• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৫:২৫ অপরাহ্ন

জম্মু-কাশ্মীরের জোট সরকার ছাড়ল বিজেপি


প্রকাশের সময় : জুন ১৯, ২০১৮, ১০:১৪ PM / ৪১
জম্মু-কাশ্মীরের জোট সরকার ছাড়ল বিজেপি

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের জোট সরকার থেকে বেরিয়ে গেছে বিজেপি। ফলে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মেহবুবা মুফতির প্রায় সাড়ে তিন বছরের সম্পর্কের ইতি ঘটল। খবর: এনডিটিভি, দ্য হিন্দু, আনন্দবাজার পত্রিকা।

মঙ্গলবার দুপুরে নয়াদিল্লিতে সংবাদ সম্মেলন করে জম্মু-কাশ্মীরে সরকার থেকে বেরিয়ে আসার সিদ্ধান্তের কথা জানান বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাধব।

তিনি বলেন, ‘জম্মু-কাশ্মীরে পিডিপি’র (মেহবুবার দল পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টি) সঙ্গে পথচলা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সরকার থেকে সরে আসা ছাড়া আর কোনো উপায় ছিল না।’

নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করে রাম মাধব বলেন, ‘সন্ত্রাস, হিংসা এবং কট্টরবাদ উপত্যকায় সাধারণ নাগরিকদের মৌলিক অধিকারকে খর্ব করছিল। শুজাত বুখারির খুন তার উদাহরণ।’

তিনি জানান, জম্মু-কাশ্মীর মন্ত্রিসভা থেকে বিজেপির সকল সদস্য আজই পদত্যাগ করবেন।

রাম মাধব আরও বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তা এবং সংহতির মতো বৃহৎ স্বার্থকে মাথায় রেখে বলতেই হয়, জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সে কারণেই আমরা সরকার থেকে সরে এসে রাজ্যের ভার রাজ্যপালের হাতে তুলে দিতে চেয়েছি।’

তার এই সংবাদ সম্মেলনের পর রাজভবনে গিয়ে জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি পদত্যাগপত্র জমা দেন।

জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভায় মোট ৮৭টি আসন। ২০১৪ সালের মে মাসে যে নির্বাচন হয়, সেখানে পিডিপি পেয়েছিল ২৮টি আসন। বিজেপি পেয়েছিল ২৫টি। এছাড়া ওমর আবদুল্লার দল ন্যাশনাল কনফারেন্স ১৫টি, কংগ্রেস ১২টি এবং অন্যান্যরা ৭টি আসন পেয়েছিল।

বিজেপি এবং পিডিপি যৌথভাবে ম্যাজিক সংখ্যা ৪৪ ছাড়িয়ে ৫৩-য় পৌঁছয়। সেই জোটই এতদিন সরকার চালাচ্ছিল।

পবিত্র রমজানে জম্মু-কাশ্মীরে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল সরকার। কিন্তু, এরই মধ্যে দুটি পৃথক ঘটনায় খুন হন সাংবাদিক শুজাত বুখারি ও সেনা জওয়ান ঔরঙ্গজেব।

ঈদের পরপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিংহ যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে নেন। এরপরেই মেহবুবা মুফতির পিডিপির সঙ্গে কেন্দ্রের বিরোধ প্রকাশ্য হয়।

যদিও রাম মাধব সংবাদ সম্মেলনে স্বীকার করেস, ‘পিডিপির সঙ্গে বিরোধ জোটের শুরুর দিন থেকেই ছিল। আদর্শগত কোনো মিল না থাকা সত্ত্বেও আমরা সেদিন উপত্যকায় পিডিপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ছিলাম শুধু জনগণের রায়কে সম্মান জানাতে। না হলে, সেই সময়েই রাজ্য রাষ্ট্রপতি বা রাজ্যপালের শাসনে চলে যেত।’

রাম মাধবের সংবাদ সম্মেলের পরপরই পিডিপির প্রেসিডেন্ট ও মুখমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি বিকেলে নিজবাসায় দলীয় নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেন।

সেই বৈঠক থেকে বেরিয়ে তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন।

বৈঠক শেষে পিডিপির সাধারণ সম্পাদক পীর মানসুর সাংবাদিকদের বলেন, ‘জোট খুবই কঠিন সময় পার করছি। আমাদেরও ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে যাচ্ছিল। ফলে তাদের জোট ছাড়ার ঘোষণা আমাদের খুব একটা অবাক করেনি।’

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:১৩পিএম/১৯/৬/২০১৮ইং)