• ঢাকা
  • সোমবার, ২০ মে ২০২৪, ১২:২১ পূর্বাহ্ন

গ্রাহকেরা ১০ কোটি মিনিট ক্ষতিপূরণ পেলেন


প্রকাশের সময় : এপ্রিল ১১, ২০১৭, ১২:৪৫ PM / ৪৩
গ্রাহকেরা ১০ কোটি মিনিট ক্ষতিপূরণ পেলেন

ঢাকারনিউজ২৪.কম:

কল ড্রপের জন্য গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দিতে শুরু করেছে তিন বেসরকারি মুঠোফোন অপারেটর গ্রামীণফোন, রবি ও বাংলালিংক। মুঠোফোনে কথা বলার সময় গ্রাহকের অনিচ্ছায় সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়াকে বলা হয় কল ড্রপ। গত তিন মাসে কল ড্রপের কারণে গ্রাহককে মোট ৯ কোটি ৯৭ লাখ মিনিট ক্ষতিপূরণ হিসেবে ফেরত দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনে (বিটিআরসি) মুঠোফোন অপারেটরদের জমা দেওয়া পরিসংখ্যানে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।
তিন বেসরকারি অপারেটর কল ড্রপের জন্য গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিলেও সরকারি অপারেটর টেলিটক তা করছে না। মোট কল ড্রপের হিসাব দিলেও নিজস্ব নেটওয়ার্কে কী পরিমাণ কল ড্রপ হচ্ছে, সেটির হিসাবও বিটিআরসিকে দিচ্ছে না টেলিটক।
বিটিআরসির নিয়ম অনুযায়ী, একজন গ্রাহকের দিনে একবার কল ড্রপ হলে তিনি কোনো ক্ষতিপূরণ পাবেন না। তবে এরপর যতবার কল ড্রপ হবে, প্রতিবারের জন্য এক মিনিট করে ক্ষতিপূরণ পাবেন গ্রাহক। এভাবে এক দিনে সর্বোচ্চ ছয় মিনিট পর্যন্ত একজন গ্রাহক ক্ষতিপূরণ পেতে পারেন।
বিটিআরসিতে জমা দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি ৬ কোটি ২৩ লাখ মিনিট কল গ্রাহককে ফেরত দিয়েছে বাংলালিংক। গ্রামীণফোন ২ কোটি ৩৬ লাখ মিনিট আর রবি ১ কোটি ৩৮ লাখ মিনিট গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিয়েছে। শুধু নিজস্ব নেটওয়ার্কে (অন নেট) কেটে যাওয়া কলের জন্যই গ্রাহকদের এ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে।
জানুয়ারি থেকে মার্চের মধ্যে গ্রামীণফোনের নেটওয়ার্কে প্রতি মাসে গড়ে কল ড্রপ হয়েছে ৭ কোটি ৭৮ লাখ বার। এর মধ্যে দুটি বা তার বেশি কল ড্রপ হয়েছে ২ কোটি ১৩ লাখ বার। একাধিক কল ড্রপের জন্য গ্রামীণফোন গ্রাহককে ফেরত দিয়েছে ৭৮ লাখ ৭৭ হাজার মিনিট। অন নেটে মোট কল ড্রপের ৩৭ শতাংশ গ্রাহককে ফেরত দিয়েছে গ্রামীণফোন।
জানতে চাইলে গ্রামীণফোনের বহির্যোগাযোগ বিভাগের প্রধান সৈয়দ তালাত কামাল বলেন, ‘আমাদের নেটওয়ার্কে কল ড্রপের পরিমাণ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি না, এটি বিটিআরসির নির্ধারিত সীমার মধ্যেই আছে।’
একই সময়ে রবির নেটওয়ার্কে গড়ে মোট কল ড্রপ হয়েছে ৫ কোটি ১৬ লাখ বার। আর দুটি বা তার বেশি কল ড্রপ হয়েছে ২ কোটি ২৬ লাখ বার। গ্রাহককে রবি ক্ষতিপূরণ হিসেবে ফেরত দিয়েছে ৪৬ লাখ মিনিট, যা অপারেটরটির মোট কল ড্রপের ২০ শতাংশ।
গত তিন মাসে সবচেয়ে বেশি কল মিনিট ফেরত দেওয়া বাংলালিংকে প্রতি মাসে গড়ে মোট কল ড্রপ হয়েছে ৩ কোটি ২১ লাখ বার। নিজস্ব নেটওয়ার্কে এর মধ্যে ড্রপ হওয়া কলের সংখ্যা ১ কোটি ৬৫ লাখ। এ সময়ে গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ হিসেবে বাংলালিংক ২ কোটি ৭ লাখ মিনিটের বেশি কল ফেরত দিয়েছে। ফেরত দেওয়া কলের সংখ্যা অপারেটরটির মোট কল সংখ্যার ১১৪ শতাংশ। অর্থাৎ বাংলালিংকে যত কল ড্রপ হয়েছে, তার চেয়ে বেশি কল মিনিট গ্রাহককে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
২০১৪ সালে গ্রাহকদের জন্য পরীক্ষামূলকভাবে কল ড্রপ সুবিধা চালু করে মুঠোফোন অপারেটররা। ওই বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর প্রথম কল ড্রপ সুবিধা দেওয়া শুরু করে বাংলালিংক। আর গ্রামীণফোন একই বছরের ১ অক্টোবর থেকে গ্রাহকদের এ সুবিধা দেওয়া শুরু করে। তবে ২০১৫ সালে পরীক্ষামূলকভাবে চালু করা এ সুবিধা বন্ধ করে দেয় অপারেটররা। এরপর কল ড্রপে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করে অপারেটরদের নির্দেশ দেয় বিটিআরসি।

 

  (ঢাকারনিউজ২৪.কম/এনএম /১২.৪৩ পিএম/১১//২০১৭ইং)