• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৫:০৩ পূর্বাহ্ন

পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য কেমন?


প্রকাশের সময় : অক্টোবর ১০, ২০১৮, ১২:২৭ PM / ৪২
পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য কেমন?

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস আজ। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য’।

১০ অক্টোবর বুধবার বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস পালিত হবে। দিবসটি উপলক্ষে তিন দিন ব্যাপি বিশেষ কর্মসূচী গ্রহণ করা হয়েছে।

যৌথভাবে এই কর্মসূচীর আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগ, বাংলাদেশ ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি সোসাইটি এবং ন্যাশনাল ট্রমা কাউন্সেলিং সেন্টার, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

তিন দিন ব্যাপি কর্মসূচীর প্রথম দিন মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এবং কলাভবনে ৬টি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

১০ অক্টোবর, বুধবার কর্মসূচীর দ্বিতীয় দিন তিনটি সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় টিএসসি মিলনায়তনে ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য’ শীর্ষক উদ্বোধনী সেমিনার। দুপুর ১২টায় ‘সংকটাপন্ন রোহিঙ্গাদের জন্য টেকসই মনোসামাজিক সেবা’ শীর্ষক সেমিনার। বিকেল ৩টায় ‘সময়ের দাবি- হাসপাতালে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্টদের দ্রুত নিয়োগ দিন’ বিষয়ক সেমিনার।

বিশেষ আয়োজন হিসেবে থাকছে উন্মুক্ত মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রদর্শনী। এ ছাড়াও ১৩ অক্টোবর, ৫টি বিশেষ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে।

৯ অক্টোবর ও ১৩ অক্টোবর আয়োজিত কর্মশালার বিষয়গুলো হচ্ছে- মানবিক বিপর্যয়ে মানসিক স্বাস্থ্য এবং সুরক্ষা, প্যারেন্টিং স্কিল ট্রেনিং, উদ্বেগ ব্যবস্থাপনা, শিক্ষণ কৌশল, রাগ নিয়ন্ত্রণ, মানসিক চাপ মোকাবেলা, মাইন্ডফুলনেস, অটিজম, ফ্যামিলি থেরাপি, নিউরোসাইকোলজি, স্ব-প্রণোদিত আসক্তি নিয়ন্ত্রণ।

এদিকে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. অাবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘তরুণদের মানসিক সুস্থতা নিশ্চিত করতে না পারলে জাতীয় উন্নয়ন ব্যাহত হবে। এ ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্রের পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতেও মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করতে হবে।’

‘অন্যান্য রোগের মতো মানসিক রোগেরও বিজ্ঞানসম্মত চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। তাই ঝাড়ফুঁক বা অবৈজ্ঞানিক চিকিৎসাপদ্ধতি পরিহারে জনগণের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। তরুণ সমাজের মানসিক স্বাস্থ্য সুরক্ষায় অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণ খুবই জরুরি।’

রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, ‘বর্তমানে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মানসিক রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে মাদকাসক্তি, পারিপার্শ্বিক পরিবেশ, নগরায়ণসহ পারিবারিক ও সামাজিক নানা অস্থিরতা তরুণ সমাজের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে।’

‘একটি জাতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ গড়ে উঠে তারুণ্যকে নির্ভর করে। স্বাস্থ্য একটি সমন্বিত বিষয় এবং মানসিক স্বাস্থ্য ব্যতীত সুস্বাস্থ্য অসম্পূর্ণ। তাই শরীরের মতো মনের যত্ন নেওয়াও আবশ্যক। মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা অন্য সাধারণ রোগীর চেয়ে ভিন্ন ধারার এবং চিকিৎসার পাশাপাশি পারিবারিক ও সামাজিক সমর্থনও এক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি।’

আগামী প্রজন্মকে সুস্থ ও সুন্দরভাবে গড়ে তুলতে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত থাকবে বলেও প্রত্যাশা ব্যক্ত করে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার দেওয়া বাণীতে বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার মানসিক স্বাস্থ্যসেবাসহ সকল ধরনের স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিতে বদ্ধপরিকর। বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার মানসিক রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির অধিকার ও সুযোগের সমতা বিধানে বদ্ধপরিকর। এলক্ষ্যে সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।’

‘আওয়ামী লীগ সরকার ২০০১ সালে ঢাকায় জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা করে, যা ছিল মানসিক স্বাস্থ্যসেবার অগ্রগতিতে একটি মাইলফলক। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ প্রতিষ্ঠানটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মানসিক রোগ চিকিৎসা ও গবেষণার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।’

মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞদের আরও সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘দেশে মানসিক রোগ বিশেষজ্ঞের সংখ্যা অপ্রতুল হলেও দেশের সার্বিক স্বাস্থ্যসেবায় তাদের ভূমিকা প্রশংসনীয়।’

‘মাদকাসক্তি, ঝুঁকিপূর্ণ আচরণ এবং মানসিক চাপ পরিহার করে বাংলাদেশের তরুণ সমাজ সুস্থ শরীরে সুস্থ মন নিয়ে দেশের অগ্রগতিতে ভূমিকা রেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবেন, এ আমার ঐকান্তিক প্রত্যাশা।’

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১২:২৫পিএম/১০/১০/২০১৮ইং)