• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ০২:২২ পূর্বাহ্ন

নীলফামারীতে দিশেহারা স্থানীয় কৃষকরা


প্রকাশের সময় : মে ৪, ২০১৭, ৭:২৬ PM / ২৯
নীলফামারীতে দিশেহারা স্থানীয় কৃষকরা

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

নীলফামারীতে বোরো ধান ক্ষেতে ব্যাপক হারে ‘নেক ব্লাস্ট’ রোগ দেখা দিয়েছে। এতে করে গাছের গোড়ায় পচন ধরে শীষ শুকিয়ে যাচ্ছে। কৃষি বিভাগের নানা পরামর্শ ও কীটনাশক দিয়ে কোনোভাবেই এ রোগ দমন করা যাচ্ছে না। নেক ব্লাস্টের কারণে শতকরা ৫০ ভাগ ধান নষ্ট হয়ে যাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকরা।

সূত্র মতে, এবার জেলায় ৮২ হাজার ১১০ হেক্টর জমিতে বোরা ধান চাষ করা হয়েছে। গত ২০ দিন ধরে আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে নানা রোগ বালাই দেখা দিয়েছে। নেক ব্লাস্ট রোগে কুশি অবস্থায় পাতায় প্রথমে ডিমের মতো ছোট ছোট দাগ হয়। দাগের মাঝখানে ধূসর (ছাই) এবং চর্তুদিকে গাঢ় বাদামি রং ধারণ করে। আক্রমণ মারাত্মক হলে সম্পূর্ণ পাতা এমনকি পুরো গোছা ঝলসে যেতে পারে। একে পাতা ব্লাস্ট বলে। আক্রান্ত গোছার শেকড় কালচে রং হয়ে পচে যায়। ধান গাছের গিট আক্রান্ত হলে আক্রান্ত স্থান কালচে রং হয় ও গাছ ভেঙে পড়ে। একে নেক ব্লাস্ট বলে।

সদরের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা আনোয়ারুল হক বলেন, ‘এবারে কারেন্ট পোকা, ন্যাদা পোকা, পাতা মোড়ানো ও গোড়া পচা রোগের কারণে ধানের শীষ শুকিয়ে পাতান (চালনেই) দেখা দিয়েছে। এতে কৃষকরা বিপাকে পড়েছে। নীলফামারী সদর উপজেলাসহ ডোমার, ডিমলা, জরঢাকা, কিশোরগঞ্জ ও সৈয়দপুর উপজেলায় শতকরা ৫০ ভাগ ধানক্ষেত পুড়ে গেছে।’

কৃষি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নেক ব্লাস্ট রোগ রাতারাতি এক জমি থেকে অন্য জমিতে ছড়িয়ে পড়ছে। এটি একটি ছত্রাকনাশক রোগ।

সদরের রামনগর, কচুকাটা, টুপামারী, পঞ্চপুকুর, কুখাপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে কৃষকরা আতঙ্ক হয়ে কাচা ও আধাপাকা ধান কেটে ফেলছে।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম ০৭.২৭পিএম/০৪//২০১৭ইং)