• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১০:৫৪ পূর্বাহ্ন

জনতা ব্যাংকের আমানত হ্রাস


প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৩, ২০১৮, ১০:২৯ AM / ৪৭
জনতা ব্যাংকের আমানত হ্রাস

ঢাকারনিউজ২৪.কম, ডেস্ক : দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত জনতা ব্যাংকে গত দুই মাসে দুই হাজার ৬১২ কোটি টাকার আমানত হ্রাস পেয়েছে বলে দাবি করেছেন ব্যাংকটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও)।

সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিবকে দেওয়া এক চিঠিতে জনতা ব্যাংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস ছালাম আজাদ দাবি করেছেন, সরকারের বেঁধে দেওয়া সুদহার কার্যকর করতে গিয়ে গত দুই মাসে তার ব্যাংকে দুই হাজার ৬১২ কোটি টাকার আমানত হ্রাস পেয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়, অর্থমন্ত্রীর সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জনতা ব্যাংক গত ১ জুলাই থেকেই আমানত ও ঋণের সুদের হার যথাক্রমে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ ও ৯ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে। এতে প্রথম দিকে আমানতের ওপর বিরূপ প্রভাব পরিলক্ষিত না হলেও পরবর্তী সময়ে ক্রমান্বয়ে আমানতের পরিমাণ হ্রাস পেতে থাকে। যার ফলে গত দুই মাসে ব্যাংকটির দুই হাজার ৬১২ কোটি টাকা আমানত হ্রাস পেয়েছে।

আমানতের ওপর বিরূপ প্রভাব বিশ্লেষণে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ জানতে পারে, রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংক নির্ধারিত সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদহারের পরিবর্তে ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ থেকে ৬ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে আমানত সংগ্রহ করছে। এর ফলে জনতা ব্যাংকের আমানত রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন অন্যান্য ব্যাংকে চলে যাচ্ছে। আমানত অন্য ব্যাংকে চলে যাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে একদিকে যেমন ব্যাংকের তারল্যের পরিমাণ সংকুচিত হচ্ছে, অন্যদিকে ব্যাংকের ঋণ আমানত অনুপাত (এডি রেশিও) বৃদ্ধিসহ ব্যাংকের বিনিয়োগযোগ্য তহবিলের পরিমাণও সংকুচিত হচ্ছে।

চিঠিতে জনতা ব্যাংক দাবি করেছে, জনতা ব্যাংক আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে কল ও রিভার্স রেপোর মাধ্যমে সবসময় তহবিল জোগানে গুরুত্বপূর্ণ ও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করে আসছে। বর্তমানে সুদহারের অসম প্রতিযোগিতার কারণে আমানত হ্রাস পাওয়ায় ব্যাংকটি তারল্য সংকটের সম্মুখীন হয়েছে। ফলে ব্যাংকটির মানি মার্কেট থেকে কল লোন এবং বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অ্যাসিউরড লিকুইডিটি সাপোর্ট (এএলএস) ও রেপোর মাধ্যমে কর্জ করে প্রয়োজনীয় সিআরআর সংরক্ষণ করতে হচ্ছে।

নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় সিআরআর সংরক্ষণসহ গ্রাহকদের দৈনন্দিন চাহিদা পূরণের জন্য জনতা ব্যাংক গত ২৬ আগস্ট মানি মার্কেট থেকে দুই হাজার ১৩৬ কোটি টাকা ধার করে। তবে বেশকিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করায় বর্তমানে ধারের পরিমাণ কিছুটা হ্রাস পেলেও ভবিষ্যতে অসম সুদহার বহাল থাকলে ধারের পরিমাণ পুনরায় বৃদ্ধি পাবে বলেও জানিয়েছে ব্যাংকটি।

এ বিষয়ে রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আতাউর রহমান প্রধান উচ্চসুদে আমানত গ্রহণের কথা অস্বীকার করে জানান, উচ্চসুদে আমানত সংগ্রহ করা হয়নি। সরকারের বেঁধে দেওয়া সুদহারেই আমানত সংগ্রহের চেষ্টা করা হচ্ছে। বেঁধে দেওয়া সুদহার মানতে গিয়ে জুলাই থেকে রূপালী ব্যাংকের দুই হাজার ৭০০ কোটি টাকার আমানত কমেছে।

প্রসঙ্গত, সরকার সুদের হার এক অংকে নামিয়ে আনার লক্ষ্যে আমানতে ৬ শতাংশ ও ঋণের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ সুদ নির্ধারণ করে দিয়েছেল। যা গত ১ জুলাই থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ ব্যাংক তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। পরে দ্বিতীয় দফায় ২ আগস্ট সভা করে ৯ আগস্ট থেকে নতুন সুদহার কার্যকর করার কথা বলা হয়। কিন্তু এ সময়ের মধ্যেও রাষ্ট্রায়ত্ত বেশ কয়েকটি ব্যাংক এ ঘোষণা বাস্তবায়ন করেনি। সূত্র: বণিক বার্তা

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/আরএম/১০:৩০এএম/২৩/৯/২০১৮ইং)