• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ মে ২০২৪, ০১:১৫ অপরাহ্ন

‘ছাত্রনেতা জনে জন, মৃত্যুঞ্জয়ী একজন”


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ৮, ২০১৮, ১০:৩২ PM / ১৫৫
‘ছাত্রনেতা জনে জন, মৃত্যুঞ্জয়ী একজন”

মাহাবুব আলম শ্রাবন (বিশেষ প্রতিনিধি) : শিক্ষা, শান্তি ও প্রগতির পতাকাবাহী সংগঠন, জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া, জীবন ও যৌবনের উত্তাপে শুদ্ধ সংগঠন, সোনার বাংলা বিনির্মাণের কর্মী গড়ার পাঠশালা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। বিদ্যার সঙ্গে বিনয়, শিক্ষার সঙ্গে দীক্ষা, কর্মের সঙ্গে নিষ্ঠা, জীবনের সঙ্গে দেশপ্রেম এবং মানবীয় গুণাবলির সংমিশ্রণ ঘটিয়ে বাংলাদেশ  ছাত্রলীগ অতিক্রম করেছে পথচলার ৭০ বছর।

আগামী ১১ এবং ১২ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ইতিহাসের অন্যতম ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলন। সম্মেলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশের নেতাকর্মীদের মধ্যে যখন নতুন উদ্যম লক্ষ্যনীয়, সংগঠনের শীর্ষ পদ পেতে যখন মরিয়া হয়ে পড়েছেন। শতাধিক পদপ্রত্যাশীরা যোগ্যতা এবং দলের জন্য ত্যাগকে সামনে এনে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতাদের দৃষ্টি আকর্ষনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিক তখনি হঠাৎ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুঞ্জন উঠেছে এক স্লোগান ছাত্রনেতা জনে জন মৃত্যুঞ্জয়ী একজন। অনুসন্ধানের এক পর্যায়ে খোজ মিললো এই মৃত্যুঞ্জয়ীর। প্রশ্ন আসতেই পারে কে এই মৃত্যুঞ্জয়ী?

তিনি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের অন্যতম সহ-সম্পাদক আনোয়ার হোসেন জীবন। উপমহাদেশের বৃহত্তম ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্রসংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগে এমন নীতিবাদী, মেধাবী ও মানবিক নেতা খুঁজে পাওয়া দায় তেমন একজন নেতা এই জীবন, যার নিজ দক্ষতা আর নেতৃত্বগুণই তার পরিচয়। কর্মীদের ইতিবাচক রাজনীতিতে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন, সম্ভাবনাময় আগামীর স্বপ্ন দেখিয়েছেন। এমন একজন বর্ষীয়ান ছাত্রনেতা তিনি। ছাত্রলীগের হারানো গৌরব পুনরুদ্ধার করতে ও দেশ-জাতির প্রভূত কল্যাণে যার শরীরের শেষ রক্ত টুকু দিতেও বিন্দু মাত্র সংকোচ বোধ নেই যার তিনি জীবন।

মৃত্যুকে জয় করে আজও রাজপথে বলীয়ান এক বজ্রকন্ঠস্বর, মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখার এক অপার অভিজ্ঞতার ক্ষত নিয়ে ছুটে চলা নতুন দিগন্তে বঙ্গবন্ধুর আর্দশকে বাস্তবায়ন করার প্রচেষ্টায় যে প্রান মৃত্যুঞ্জয়ী ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন জীবন। গত ২৫ শে জানুয়ারি ২০১৩ সালে নৃশংসভাবে হামলা চালায় তার উপর, ঢাকা কলেজ এর মূল ফটকে রাজনৈতিক কর্মীদের নিয়ে বসে থাকা অবস্থায় ছাত্র নামধারী কতিপয় সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা করে ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন জীবন এর উপর, জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষনে তার স্থান হয় ঢাকা মেডিকেল, পপুলার, ল্যাব এইড, কেয়ার হয়ে আপ্যোলো হাসপাতালের আইসিইউতে।

অচেতন অবস্থায় আইসিইউতে পরে থাকা নিথর দেহটি তখন প্রান আছে খানিকটা।চলতে থাকে টানা অস্ত্রপাচার, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ে নিথর দেহটি। মাথার বাম অংশ ২৩ খন্ড হয়ে যায়, ডান পা ক্ষত-বিক্ষত হয়ে যায় সেদিনের হামলায়। ভাগ্যজোরে বেঁচে গেলেও ডান পায়ে চিরস্থায়ী ব্যাথা, মাথার বাম অংশ আর্টিফিশিয়াল, কপালটা ফুটো নিয়ে এখনো বেঁচে আছে মৃত্যুকে জয় করা ছাত্রনেতা আনোয়ার হোসেন জীবন এই জন্যই তার নামের আগে যোগ হইছে মৃত্যুঞ্জয়ী।

সংগঠনের জন্য যার এতটা ত্যাগ তারতো কিছু চাওয়ার থাকতে পারে সংগঠনের কাছে এমন প্রশ্নের উত্তরে আনোয়ার হোসেন জীবন বলেন, আমার যোগ্যতা, কর্মদক্ষতা, ত্যাগ, তিতিক্ষা, এবং সংঘঠনকে যদি কিছু দিতে পারি তবে আমিও কিছু পাবো।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/১০:৩০পিএম/৮/৪/২০১৮ইং)