নতুন মূল্য সংযোজন কর (মূসক) আইনে ১৫ শতাংশ মূসক ভোক্তাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। এতে উৎপাদন খরচ বাড়বে। তবে এ নিয়ে সিপিডি বলেছে, আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অভিন্ন ১৫ শতাংশ মূসক হার নির্ধারণ করা হয়েছে। তাই আপাতত তা কমানোর সুযোগ এখন নেই। আগামী এক-দুই বছরে মূসক আহরণ বৃদ্ধি পেলে তা ক্রমান্বয়ে ১২ শতাংশে আনা উচিত।
গতকাল রোববার ২০১৬-১৭ অর্থবছরের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও নতুন বাজেট প্রস্তাব তুলে ধরতে মহাখালীর ব্র্যাক সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সেখানেই এসব কথা বলা হয়। এ সময় ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ন্যূনতম কর হার ১০ শতাংশ থেকে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনার সুপারিশ করে সিপিডি। বর্তমানে আড়াই লাখ টাকা পর্যন্ত আয়ে কোনো কর নেই। আড়াই লাখ টাকার বেশি; পরের চার লাখ টাকা আয়ের জন্য ১০ শতাংশ হারে করারোপ করা হয়।
এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে সিপিডির বিশেষ ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ১৫ শতাংশ মূসক হার অত্যন্ত বেশি। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর তুলনায়ও বেশি। ১৫ শতাংশ মূসক হার বাজারে চাপ সৃষ্টি করবে; যা নাগরিকদের ওপরে পড়বে। এই চাপ কমাতে সাধারণ করদাতাদের ব্যয়যোগ্য আয় বাড়াতে হবে। তাঁদের ব্যয়যোগ্য আয় বাড়াতে ব্যক্তিশ্রেণির ন্যূনতম কর হার ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে সাড়ে ৭ শতাংশে নামিয়ে আনা উচিত। এতে মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তরা অর্থ সাশ্রয়ের সুযোগ পাবেন। সেই অর্থ খরচ করার সুযোগও বাড়বে। এই প্রক্রিয়ায় কিছু কর হয়তো হারাবে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে করদাতাদের ব্যয়যোগ্য আয় বাড়লে অভ্যন্তরীণ চাহিদা বাড়বে, যা রাজস্ব আদায় বাড়াবে।
সিপিডি আরও বলেছে, পরিষেবা; বিশেষ করে বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল পরিশোধে মূসক হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ হলে তা ভোক্তার ওপর চাপ বাড়াবে। আগামী ১ জুলাই থেকে নতুন মূসক আইন বাস্তবায়নকে নীতিগতভাবে সমর্থন করে সিপিডি। তবে নতুন আইন বাস্তবায়নের একটি পরিকল্পনা জনগণের সামনে তুলে ধরা উচিত বলে মনে করে সিপিডি। এ ছাড়া সিপিডি মনে করে, জনগণকে সম্পৃক্ত করেই মূসক আইন বাস্তবায়ন করা দরকার।
বিদেশি নাগরিকদের জন্য ইলেকট্রনিক কর শনাক্তকরণ নম্বর (ইটিআইএন) দেওয়ার সুপারিশ করেছে সিপিডি।
আপনার মতামত লিখুন :