• ঢাকা
  • শনিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৪, ০৭:০৯ পূর্বাহ্ন

নন্দীগ্রামে চলাচলের রাস্তা কেটে প্রতিবন্ধকতা


প্রকাশের সময় : জানুয়ারী ৪, ২০২৩, ১১:০৯ PM / ১৭০
নন্দীগ্রামে চলাচলের রাস্তা কেটে প্রতিবন্ধকতা

নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে প্রায় ৫০ পরিবারের চলাচলের একমাত্র রাস্তা খুঁড়ে ও কেটে প্রতিবন্ধকতা করে রাখা হয়েছে। উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের পেংহাজারকি গন্ধবপুর পশ্চিমপাড়া যাতায়াতের বিকল্প সড়ক ব্যবস্থা না থাকায় শতবছরের ওই রাস্তা দিয়ে ভ্যান, মোটরসাইকেল ও গ্রামের কৃষকেরা বিভিন্ন মৌসুমে তাদের চাষাবাদি ফসলসহ প্রতিদিনই আসা যাওয়া করেন। ইউনিয়ন পরিষদের ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ করতে গেলে বাধাঁ দেওয়া হয়, পরে রাস্তার মাঝখানে খুঁড়ে ও কেটে গভীর গর্ত করে রেখেছেন গন্ধবপুরের মজিবুর রহমানের ছেলে মাহাবুবুর রহমান। গত রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এঘটনা ঘটে। এনিয়ে ওই মহল্যার ভূক্তভোগীদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনায় ওইদিনই মাহাবুবুর রহমানের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছেন পেংহাজারকি গন্ধবপুরের আব্দুল মান্নানের ছেলে আজিজুল হাকিম সিহাব।
অভিযোগ সুত্রে ও গতকাল বুধবার সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, গন্ধবপুর পূর্বপাড়া থেকে পশ্চিমপাড়ার মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা মাহাবুবুরের পরিবারের জায়গার ওপর দিয়ে শতবছরপূর্বে করা হয়। ওই রাস্তা দিয়ে ভ্যানসহ প্রায় ৫০ পরিবারের মানুষ চলাচল করেন। সম্প্রতি রাস্তায় ৪০ দিনের কর্মসূচির কাজ চলছে। ঘটনার দিন রাস্তা কেটে ও খুঁড়ে গভীর গর্ত করে রাখে মাহাবুবুর। তাদের জায়গার ওপর দিয়ে গ্রামের লোকজনকে চলাচল করতে দেবেনা বলে জানিয়ে দেয়। গ্রামের লোকজন তাকে রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা না করার অনুরোধ করলে মাহাবুবুর ক্ষিপ্ত হয়ে হুমকিসহ সবাইকে গালিগালাজ করে।
স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তা দিয়ে শতবছর ধরে চলাচল করা হয়। মাহাবুবুর বদমেজাজি। তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। মাঝেমধ্যেই চলাচলের রাস্তায় সমস্যা সৃষ্টি করে। তার সঙ্গে কথা বলতে গেলেই মারধরের জন্য ধেয়ে আসে। গ্রামে অনেকবার এ বিষয়ে বৈঠক হয়েছে। তাতে কাজ হয়না।
যোগাযোগ করা হলে মাহাবুবুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার জায়গার ওপর দিয়ে দীর্ঘদিন চলাচল করার সুযোগ দিয়েছি। এখন চলাচল করতে দিব না।
এ ব্যাপারে নন্দীগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক শাহ সুলতান জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়েছি। মাহাবুবুরকে কড়া ভাষায় সতর্ক করেছি।