কুমারপাড়র সুনীল কুমার, অমল কুমার জানান, এখন মাটির তৈরি সামগ্রীর চাহিদা কমে যাওয়ায় অনেকে পেশা বদল করতে বাধ্য হচ্ছেন। তবে এখনও পহেলা বৈশাখে আয়োজিত মেলাসহ বিভিন্ন মেলা ও অনুষ্ঠানগুলোতে মাটির তৈরি হাঁড়ি-পাতিল ও খেলনাসহ বিভিন্ন সামগ্রী বিক্রি হয়ে থাকে।

উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সহস্রাধিক পরিবার এখন মৃৎশিল্পের ওপর আশা ভরসা ছেড়ে দিয়ে অন্য পেশায় ঝুঁকে পড়েছেন। তবে তাদের দাবি, বাঙালি সংস্কৃতির গ্রামীণ ঐতিহ্য ধরে রাখতে সরকারিভাবে পৃষ্ঠপোষকতা পেলেই ব্যবসার প্রসারসহ মৃৎশিল্পীদের জীবনযাত্রার মান উন্নত হবে।

এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন-বিসিকের উপ-মহাব্যবস্থাপক জানান, মৃৎশিল্পীরা আগ্রহী হয়ে এগিয়ে এলে তাদের প্রশিক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় ঋণ সহায়তা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১০:২০পিএম/৯/৫/২০১৭ইং)