• ঢাকা
  • সোমবার, ১৭ Jun ২০২৪, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

ঢাবিতে দুই বাংলার সংস্কৃতি বিনিমিয়


প্রকাশের সময় : মার্চ ২৯, ২০১৭, ৪:২৪ PM / ৪৬
ঢাবিতে দুই বাংলার সংস্কৃতি বিনিমিয়

ঢাকারনিউজ২৪.কম:ঢাকা:

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যৌথ উদ্যোগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়। মঙ্গলবার ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের কনফারেন্স হলে দুইদিনব্যপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন ঢাবি উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক।

মুক্তিযুদ্ধে তৎকালীন ভারত সরকারের প্রধান ইন্দিরা গান্ধী ও ভারতের সমস্ত মানুষের অবদান স্মরণ করে উদ্বোধনী বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘আমরা একই সংস্কৃতি, একই ভাষা, একই সাহিত্য, একই গানের মানুষ। শুধু ভৌগলিক কারণে আমরা আলাদা। মানসিক দিক দিয়ে আমরা একই। দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে আজকের এই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পালিত হচ্ছে। গত ডিসেম্বরে আমরা রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলাম। তারই অংশ হিসেবে আজকে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এসেছে।’

ঢাবি উপাচার্য আরো বলেন, ‘দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সংস্কৃতি বিনিময়, ছাত্র-শিক্ষক বিনিময় অব্যাহত থাকবে।’

অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যলয় থেকে আগত বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধান, অতিথি ও শিক্ষকবৃন্দ।

সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের চেয়ারম্যান দেবজ্যোতি চন্দ জানান, দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে সংস্কৃতি, ছাত্র-শিক্ষক বিনিময়। তারই প্রেক্ষিতে আমাদের বাংলাদেশ সফর। খুব ভাল লাগছে এই উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে আসতে পেরে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘দুই দেশের মধ্যে বিনিময় চলছিল। এর আগেও ছাত্র-ছাত্রী বা মাস্টারমশাইরা এসেছেন। কিন্তু প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে এবারই প্রথম। একটু দেরিতে হলেও ধারাটি শুরু হয়েছে। আশা করছি এই ধারাটি অব্যাহত থাকবে এবং ভবিষ্যতে এটি আরো সুন্দর ও দৃঢ় রুপ পাবে।’

শুধু একটা সীমারেখা দিয়ে দুটি দেশকে আলাদা করা যায় না, এ অনুষ্ঠান এটি প্রমাণ করে। এমনটাই মনে করেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কণ্ঠসঙ্গীত বিভাগের প্রধান কঙ্কনা মিত্র। তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের ভাষা এক, সংষ্কৃতি এক। তাই আমাদের আদান-প্রদানের জায়গাটি সহজ হয়ে গেছে। পশ্চিমবঙ্গের কিছু কিছু ধারা যেমন ঝুমুর গান, কীর্ত্তন এসব বাংলাদেশে চর্চা হয় না আবার বাংলাদেশের সংগীতের অনেক ধারাও পশ্চিমবঙ্গে চর্চা হয় না। আমি মনে করি এ চর্চাগুলো আরো বাড়ানো দরকার। এই বিনিময় দরকার। আশা করি দুই বাংলার এ সংস্কৃতি বিনিময়ের মাধ্যমে এসব গানে চর্চা বেড়ে উঠবে।’

পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পর্বে অংশ নেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পারফর্মি আর্টস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সমন্বয় করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের চেয়ারম্যান লীনা তাপসী খান এবং রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের কণ্ঠসঙ্গীত বিভাগের প্রধান কঙ্কনা মিত্র। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া বাংলাদেশী শিক্ষার্থীরাও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশ নেয়।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /০৪.২৪ পিএম/২৯//২০১৭ইং)