• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ০৮:০৯ পূর্বাহ্ন

ঝিনাইদহে পালিত হচ্ছে মরমী কবি পাগলাকানাইয়ের ২০৮তম জন্মবার্ষিকী


প্রকাশের সময় : মার্চ ৯, ২০১৮, ৬:২৮ PM / ৩৯
ঝিনাইদহে পালিত হচ্ছে মরমী কবি পাগলাকানাইয়ের ২০৮তম জন্মবার্ষিকী

আতিকুর রহমান, ঝিনাইদহ : “আমি মরে দেখেছি, মরার বসন পরেছি, কয়েক দিন আগেও মরে বেঁচে আছি, তোরা মরবি যদি আয় রে ছুটে আয়”। এমন হাজারো আধ্যাতিক গানের স্রষ্টা লোক কবি পাগলা কানাইয়ের ২০৮তম জন্মজয়ন্তী বর্নাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে আজ শুক্রবার পালিত হচ্ছে। এ উপলক্ষে কবির মাজার ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামে আয়োজন করা হয়েছে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠান। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে প্রথম দিনে কবির মাজারে পুষ্পমাল্য অপর্ণ, মিলাদ মাহফিল, লাঠিখেলা, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা ও লোক সঙ্গীত অনুষ্ঠান। দ্বিতীয় দিনের অনুষ্ঠানে রয়েছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, লোক সঙ্গীত ও নাটক। শেষ দিন ১১ মার্চ রয়েছে কৌতুক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, আলোচনা সভা ও পালাগানের প্রতিযোগিতা। পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদ এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ইতিহাস সুত্রে জানা গেছে, লোক-সাধনা ও মরমী সঙ্গীতের এ কবি ঝিনাইদহ সদর উপজেলার বেড়বাড়ি গ্রামে বাংলা ১২১৬ সালের ২৫ ফাল্গুন জন্মগ্রহণ করেন এবং বাংলা ১২৯৬ সালের ২৮ আষাঢ় ইন্তেকাল করেন। বাল্যকালে পিতৃহারা পাগলা কানাইয়ের টাকার অভাবে লেখাপড়া হয়নি। তিনি মানুষের বাড়ি রাখালের কাজ করতেন। গরু চরাতে গিয়ে তিনি একের পর এর দেহতত্ব ও জারি গান গাইতেন। নিরক্ষর হলেও তার স্মৃতি, মেধা ছিল প্রখর। তিনি উপস্থিত বুদ্ধি দিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে গান রচনা করে নিজ কণ্ঠে পরিবেশন করতেন। তার সঙ্গীতে যেমন ইসলাম ধর্মের তত্ত্বকে প্রচার করেছেন, তেমনি হিন্দু-পুরান রামায়ণ ও মহাভারত থেকেও নানা উপমার প্রয়োগ ঘটিয়েছেন। এ কারণেই তার গান সর্বজনীনতা লাভ করে। তার মধ্যে বাউল ও কবিয়াল এ দুয়ের যথার্থ মিলন ঘটেছে।‘জিন্দা দেহে মুরদা বসন, থাকতে কেন পরনা, মন তুমি মরার ভাব জান না, মরার আগে না মরিলে পরে কিছুই হবে না। পাগলা কানাই স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রশীদ জানান, ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক মোঃ জাকির হোসেন শুক্রবার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৬:২৫পিএম/৯/৩/২০১৮ইং)