• ঢাকা
  • রবিবার, ১৯ মে ২০২৪, ০৫:৩১ অপরাহ্ন

দিরাই আ.লীগের প্রস্তুতি কমিটিতে ২ গ্রুপের তালিকায় বিএনপি ও রাজাকারপুত্র!


প্রকাশের সময় : নভেম্বর ৮, ২০১৯, ১০:২৩ PM / ৩৭
দিরাই আ.লীগের প্রস্তুতি কমিটিতে ২ গ্রুপের তালিকায় বিএনপি ও রাজাকারপুত্র!

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় আগামী ২৪ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের লক্ষ্যে কেন্দ্রের নির্দেশনা অমান্য করে “আওয়ামী লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি”তে উভয় গ্রুপের তালিকায়ই বিএনপি’র পদধারী বিতর্কিত ব্যক্তি ও রাজাকারপুত্রকে স্থান দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
জেলা সভাপতি আলহাজ্ব মতিউর রহমান অনুসারী ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য এবং সাবেক উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলতাব উদ্দিন মাস্টারের গ্রুপের তালিকা জমা হয়েছে জেলা আওয়ামী লীগের হাতে।
সেখানে যুবদলের উপজেলা সাংগঠনিক সম্পাদক বিনিয়ামিন রাসেল, বিএনপি নেতা কুদ্দুস চেয়ারম্যান ও বহুল বিতর্কিত একরার হোসেন কে রাখা হয়েছে।
অভিযোগ রয়েছে একরারের আপন ছোট ভাই বদরুল আযাদ রানা সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও আওয়ামী লীগ বিরোধী আন্দোলনের জন্য একাধিকবার গ্রেফতার হয়ে জেলখাটা ও বহু মামলার আসামি।
একরারের অপর ভাই বর্তমানে কাডানা প্রবাসী সে জামাত শিবিরের রাজনীতির সমর্থক ছিলো বলে একজন জানালেও এই তথ্যের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
জয়াসেন গুপ্তার অনুসারী এক শীর্ষ নেতা বলেন একরার সাবেক ছাত্রলীগে ছিল, এখন আওয়ামী লীগের বা যুবলীগের বর্তমানে সদস্য/পদধারী কোন নেতা নয়।
তবে সে আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের সাথে জয়াসেন বিরোধী মঞ্চে সক্রিয় রয়েছে।
এছাড়া ২০১৭ সালে অবৈধভাবে জলমহাল দখল করতে গিয়ে সংঘর্ষ বাধিয়েছে যার ফলে তিনজন নিরীহ মানুষ মারা গেছে আর আসামি করেছিলো উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ রায় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও দিরাই পৌর মেয়র মোশাররফ মিয়া সহ অনেক শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে যারা ইতিমধ্যে তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন। এতেই প্রমাণিত হয় একরার ব্যাক্তিগত হীন স্বার্থে উনাদেরকে আসামি করেছিলো।
বিনিয়ামিন রাসেল দিরাই যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক, সে পদত্যাগ করেনি অথবা যুবদলও তাকে বের করে দেয়নি!
তাছাড়া রাসেল আওয়ামী লীগ অথবা কোনো অঙ্গসংগঠনের কোন পর্যায়ের সদস্য হওয়ার কোন প্রমাণ নেই কিংবা বিগত জাতীয় ও উপজেলা নির্বাচনে নৌকার পক্ষেও মাঠে নামেনি বরং নৌকার বিপক্ষে কাজ করার অভিযোগ রয়েছে।
উপজেলা নির্বাচনে মঞ্জু মিয়ার পক্ষে সে সহ তাদের গোটা পরিবার কাজ করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, যে কোনো দিন আওয়ামী লীগের কিছুই ছিলনা তাকে আলতাব উদ্দিন মাস্টারের পাঠানো তালিকায় কিভাবে নাম ওঠে তা শুনে আমরা বিস্ময়ে হতবাক!
রাসেলের পিতা কয়েক বছর আগে আনুষ্ঠানিক ভাবে বিএনপিতে যোগদানের মাধ্যমে আছে এখনো!
অথচ আলতাব উদ্দিন মাস্টার রাসেলের নাম রাখার ব্যাপারে কিছু জানেন না, উনার তালিকার সাথে একরার হোসেন এর জমাকৃত তালিকায় রাসেলের নাম রাখা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন সেদিন জেলা সভাপতির বাসভবনে থাকা একনেতা।
এছাড়াও তালিকায় থাকা হাতিয়ার শামিম অস্ত্র মামলার আসামি।
উভয় গ্রুপের তালিকায় বিএনপির পদধারী বিতর্কিত ব্যক্তিদের নাম দেওয়ায় তৃণমূল আওয়ামী লীগে তোলপাড় চলছে।
তৃণমূল আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন ‘নৌকার বিরোধিতাকারী-অনুপ্রবেশকারী ও বিএনপি ও তাদের পরিবারের সন্তানদেরও দলে জায়গা করে দেওয়া হচ্ছে। এটা মেনে নেওয়া যায় না। ’
অপরদিকে স্থানীয় এমপি ড. জয়াসেন গুপ্তার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের ৫ নভেম্বরের সভায়- আছাব উদ্দিন সর্দার কে আহ্বায়ক ও প্রদীপ রায়কে সদস্যসচিব করে ২১ সদস্যের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির চুড়ান্ত তালিকা জেলায় জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
সেই তালিকায় উপজেলা বিএনপির উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও রাজাকারপুত্র মতিউর রহমান মতিসহ বিএনপি থেকে নির্বাচিত সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদ্য আওয়ামী লীগে যোগদানকারী উপজেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি হাফিজুর রহমান তালুকদারকে সদস্য হিসেবে রাখা হয়েছে।
এনিয়ে জাতীয় পত্রিকা কালের কণ্ঠে রিপোর্ট হলে তৃণমূল আওয়ামী লীগে তোলপাড় শুরু হয়।
বর্তমান উপজেলা কমিটির এক নেতা বিভিন্ন অনলাইন নিউজ পোর্টালে বলেছেন হাফিজুর রহমান তালুকদার আজীবন আওয়ামী লীগের সাথে ছিলেন ২০১৪ সালের উপজেলা নির্বাচনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে অভিমান করে বিএনপিতে যোগদান করে উপজেলা চেয়ারম্যান হন তবে বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের কাছে আবার চলে আসেন, আর মতিউর রহমান মতির দাদা নেজামত উল্লা দিরাই আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রতিষ্ঠা কালিন নেতা ছিলেন।
আর বাবু সুরঞ্জিত সেন গুপ্তের হাত ধরে উনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেছিলেন তাই উনাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গুলো অপপ্রচার ছাড়া কিছু নয়।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/১০:২২পিএম/০৮/১১/২০১৯ইং)