ইখতিয়ার উদ্দীন আজাদ, নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাাঁর বরেন্দ্র অঞ্চল হিসেবে খ্যাত এলাকায় সবেমাত্র বোরো (ইরি) ধান কাটার মৌসুম শুরু হয়েছে। এতে ধানকাটা শ্রমিকরা মাঠে তীব্র রৌদ্র উপেক্ষা করে কাজ করছেন। প্রচ- গরমে শিশুর ও বয়স্করা শারীরিক ভাবে কাহিল হয়ে পড়েছেন। এতে অসুস্থ হয়ে অনেকেই জেলা সদর হাসপাতালসহ উপজেলা পর্যায়ের সরকারি হাসপাতাল গুলোতে ভর্তি হয়েছেন।
মঙ্গলবার দুপুর ১১টা ৪৩ মিনিট। ১৬ বৈশাখ ১৪২৬। চারিদিকে খাঁ-খাঁ রৌদ্র। প্রচ- ভ্যাপসা গরম! পত্নীতলা উপজেলার মাটিন্দর ইউনিয়নের শাশইল-উষ্টি সড়ক পথে চলছি। ডাঙ্গাপাড়া নামক গ্রামের কিছু দূর পার হতেই চোখে পড়লো একটি গাছতলা। বোরো ধানকাটা দুইজন কৃষি শ্রমিক গাছের নিচে বিশ্রাম নিচ্ছেন ছায়ায়। এসময় এক কৃষক বসে গাছের সাথে শরীর হেলান দিয়ে ভ্যাপসা গরমে পিপাসা মেটানোর পানির সিলভারের কলস হাতে ধরে ও অপর আরেক কৃষক গাছের নিচে শুয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় পাশে কৃষি কাজে ব্যবহৃত রৌদ্র রক্ষার মাথার মাতল পড়ে থাকতে দেখা গেছে। মোবাইল ফোনের ইন্টারনেটের গুগলে আবহাওয়া তখন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেড ছিল। এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, প্রচ- গরমে শিশুরা কান্নার চিৎকার ও বয়স্করা অস্থির হয়ে পড়েন। সেই সাথে উপজেলার কিছু কিছু এলাকায় লোড শেডিংয়ের কবলে পড়ে গরমে অতিষ্ঠরা অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নানা রকম পোস্ট ও স্ট্যাটাস দিতে দেখা যায়।
ছবি: নওগাঁর পত্নীতলায় প্রচ- গরমে দুই কৃষি শ্রমিক কাজের ফাঁকে গাছতলার ছায়ায় বিশ্রাম নিচ্ছেন। এসময় তারা ঘুমে বিভোর…।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/০৯:০৬পিএম/৩০/৪/২০১৯ইং)
আপনার মতামত লিখুন :