• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০১:১৭ পূর্বাহ্ন

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশ


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ২০, ২০১৭, ১১:২০ AM / ৪১
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশ

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : পরিস্থিতিরি কারণে দলটা ভাঙাচোরা। হয়ে গেছে অনভিজ্ঞ। তারপরও শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম ইনিংসে ব্যাট হাতে বেশ লড়ে যাচ্ছে টাইগাররা। প্রথমে সৌম্য সরকারের ৮৬ রানের কামব্যাক ইনিংস, সাকিব আল হাসানের সাথে দারুণ জুটি। সাকিবের ৫৯। এরপর অভিষিক্ত নুরুল হাসানের ব্যাটে প্রতিরোধ। সব মিলিয়ে এই রিপোর্ট লেখার সময় প্রথম দিনের শেষ সেশনেও লড়াইটা চলছে। বোলারদের নিয়ে নুরুলের লড়াই। ৮ উইকেটে ২৬১ রান টাইগারদের। নুরুল ৪০ রানে ব্যাট করছেন। কামরুল ইসলাম রাব্বি (১) সঙ্গ দিচ্ছেন।

টস হেরে হ্যাগলি ওভালে ব্যাট করতে নেমে নিউজিল্যান্ডের এই কন্ডিশনে ফাস্ট বোলারদের তোপের মুখে পড়ার কথা ছিল টাইগারদের। টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্ট দুই প্রান্ত থেকে শুরু থেকেই অস্বস্তি উপহার দিলেন ব্যাটসম্যানদের। অধিনায়ক হিসেবে প্রথমবার খেলতে নামা তামিম ইকবাল (৫) বাউন্সি উইকেটে জেগে ওঠা বলের প্রথম শিকার। উইকেটের পেছনে সাউদিকে উইকেট দেওয়ার সময় দলের রান মাত্র ৭!

বিপদ শুরুতেই চোখ রাঙাল। মাহমুদউল্লাহ পরিস্থিতির কারণে তিন নম্বরে নামলেন। কিন্তু ১৯ রান করেই বোল্টের শিকার। ৩৮ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পতন। ওপেনার সৌম্য সরকার তার কামব্যাক ম্যাচে শুরু থেকে মরীয়া ছিলেন। কিছুটা মারার বল পেলে ওয়ানডে মানসিকতায় কিছু না ভেবেই মেরে দিয়েছেন। আগের ম্যাচের ডাবল সেঞ্চুরিয়ান সাকিব আল হাসানের সাথে অবশ্য তার জুটিটা বেশ জমে উঠল। রান উঠতে থাকল দ্রুত। ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটিটাও পেয়ে গেলেন সৌম্য। সাকিবও ফিফটি তুলে নেন। প্রথম সেশনে ২৭ ওভারে ২ উইকেটে ১২৮ রান!

জুটি ১০০ পেরোয়। সৌম্য সেঞ্চুরির সুবাস পেতে শুরু করেন।কিন্তু দ্বিতীয় সেশনে বোল্ট-সাউদি জুটি ১৪ রানের মধ্যে তিন আঘাতে হঠাৎই বিপর্যস্ত করে তোলেন বাংলাদেশ দলকে। ১৭ বলের মধ্যে এলোমেলো সব। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৪ রান দূরে থাকতে সৌম্যর বিদায়। সাকিবের সাথে প্রায় ৫ গড়ে তার ১২৭ রানের জুটি ভাঙে। সৌম্যর পর সাব্বির রহমানকে (৭) তুলে নেন বোল্ট। সাউদির শিকার সাকিব। সৌম্য ১১ বাউন্ডারিতে ৮৬, সাকিব ৯ চারে ৫৯ রান নিয়ে ফেরেন। চা বিরতির আগে ৫ উইকেটে ১৭৯ রান। দারুণ বিপদে বাংলাদেশ।

কিন্তু দুই অভিষিক্ত নাজমুল হোসেন ও নুরুল হাসানের ব্যাটে প্রতিরোধের গল্পের দেখা মেলে। দুই নবীন ইনিংসের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৩ রানের জুটি গড়ে কিছুটা স্বস্তির বাতাস এনে দিলেন। নুরুল অবশ্য দুবার জীবন পেয়েও বেশ লড়ে গেলেন। কিন্তু বিরতি মানে সর্বনাশ।

৫ উইকেটে ২২৫ রান নিয়ে চা বিরতি। এরপর ফিরেই ১৮ রান করা নাজমুল সাউদির তৃতীয় শিকার। মেহেদী হাসান মিরাজ এবার রান করবেন? মনে হচ্ছিল। কিন্তু ১০ রান করে নেইল ওয়াগনারের প্রথম শিকার তিনি। বোল্ড। এরপর লেজে শুধু বোলাররা। কিছু আশা করার উপায় নেই। একপ্রান্তে নুরুল। শর্ট বলের পুরস্কার সাউদির। তাসকিন আহমেদ (৮) ফেরেন।

চোটের কারণে এই ম্যাচ খেলতে পারছেন না অধিনায়ক মুশফিকুর রহীম, ওপেনার ইমরুল কায়েস ও মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান মুমিনুল হক। তামিম প্রথমবার অধিনায়ক। মুশফিকের জায়গায় অভিষেক নুরুলের। দলে ফেরেন সৌম্য। ডেভেলপমেন্টের অংশ হিসেবে দলে থাকলেও অভিষেক হয়ে যায় নাজমুল হোসেন শান্তর। ২০১৫ সালের পর পেসার রুবেল হোসেন টেস্ট খেলেন। শুভাশিস রায়ের জায়গা নেন। প্রথম টেস্টে অসাধারণ খেলার পর অবিশ্বাস্য হার। সিরিজের শেষ ম্যাচে ভাঙাচোরা অনভিজ্ঞ দল নিয়ে প্রথম দিনে যা করল টাইগাররা, তা নিয়ে নিশ্চয়ই অভিযোগের কিছু থাকার কথা নয়।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১১/১৭/২০/১/২০১৭ইং)