• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৪:৪৬ পূর্বাহ্ন

দক্ষিণ সুনামগঞ্জে বৈশাখী ঝড়ে ৭২০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১৬, ২০১৯, ৭:২৫ PM / ৫০
দক্ষিণ সুনামগঞ্জে বৈশাখী ঝড়ে ৭২০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্থ

সেলিম আহমদ তালুকদার, সুনামগঞ্জ : কালবৈশাখী ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলায় বোরো ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গত সোমবার সকালে উপজেলার পাথারিয়া,শিমুলবাঁক, পূর্ব বীরগাঁও ও দরগাপাশা ইউনিয়নের উপর দিয়ে দমকা বাতাসসহ কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায় এবং একই সময়ে স্বল্প সময়নিয়ে ঘন শিলাবৃষ্টি হয়। এতে বোরো ফসল ও বর্ষাকালীন সবজির ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা যায়, ২০ মিনিট ব্যাপী কাল বৈশাখী ঝড় প্রচন্ড বাতাস সহকারে ইউনিয়নের জামখোলা হাওর, গাজীনগর হাওর,আসামমোড়া হাওর,রাধারবাড়ি হাওর হলিদাকান্দা হাওরের উপর দিয়ে বয়ে যায়। প্রচন্ড বাতাস ও শিলাবৃষ্টির কারণে জমির পাকা ধানের (ব্রি ২৮ ধান ও হাইব্রীড) ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়। শিলা বৃষ্টিতে পাথারিয়া ইউনিয়নের ১১০ হেক্টও, শিমুলবাঁক ইউনিয়নের ৪০০হেক্টর পূর্ব বীরগাঁও ইউনিয়নের ১১০ হেক্টর ও দরগাপাশা ইউনিয়নের ১০০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আক্রান্ত জমির ৫০ ভাগ ধান জমিতে ঝরে পড়েছে। গাজীনগর গ্রামের কৃষক হুশিয়ার আলী বলেন, হাওরের জমির ধান গাছ বাতাসে নুয়ে পড়েছে। আক্রান্ত জমির ধান গাছ থেকে ধান জমিতে ঝরে পড়েছে। নগর গ্রামের কৃষক ধনীন্দ্র তালুকদার বলেন, শিলা বৃষ্টি কম সময় হলেও প্রচন্ড বাতাসে ২৮ ধানের ব্যাপক ক্ষতি করেছে। আক্রান্ত জমির ধান কাটা যাবে না। পাথারিয়া ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা টিটু তালুকদার বলেন, ঝড়োবাতাস ও দমকা হাওয়ার কারণে পাকা জমির ৫০ ভাগ ধান জমিতেই ঝরে পড়ে যায় এবং উচ্চ গতির বাতাসে ধানগাছ গুলো জমিতে বিছিয়ে পড়ে যায়। দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলার কৃষি অফিসের দায়িত্ব প্রাপ্ত উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, আজ সকালে হঠাৎ করে চারটি ইউনিয়নের উপরদিয়ে দমকা হাওয়াসহ শিলা বৃষ্টি হয়। এতে হাওরের পাকা জমির ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়। এজন্য তারা কৃষকদের জমির ধার ৭০ ভাগ থেকে ৭৫ ভাগ পেকে গেলে কেটে ফেলার নির্দেশনা দিচ্ছেন। এছাড়া জমির আইলে গাছ লাগানোর পরার্মশসহ কৃষি বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী জমিতে ধান লাগানোর কথা বলছেন। তিনি আরও বলেন, ব্রি ২৮ ও হাইব্রীড ধান হাওওে চাষাবাদেও অনুপোযাগি কারণ এসব জাতের ধান অল্প বাতাস ও শিলা বৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিলা বৃষ্টিতে যেসব ধান গাছে চাল ধরেছে সেসব জমির সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া জমির পাকা ধান ঝড়ো বাতাস ও শিলা বৃষ্টির কারণে জমিতে ঝরে পড়েছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মোঃ বশির আহমেদ সরকার বলেন, শিলাবৃষ্টিতে চারটি ইউনিয়নের সাড়েতিন হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। শিলাবৃষ্টির পরপরই উপ সহাকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ এলাকা পরিদর্শন করে তথ্য উপাত্য সংগ্রহ করেছেন।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/কেএস/৭:২৩পিএম/১৬/৪/২০১৯ইং)