ঢাকারনিউজ২৪.কম:
দুধকে বলা হয় সুষম বা আদর্শ খাবার। দুধে প্রচুর পুষ্টি-উপাদান থাকে। ক্যালসিয়াম ছাড়া দুধের মধ্যে ফসফরাস, আয়রন, জিংক, কপার, ম্যাঙ্গানিজের পরিমাণও অনেক বেশি থাকে। দুধ খাওয়ার উপকারিতা অনেক। তবে আজকের অনুষ্ঠানে আমরা ১০টি প্রধান উপকারিতা নিয়ে আলোচনা করবো। অবশ্য দুধ পান করার ক্ষেত্রে পাঁচ ধরনের মানুষকে সাবধান হতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক দুধের ১০টি উপকারিতা সম্পর্কে:
১. নিয়মিত দুধ খেলে স্ট্রোকে আক্রান্ত হবার আশঙ্কা কমে যায়।
২. দুধ অন্যান্য খাবারের বিষাক্ত উপাদানের ক্ষতি কাটায়।
৩. দুধ খেলে আমাদের শরীরে সেরোটোনিনের (Serotonin) পরিমাণ বেড়ে যায়। এটি `ব্রেইন ক্যামিকেল` নামে পরিচিত। এই উপাদান শরীরে পর্যাপ্ত সৃষ্টি হলে মন ভালো থাকে, মুড ভালো থাকে। তাই একে অনেকে `হ্যাপি হরমোন` বলেও ডাকেন।
৪. দুধ খেলে মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়ে।
৫. দুধ খেলে শরীরের হাঁড় ও দাঁতের সামর্থ্য বাড়ে।
৬. দুধ খেলে হৃত্পিণ্ডের সামর্থ্য বাড়ে।
৭. যারা নিয়মিত দুধ পান করেন তাদের যে-কোনো ক্ষত দ্রুত সেরে যায়।
৮. দুধ খেলে দৃষ্টিশক্তি বাড়ে।
৯. নিয়মিত দুধ খেলে আর্টারিওস্ক্যারোসিস ( arteriosclerosis) –এ আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচা যায়। এ রোগ হলে আমাদের আর্টারিগুলোর দেয়াল পুরু, শক্ত ও অস্থিতিস্থাপক হয়ে যায়। এতে শরীরের রক্তচলাচল বাধাগ্রস্ত হয়। এতে হার্ট অ্যাটাক হতে পারে।
১০. নিয়মিত দুধ খেলে শরীরে ক্যালসিয়ামের অভাব দূর হয়।
এখন আমরা পাঁচ ধরনের মানুষের কথা বলব, দুধ পান করার ক্ষেত্রে যাদের সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত। প্রথমেই বলব অ্যানিমিয়ার রোগীদের কথা। যারা রক্তস্বল্পতায় ভুগছেন, তারা দুধ খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান।
যাদের খাদ্যনালীতে ক্ষতরোগ আছে তারা দুধ খাওয়ার ব্যাপারে সাবধান হবেন।
যাদের পেটে অস্ত্রোপচার করা হয়েছে তাদের জন্য দুধপান নিষিদ্ধ।
যাদের পরিপাকতন্ত্রে আলসার আছে, তাদের জন্যও দুধ খাওয়া নিষিদ্ধ।
যাদের শরীরে ল্যাকটোবায়োনিক এসিড বা সুগার এসিডের অভাব আছে, তাদেরকে দুধ খাওয়ার ব্যাপারে সাবধানতা অবলম্বন করতে বলেন চিকিৎসকরা।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /১১.১৭ এএম/০৫/৪/২০১৭ইং)
আপনার মতামত লিখুন :