• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন

ধর্মগুরুদের যৌন হেনস্তায় পাপ নেই : আশারাম


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ২৭, ২০১৮, ৯:৩২ AM / ৪৬
ধর্মগুরুদের যৌন হেনস্তায় পাপ নেই : আশারাম

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপু মনে করতেন, তার মতো জ্ঞানীদের জন্য মেয়েদের ধর্ষণ করা পাপের কিছু নয়।

আশারামের আশ্রমে এক স্কুলছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের প্রত্যক্ষদর্শী রাহুল কে সাচার আদালতকে এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে ২৫ এপ্রিল, ধর্ষণের মামলায় যাবজ্জীবন সাজা পান স্বঘোষিত এ ধর্মগুরু। পাশাপাশি ধর্ষণে সহযোগিতা করায় বাপুর দুই সহযোগীকে ২০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।

রাহুল কে সাচারের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইন্ডিয়ার খবরে বলা হয়, যৌন সক্ষমতা বাড়াতে নিয়মিত ওষুধ সেবন করতেন আশারাম। বিতর্কিত এ ধর্মগুরু বিশ্বাস করতেন, মেয়েদের যৌন নিপীড়ন করা ‘ব্রহ্মজ্ঞানী’ বা ‘জ্ঞানী ব্যক্তি’ যারা ‘সাধক’ হিসেবে পরিচিত, তাদের জন্য পাপ নয়।

আশারাম বাপুর ভক্ত ছিলেন রাহুল কে সাচার। দণ্ডিত এই ধর্মগুরুর আশ্রমে প্রবেশের অনুমতি ছিল তার। তিনি আশারামকে ২০০৩ সালে রাজস্থানের পুস্কর, হরিয়ানার ভিওয়ানি ও গুজরাটের আহমেদাবাদের আশ্রমে তরুণীদের যৌন-নিপীড়ন চালাতে দেখেন।

এ বিষয়ে জানতে চেয়ে আশারামকে পরপর দুবার চিঠি দেন রাহুল। জবাব না পেয়ে জোরপূর্বক আশ্রমে প্রবেশ করে আশারামের কাছে জানতে চান মূল ঘটনা।

জবাবে আশারাম বলেছিলেন, ‘ব্রহ্মজ্ঞানী কো ইয়ে সাব করনে সে পাপ নেহি লাগতা।’ অর্থাৎ ব্রহ্মজ্ঞানী বা সাধকরা সব কিছু করে, এতে তাদের জন্য পাপের কিছু নেই।

২০১৩ সালে ধর্মগুরু আশারাম বাপুর বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তখন ওই কিশোরীর বয়স ছিল ১৬। এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ওই কিশোরীর পরিবার বাপুর অনুসারী ছিল। ২০১৩ সালের পর থেকেই কারাগারে আছেন ওই ধর্মগুরু।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/৯:৩০এএম/২৭/৪/২০১৮ইং)