• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৪:৩৯ অপরাহ্ন

দর্শনা পৌরসভার ক্যাশিয়ার ও প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ দুদকে মামলা


প্রকাশের সময় : মার্চ ২২, ২০২৩, ৭:৩৪ PM / ১১৭
দর্শনা পৌরসভার ক্যাশিয়ার ও প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে ঝিনাইদহ দুদকে মামলা

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : ঠিকাদারের নামে চেক ইস্যু করে জালিয়াতির মাধ্যমে এডিবি ও বিশেষ বরাদ্দের টাকা আত্মসাতের দায়ে দর্শনা পৌরসভার ক্যাশিয়ার সৈয়দ মোঃ রুমি আলম ও সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী এসএম আব্দুস সামাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলা হয়েছে। ঝিনাইদহ দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক মোঃ বজলুর রহমান বাদী হয়ে বুধবার দুপুরে এই মামলা করেন। মামলার আসামী ক্যাশিয়ার সৈয়দ মোঃ রুমি আলম চুয়াডাঙ্গার দর্শনা পৌর এলাকার ইসলাম পাড়ার সৈয়দ কামরুল আলমের ছেলে। অন্যদিকে সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী এসএম আব্দুস সামাদ চুয়াডাঙ্গার বুজরুক গড়গড়ি এলাকার সিএন্ডবি পাড়ার এস.এম আব্দুল হামিদের ছেলে। তিনি বর্তমানে মুন্সিগঞ্জের মীরকাদিম পৌরসভায় কর্মরত আছেন। মামলার এজাহার সুত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে দর্শনা পৌরসভা এলাকার চারটি রাস্তা সংস্কারের জন্য টেন্ডার আহবান করা হয়। দাখিলকৃত দরপত্রের মধ্যে সর্বনি¤œ দরদাতা হিসেবে দর্শনার দক্ষিন চাঁদপুর গ্রামের মেসার্স জয়নাল আবেদীন ও কলেজ পাড়ার নাজমুল হুদাকে কার্যাদেশ প্রদান করা হয়। মামলার এজাহারে বলা হয় টেন্ডারকৃত রাস্তার মধ্যে দুইটি রাস্তা এলজিইডির আইডি ভুক্ত রাস্তা ছিল, যা ডিঙ্গেদহ-শংকরচন্দ্র ইউপি-মাখালডাঙ্গা-দোস্তেরহাট-কোটালিপাড়া-দর্শনা রাস্তা হিসেবে পরিচিত। ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে ওই রাস্তা দুইটি চুয়াডাঙ্গা এলজিইডি বন্যা ও দুর্যোগ ক্ষতিগ্রস্থ পল্লীসড়ক অবকাঠামো প্রকল্পের আওতায় নির্মিত হয়। ঠিকাদাররা ওই রাস্তার কাজ না করা সত্তে¡ও প্রকল্প দুইটির বাস্তবায়ন দেখিয়ে ক্যাশিয়ার সৈয়দ মোঃ রুমি আলম ও সাবেক উপসহকারী প্রকৌশলী এসএম আব্দুস সামাদ ভুয়া বিল ভাউচার তৈরী করে নিজেরাই চারটি চেকের মাধ্যমে ১৭ লাখ ৫২ হাজার টাকা তুলে নেন। তারা এই টাকা দামুড়হুদা সোনালী ব্যাংক শাখা থেকে বেয়ারার চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করেন। ফলে পরস্পর যোগসাজসে অসৎ উদ্দেশ্যে জালিয়াতি, প্রতারণা, বিশ^াসভঙ্গ ও ক্ষমতার অপব্যাবহার করায় তাদের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা করা হয়। বিষয়টি নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনের ঝিনাইদহ জেলা সমন্বিত অফিসের সহকারী পরিচালক মোঃ বজলুর রহমান খবরের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরজমিন তদন্ত ও দপ্তরের কাগজপত্রে জালিয়াতির তথ্য মিলেছে। তারা এডিবি সাধারণ ও বিশেষ বরাদ্দের (জিওবি) টাকা আত্মসাৎ করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন বলে প্রতিয়মান হয়।