দুই স্ত্রীকে নিয়েই সংসার করতে চান সানি!

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ঢাকা : নতুন রহস্য উন্মোচন হলো বাংলাদেশের জাতীয় দলের ক্রিকেটার আরাফাত সানির। প্রথমে স্বীকারই করছিলেন না যে, তিনি বিবাহিত। কিন্তু নাসরিন সুলতানা নামের এক তরুণী সামনে আসায় এই সত্য বেড়িয়ে আসে। এবার জানা গেল সানি আগেই বিবাহিত ছিলেন। নাসরিন তার দ্বিতীয় স্ত্রী। দ্বিতীয় স্ত্রী নাসরিনের পক্ষ থেকে আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত সানিকে তার প্রথম স্ত্রীকে তালাকের নির্দেশ দিলেও তিনি চান দুই স্ত্রীকেই রেখে দিতে।

সানি ও সানির মা নার্গিস আক্তার প্রথমে নাসরিনকে অস্বীকার করলেও পরে আইনের চাপে পড়ে মেনে নেন। কিন্তু বুধবার স্থায়ী জামিনের জন্য আবেদন করলে সেখানে আবারও নাসরিন সানির প্রথম স্ত্রী থাকার অভিযোগ করেন। ফলে স্থায়ী জামিন দেওয়া হয়নি সানিকে। ঢাকার দায়রা জজ কামরুল হাসান মোল্লা আগামী ৬ জুলাই পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছেন সানিকে, ওই সময়ের মধ্যে নাসরিনের সঙ্গে সমঝোতা করতেও সময় দেওয়া হয়েছে তাকে।

নাসরিন আদালতে আবেদন করেন, যাতে প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিয়ে তাকে স্থায়ীভাবে মেনে নেওয়া হয়। কিন্তু সানি চান দুই স্ত্রীকেই রেখে দিতে। সানির পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, নাসরিনকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে রাখতে চান সানি, এজন্য তাকে আলাদা ফ্ল্যাট ভাড়া করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তিনি সেখানে থাকছেন না। তিনি সানির প্রথম স্ত্রীকে তালাক দিতে বলছেন। কিন্তু এটা সম্ভব না। যদিও আরাফাত সানির প্রথম স্ত্রীর কথা জেনেই তাকে বিয়ে করেছেন নাসরিন।

কিন্তু প্রথম স্ত্রীর কথা জানার বিষয়টি অস্বীকার করেছেন নাসরিন। তিনি বলেছেন, ‘তার সঙ্গে যখন আমি দেশের বাইরে ঘুরতে যাই, তখন তার পাসপোর্টে অবিবাহিত লেখা ছিল। সে আমাকে ধোঁকা দিয়েছে। আমাকে তার আগের বিয়ের কথা কিছুই জানায়নি।’

নাসরিন আদালতে আরও বলেছেন, ‘সানি জামিন পাওয়ার পর থেকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ রাখছে না। ফোন দিলেও ধরে না। একদিন তার বাসায় গেলে তার মা নার্গিস আক্তার আমাকে মারধর করেন। সানি আমার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। একটি দিনও আমাকে সঙ্গ দিচ্ছেন না।’ তবে তার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সানির আইনজীবী। তিনি জানিয়েছেন, সানি ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ খেলার কারণে ব্যস্ত আছেন।

চলতি বছরে জানুয়ারির পাঁচ তারিখে তথ্য প্রযুক্তি আইনে একটি মামলা করেন নাসরিন। মামলায় বলা হয়, সানি তার ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ করা ও আরও ছবি প্রকাশের হুমকি দিয়েছে। পরে গত ২২ জানুয়ারি সানিকে তার আমিন বাজারের বাসা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। নিজেকে সানির স্ত্রী দাবি করে এরপর যৌতুক নিরোধ আইন এবং নারী নির্যাতন আইনে আরও দুটি মামলা করেন নাসরিন। পরে সানিকে অস্থায়ী জামিন দেওয়া হয়।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১১:০০এএম/৮/৬/২০১৭ইং)