• ঢাকা
  • সোমবার, ১৭ Jun ২০২৪, ০৫:৩০ অপরাহ্ন

তিন দফা দাবিতে ইবি কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি


প্রকাশের সময় : মার্চ ৫, ২০১৯, ১০:১৬ AM / ৩৮
তিন দফা দাবিতে ইবি কর্মকর্তাদের কর্মবিরতি

সাব্বির আহমেদ, ইবি প্রতিনিধি : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) কর্মকর্তারা তাঁদের কর্মঘন্টা কমিয়ে বেতন স্কেল বাড়ানোসসহ চাকুরীতে বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে আন্দোলন করেছে। গতকাল (৪ মার্চ) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অফিসিয়াল কর্মসূচি বর্জন করে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করেছে কর্মকর্তারা।

আন্দোলনে তাঁরা ৩ দফা দাবি উত্থাপন করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত উপ-রেজিস্ট্রার বা সমমানদের বেতন স্কেল ৫০ হাজার টাকা, সহকারী রেজিস্ট্রার বা সমমানদের বেতন স্কেল ৩৫ হাজার ৫ শত টাকা, অফিস সময়সূচি পূর্বের ন্যায় সকাল ৮ টা হতে দুপুর ২ টা পর্যন্ত নির্ধারণ এবং চাকুরীর বয়সসীমা ৬০ বছরের পরিবর্তে ৬২ বছর বহাল রাখার দাবি করেছেন। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় কর্মকর্তা সমিতির মহাসচিব ও ইবি কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মীর মোর্শেদুর রহমান এর সঞ্চালনায় অবস্থান কর্মসূচিতে আন্দোলনরত কর্মকর্তা আব্দুল হান্নান অবস্থান কর্মসূচীতে যোগদান না করা কর্মকর্তাদের আন্দোলনে যোগাদান না করলে কর্মকর্তা সমিতি থেকে বহিস্কারের হুমকি দেন। দাবি আদায় না হলে উপাচার্যকে অবরুদ্ধ করাসহ উপাচার্য পতনের একদফা আন্দোলনের হুমকি দেন। তিনি বলেন, আজকে আমরা দাবী আদায়ে রাজপথে এসেছি, আজকে যে সমস্ত কর্মকর্তা নির্বাহী কমিটির সদস্যরা ঘরে বসে আছেন, কালকে তাদেরকে আমাদের সাথে দেখতে চাই। তা না হলে আপনারা কমিটি থেকে পদত্যাগ করে আপনার জায়গায় থাকুন, আপনাদের কেউ কিছু বলবেনা। যদি আমাদের সাথে যুক্ত না হোন তাহলে আমরা আপনাদেরকে কমিটি থেকে বহিস্কার করতে বাধ্য হব। প্রশাসনের দালালী করার জন্য আপনাদেরকে ভোট দেওয়া হয়নাই। তিনি আরও বলেন, প্রশাসন বার বার দাবী পর্যালোচনা কমিটি করার নামে আমাদের সাথে নাটক করে যাচ্ছে। আমাদের সাথে নাটক বন্ধ করুন, তা না হলে আগামী ৯ তারিখ থেকে এ আন্দোলন তিন দফার মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবেনা, একদফায় চলে যাবে বলে ইবি উপাচার্যকে হুসিয়ারী প্রদান করেন।

এদিকে কর্মকর্তাদের কর্মঘন্টা সকাল ৮টা-দুপুর ২টা পর্যন্ত করার দাবিকে অযৌক্তিক বলে মনে করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এছাড়াও গত বছরের ২২ ডিসেম্বর উক্ত দাবিতে মৌনমিছিল করেছিল কর্মকর্তারা। মৌনমিছিল চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ হারুন উর রশীদ আসকারী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ শাহিনুর রহমান ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোঃ সেলিম তোহা উপস্থিত হন এবং উপাচার্য কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন , রাস্তায় দাঁড়িয়ে নয় আলোচনার টেবিলে সমাধান চাই। পদ্ধতিগতভাবে সমাধানের পথে এগিয়ে যেতে চাই। দাবিগুলো পর্যালোচনার তাগিদে অধ্যাপক ড. কামাল উদ্দিনকে আহ্বায়ক করে ৮ সদস্য বিশিষ্ট যাচাই-বাছাই কমিটি করেছিল প্রশাসন। কামাল উদ্দিন আহ্বায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করলে পরবর্তীতে ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণকে আহ্বায়ক করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন প্রবীণ শিক্ষক বলেন, দাবী আদায়ের নামে ক্যাম্পাসে অস্থিরতার লক্ষ্যে কিছু মহল উঠে পরে লেগেছে, যা কাম্য নই। আন্দোলন না করে তাঁদেরকে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের পরামর্শ দেন। যদিও কর্মকর্তাদের চাকুরির মেয়াদ বাড়ানো এবং বেতন স্কেল বৃদ্ধির ব্যাপারটি সম্পূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন ও অর্থমন্ত্রনালয়ের আওতাধীন। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী বলেন, সরকার কর্তৃক প্রদেয় আর্থিক নীতিমালা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হবে।
(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:১৬এএম/৫/৩/২০১৯ইং)