• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০৩:৫১ পূর্বাহ্ন

পলাশবাড়ীতে আলুর বাম্পার ফলন, চাষীর মুখে হাসি


প্রকাশের সময় : ফেব্রুয়ারী ২৮, ২০১৭, ৭:৪৩ PM / ৪৪
পলাশবাড়ীতে আলুর বাম্পার ফলন, চাষীর মুখে হাসি

ছাদেকুল ইসলাম রুবেল, গাইবান্ধা : গাইবান্ধা জেলার কৃষি ভান্ডার হিসেবে খ্যাত পলাশবাড়ী উপজেলা। এ উপজেলার উচুভূমি কেশরগাড়ী, মহদীপুর ও পবনাপুর এলাকায় প্রচুর পরিমান জমিতে বিভিন্ন জাতের আলু চাষ করেছেন কৃষকরা। গতবারের তুলনায় এবার বাম্পার ফলন হওয়ায় কৃষকের মুখে হাসির ঝিলিক ফুটেছে। আলুর দামও ভালো পাচ্ছেন তারা। ওইসব এলাকায় কৃষকরা দেশী জাতের আলু ছাড়াও হাইব্রিড জাতের কার্ডিনাল, ডায়মন্ড, স্ট্রীট এবং গ্র্যানোলা জাতের আলু বেশি চাষ করেছেন। ইতোমধ্যে কৃষকরা জমি থেকে আলু তুলতে শুরু করেছে।
সদরের গোয়ালপাড়া গ্রামের মোজাল জানান, প্রতি একরে আলু চাষাবাদে খরচ হয় ৫৫ হাজার টাকা।  যার উৎপাদন হয়েছে ২৫০ মণ।  বর্তমান বাজারে প্রতি মণ আলু (প্রকার ভেদে) ৪০০ থেকে ৪৫০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।  এতে করে ভাল মুনাফা অর্জন করা সম্ভব হচ্ছে বলে তিনি জানিয়েছেন।
কালুগাড়ী গ্রামের আলু চাষী আল-আমিন মিয়া জানান, ধাপেরহাট আরভি হিমাগারের এক বস্তা আলু সংরক্ষণ করতে ৩০০ থেকে ৩৩০ টাকা খরচ হয়।  দেশীয় পদ্ধতিতে কৃষকরা বাড়িতে আলু সংরক্ষণ করলে খরচ পড়বে প্রতিবস্তা মাত্র ২০ থেকে ২৫ টাকা।  ৬/৭ মাস পর ওই আলু বের করলে প্রতিমণ আলু ৬/৭শ টাকা দরে বিক্রি করা সম্ভব।
বরিশালের ভগবান গ্রামের আলু চাষী মোকছেদ আলী জানান, অন্যান্য ফসলের চেয়ে আলু চাষ অত্যান্ত লাভ জনক।  হিমাগার ছাড়াই বাড়িতে আলু সংরক্ষণের পদ্ধতি বর্ণনা করে তিনি বলেন, জমি থেকে উত্তোলনকৃত আলু তুলনা মূলক ভাবে ঠান্ডা ও বায়ু চলাচল করে এমন শুষ্কস্থানে সংরক্ষণ করতে হবে।  বাঁশের চাটাইয়ের বেড়া এবং ছনের ছাউনি দিয়ে ভূমি থেকে বাঁশের খুঁটি দিয়ে উচুঁ করে ঘর তৈরি করতে হবে।  আলুর শ্বাস-প্রশ্বাসের তাপ বের হওয়া এবং বায়ু চলাচলের ব্যবস্থা করতে হবে।  মেঝেতে বাঁশের চাটাই কিংবা বালু বিছিয়ে আলু রাখতে হবে।  ইত্যাদি ভাবে দেশীয় পদ্ধতিতে ৬ থেকে ৭ মাস আলু সংরক্ষণ করা যায়।

পলাশবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আজিজুল ইসলাম জানান, চলতি মৌসুমে ১৩শ হেক্টর জমিতে আলু চাষাবাদ হয়েছে। মৌসুমের শুরু থেকে কৃষকদের সার্বিক ভাবে পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৭:৩৮পিএম/২৮/২/২০১৭ইং)