• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪, ১২:৫৯ পূর্বাহ্ন

গোপালগঞ্জে ধর্ষণ মামলা ৬ লাখ টাকা দাবি


প্রকাশের সময় : জুলাই ২৬, ২০১৮, ৬:০৪ PM / ৪৬
গোপালগঞ্জে ধর্ষণ মামলা ৬ লাখ টাকা দাবি

স্পেশাল রির্পোটার : গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে বিয়ে না করায় রুহুল আমিন ওরফে সোহাগ (২৫) নামে এক যুবকসহ তার দুই দুলাভাইয়ের নামে ধর্ষণ মামলা করেছে এক কলেজছাত্রী। মামলা আপোষের নামে ওই যুবকের পরিবারের কাছে ৬ লাখ টাকা দাবি করছে কলেজছাত্রীর পরিবার বলে অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার সাফলীডাঙ্গা গ্রামের নওয়াাব আলী শিকদারের ছেলে সোহাগের সাথে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের শওকত আলী খানের মেয়ে শামচুন্নাহার (কলি)’র প্রেমের সম্পর্ক চলছিল। এরপর দীর্ঘ ২/৩ বছর যাবত দু’জনের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এরই মধ্যে সোহাগের একটি বেসরকারি এয়ারলাইন্সে বিমান ক্রু হিসেবে চাকরি হয়। শামচুন্নাহার সোহাগের চাকরির কথা শুনে সোহাগকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু সোহাগ অন্যত্র বিয়ে করায় কলির প্রস্তাবে অসম্মতি জানায়। এতে কলি ক্ষিপ্ত হয়ে অভিভাকদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর ঘটনার তারিখ উল্লখ করে গত ৩০ মে আদালতে সোহাগসহ তার চাকরিজীবি দুই দুলাভাই কামরুল সরদার ও চিশতি মিয়ার নামে একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। এ মামলাকে পুঁজি করে ওই ছাত্রীর এক নিকটাত্মীয় আপোষের জন্য সোহাগের পরিবারের কাছে ৬ লাখ টাকা দাবি করছেন বলে অভিযোগ সোহাগের পরিবারের। এছাড়া সোহাগের পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন লোকের মাধ্যমে প্রাণনাশসহ নানা ধরণের হুমকি-ধামকি দেয়া হচ্ছে। এতে ওই পরিবারটি চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। ভয়ে ছোট ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠানোও বন্ধ করে দিয়েছেন ভুক্তভূগি পরিবারটি। সোহাগের বাবা নওয়াব আলী কান্নাজনিত কণ্ঠে বলেন, ‘আমার ছেলে ও জামাইয়ের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করছে। দলীয় লোকজন নিয়ে আমাকে হুমকি দিচ্ছে এবং আপোষের জন্য ৬ লাখ টাকার প্রস্তাব দিচ্ছে। এ ব্যাপারে কলেজছাত্রীর শামচুন্নাহার কলির সাথে যোগাযোগ করা হলে সে এ বিষয়ে কিছু বলতে রাজি হয়নি। মামলার তদন্তে দায়িত্বে থাকা উপজেলার ফুকরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. এমদাদুল হক মোল্যা বলেন, ‘আমি আদালতের নির্দেশে মামলার তদন্ত করে প্রতিবেদন আদালতে পাঠিয়ে দেব।

(ঢাকারনিউজ২৪.কম/এসডিপি/৬:০০পিএম/২৬/৭/২০১৮ইং)